ইমাম খোমেনী (রহঃ) এক সংবাদ সম্মেলন
ইংরেজী ১৯৭৯ সালের এ দিনে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেনী (রহঃ) এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের ভবিষ্যৎ ইসলামী শাসন ব্যবস্থার রূপরেখা তুলে ধরেন। একই সাথে তিনি ঘোষণা করেন, শিগগিরই একটি অন্তবর্তী বিপ্লবী সরকারের নিয়োগ দেয়া হবে। গণভোটের আয়োজন করে এ সরকার নতুন সংবিধান প্রণয়নের কাজকে সুগম করে তুলবে। ইমাম খোমেনী (রহ) একই সাথে ইরানের অত্যাচারী শাহ সরকারের নিয়োগ দেয়া প্রধানমন্ত্রী শাপুর বখতিয়ারের প্রতি হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, ইরানের সংগ্রামী জনগণের উপর দমনপীড়ন বন্ধ না করা হলে তিনি জিহাদের আদেশ দিতে বাধ্য হবেন। ইমাম খোমেনী (রহ) ইরানের সেনাবাহিনীকে জনগণের পাশে এসে দাঁড়ানোর আহবান জানান।
দিমিদ্রি আইভানোভিচ মেনদিলিভ পরলোকগমন
১৯০৭ সালের এ দিনে খ্যাতনামা রাশিয়ার আবিষ্কারক এবং রসায়নবিদ দিমিদ্রি আইভানোভিচ মেনদিলিভ পরলোকগমন করেন। তবে পুরানো হিসাব অনুযায়ী তার পরলোকগমনের তারিখ ২০শে জানুয়ারী। তিনি তৎকালীন রাশিয়ার রাজধানী সেন্ট পিটার্সবার্গে পরলোকগমন করেছিলেন। তার জন্ম হয়েছিলো ১৮৩৪ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি। তবে পুরানো হিসেব অনুযায়ী জন্ম তারিখ হবে ২৭শে জানুয়ারী। মেনদিলিভ পিতার সতের সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ছিলেন বলে কেউ কেউ বলে থাকেন। তবে তার পিতার সন্তান সংখ্যা নিয়ে মত পার্থক্য আছে। যে যাই হোক, তিনিই প্রাথমিক পিরিয়ডিক টেবিল তৈরি করেছিলেন বলে বলা হয়ে থাকে। এই পিরিয়ডিক টেবিলের সাহায্যে তখনো আবিষ্কার হয় নি এমন যে কোনো উপাদান বা এলিমেন্টকে আনবিক সংখ্যা অনুযায়ী কোথায় অবস্থান হবে তা তিনি বলতে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে তিনি তখনো জানতেন না আরো অনেক বৈজ্ঞানিক পিরিয়ডিক টেবিল আবিস্কার করার জন্য পৃথক পৃথকভাবে কাজ করে চলেছেন। ১৮৬৮ সাল থেকে ১৮৭০ সালের মধ্যে তিনি দুই খন্ডে প্রিন্সিপালস অব কেমেস্টি নামের পাঠ্য বই রচনা করেন।
জেমস জয়েসের জন্ম
১৮৮২ সালের এ দিনে আইরিশ বিখ্যাত লেখক জেমস জয়েস ডাবলিন শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। তার দশ ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সর্ব জ্যেষ্ঠ। তিনি ছিলেন রোমান ক্যাথলিক। ১৯০২ সালে তিনি ডাবলিনের ইউনিভার্সিটি কলেজ থেকে লাতিন ভাষায় ডিগ্রী অর্জন করেন। তবে ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় তিনি ক্যাথলিক ধর্মমত প্রত্যাখান করেন। ১৯০৪ সালে তিনি জন্মের মতো আয়ারল্যান্ড ত্যাগ করেন। এরপর তিনি ইতালি, ফ্রান্স সুইজারল্যান্ডে জীবন যাপন করেছেন। বয়স হওয়ার পর থেকেই তিনি চোখের সমস্যায় ভুগেছেন এবং পরে অন্ধ হয়ে যান। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শুরু হওয়ার অল্প পরে ১৯৪১ সালে তিনি পরলোকগমন করেন তার লিপি কৌশল গদ্য লেখার জগতে বিপ্লব এনেছিলো। তাকে ২০ শতকের অন্যতম শীর্ষ স্থানীয় সাহিত্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে গণ্য করা হয়। তার বিখ্যাত গ্রন্থাবলীর মধ্যে অন্যতম হলো ইউলেসিস এবং এই বই ১৯২২ সালে প্রকাশিত হয়েছিলো।
ইদি আমিন উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ঘোষণা
১৯৭১ সালের এ দিনে ইদি আমিন উগান্ডার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করেন। এর এক সপ্তা আগে তিনি মিল্টন ওবোটেকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করেছিলেন। ১৯৬৬ সাল থেকে ইদি আমিন উগান্ডার সেনা প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। ওবোটে বিদেশ সফর থাকার সময় ইদি আমিন দেশটির ক্ষমতা দখল করেন। ক্ষমতায় গ্রহণ করার পর তিনি ইসরাইলের সাথে উগান্ডার কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। ১৯৭৬ সালে তিনি নিজেকে উগান্ডার আজীবনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করেন। ১৯৭৯ সালে তিনি ক্ষমতা হারান এবং ২০০৩ সালের ১৩ই আগস্ট সউদি আরবে নির্বাসিত অবস্থায় পরলোকগমন করেন।
স্টালিনগ্রাদে জার্মান বাহিনীর আত্মসমর্পণ
১৯৪৩ সালের এ দিনে স্টালিনগ্রাদে জার্মান বাহিনীর অবশিষ্ট সদস্যরা আত্মসমর্পণ করে। যদিও এর আগে হিটলার ঘোষণা করেছিলো, কোনো জার্মান সৈন্য আত্মসমর্পণ করবে না, তারা আমরণ লড়াই চালিয়ে যাবে। স্টালিন গ্রাদের যুদ্ধ শুরু হয়েছিলো ১৯৪২ সালের গ্রীষ্মকালে। বারবার চেষ্টা করেও হিটলালের বাহিনী সোভিয়েত ৬২ আর্মির প্রতিরোধ ভাংগতে পারে নি। তবে জার্মান বাহিনী স্টালিন গ্রাদ অবরোধ করে রাখতে পেরেছিলো। একই বছর নভেম্বর মাসে সোভিয়েত বাহিনী তাদের পাল্টা হামলা শুরু করে। জার্মান অবস্থান গুলোতে কামান দিয়ে হামলা করতে থাকে। ধীরে ধীরে জার্মানদের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়তে থাকে। ১৯৪৩ সালের ৩১ জানুয়ারী পর্যন্ত হিটলারের বাহিনী তাদের অবস্থান ধরে রাখতে পারে। এরপর তারা আত্মসমর্পন করতে শুরু করে।
খ্রিস্টানদের আন্তনি পার্বণ উৎসব
খ্রিষ্টের স্মরণে যজ্ঞ, উৎসর্গ, শোভাযাত্রা, ধমীয় সঙ্গীত ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে ২ ফেব্রুয়ারি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকেরা পালন করে আন্তনি পার্বণ উৎসব । ঢাকার অদূরে গাজীপুরের ভাওয়াল নাগরী ধর্মপল্লীর পানজোয়ার সাধু আন্তনির মহাধর্মীয় পার্বণ সম্পন্ন হয় প্রতি বছর। এতে দেশ-বিদেশের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক খ্রিস্ট ভক্ত যোগ দেয়। জানা যায়, প্রায় ৩০০ বছর ধরে এ উৎসবটি হয়ে আসছে। ক্যাথলিক সাধু আন্তনির নানা কীর্তি এদেশে প্রচারিত হয়েছিলো পর্তুগীজদের মাধ্যমে।
পটুয়া কামরুল হাসানের মৃত্যু
চিত্রকর, শিল্পী কামরুল হাসানের মৃত্যুদিন আজ। পটুয়া কামরুল নামে খ্যাত কামরুল হাসান ১৯৮৮’র ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জাতীয় কবিতা উৎসবে সভাপতিত্বকালে এরশাদকে উদ্দেশ করে দেশ আজ বিশ^ বেহায়ার খপ্পরে’ স্কেচটি অংকনের মিনিট কয়েক পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করেন। ষাটের দশকে বাঙালি জাতিসত্ত্বা বিকাশের আন্দোলন, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ ও বিভিন্ন সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে চিত্রকলার মাধ্যমে তিনি মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছেন। ঢাকা, রেসুন, রাওয়ালপিন্ডি, লন্ডনসহ বিভিন্ন দেশে তার চিত্র প্রদর্শনী ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। কামরুল হাসান পাকিস্তান সরকার কর্তৃক প্রেসিডেন্ট পুরস্কার এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন। কামরুল হাসানের জন্ম ১৯২১ সালের ২ ডিসেম্বর কলকাতায় গোরস্তান রোডে । কলকাতা মডেল স্কুল ও কলকাতা মাদ্রাসায় তার প্রাথমিক শিক্ষা শুরু। ১৯৪৭ সালে কলকাতা চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে চিত্রকলায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ সৃষ্টির পর কলকাতা থেকে তিনি ঢাকা আর্ট স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৬০ সাল পর্যন্ত তিনি এই ইনস্টিটিউশনে এর পর বিসিকে চাকরি করেন ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি মুজিবনগর সরকারের তথ্য ও বেতার দফতরের শিল্প প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। সে সময় জেনারেল ইয়াহিয়ার রক্তপায়ী হিং¯্র মুখম-ল অংকন করে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। চিত্রটির ক্যাপশন ছিলো এই জানুয়ারকে হত্যা করুন। আবহমান বাংলার গ্রামীণ সমাজের সামগ্রিক রূপ, বাংলার নিসর্গ, শোষক-অত্যাচারী শাষকদের চেহারা, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা উজ্জ্বলভাবে স্থান পেয়েছে তার চিত্রকর্মে।
গাজী সালাহউদিনের বিজয়ীর বেশে জেরুজালেম প্রবেশ (১১৮৭)
পেদ্রো দে মেন্দোথা বুয়েনোস আয়ার্স প্রতিষ্ঠা (১৫৩৫)
ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ডের প্রথম পার্লামেন্ট অধিবেশন শুরু (১৮০১)
এশিয়াটিক সোসাইটির অঙ্গ হিসেবে কলকাতা মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা (১৮১৪)
যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর যুদ্ধাবসান (১৮৪৮)
তুরস্কের বিরুদ্ধে গ্রিসের যুদ্ধ ঘোষণা (১৮৭৮)
বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স প্রতিষ্ঠা (১৮৮৭)
ত্রিশ বছর পর আফ্রিকার জাতীয় কংগ্রেস (এএনসি) নিষেধাজ্ঞামুক্ত (১৯৯০)
ওয়াশিংটনে ক্ষুদ্র ঋণ শীর্ষক সম্মেলন শুরু (১৯৯৭)
বাংলাদেশ সময়: ১১:৫৮:২২ ২২৩ বার পঠিত