আজ (শনিবার) ২৩ মার্চ’২০১৯
বিশ্ব আবহাওয়া দিবস
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব আবহাওয়া দিবসটি বেশ আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে পালিত হয়ে আসছে। ১৯৫০ সালের এ দিনে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব আবহাওয়া বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেওরোলোজিক্যাল অর্গানাইজেশন (WMO) প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ২৩ মার্চ বিশ্ন আবহাওয়া দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে বিশ্বব্যাপী । আবহাওয়া সারা বিশ্বের জন্যেই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আবহাওয়া বা জলবায়ু কোনো দেশের রাজনৈতিক বা ভৌগোলিক সীমারেখায় আবদ্ধ থাকে না। তাই আবহাওয়া ও পানি বিজ্ঞানের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা সুনিপুণভাবে এই সহযোগিতা সমন্বয় করে আসছে। আন্তর্জাতিক স্বীকৃত মান অনুযায়ী আবহাওয়া, পানি সম্পদ এবং জলবায়ু বিষয়ক তথ্যাবলী সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে নিয়মিত সমন্বয় সাধন এবং সেবা ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে জাতি গোষ্ঠী এবং বিশ্ব পরিম-লের কল্যাণ ও নিরাপত্তা বিধানই বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মৌলিক উদ্দেশ্য বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে এ সংস্থার সদস্য হয়। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ আবহাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত সেনসিটিভ। প্রায়ই বিরূপ আবহাওয়া এদেশের প্রকৃতি এবং আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিকে ল-ভ- করে দেয়। ১৮৭৬, ১৯৭০, ১৯৯১ এর ঘূর্ণিঝড় এবং ১৯৮৮ ও ১৯৯৮ এর বন্যায় মানুষের প্রাণহানি, সম্পত্তি, শস্য, গবাদিপশুর ক্ষয়ক্ষতি ছিলো বর্ণনাতীত। তাই জীবন ও সম্পদ রক্ষা এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ওপর আবহাওয়া ও জলবায়ুর প্রভাব অপরিসীম। একই সঙ্গে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এবং তার নেটওয়ার্কে বিদ্যমান নিরীক্ষণ রাডার, ভূ-উপগ্রহ স্টেশন, আবহাওয়া পূর্বাভাস ও সতর্কবাণী, ঘূর্ণিঝড় মনিটরিং ইত্যাদির প্রায়োগিক সার্ভিস অত্যন্ত জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ। একবিংশ শতাব্দীতে এই গুরুত্বের গতিধারা হবে আরো গতিশীল। আবহাওয়া বিজ্ঞানের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় বিশ্ববাসীকে সজাগ করার নিমিত্তে অন্যান্য ডাব্লিওএমও সদস্য রাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশও পালন করে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্ব দিবস।
১৬৫২ সালের এ দিনে হল্যান্ডের নৌ বাহিনীর উপর প্রচন্ড হামলা শুরু করে। তৎকালীন ইংরেজ শাসক অলিভার ক্রোমওয়েল এ হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ হামলার উদ্দেশ্য ছিলো ইংলিশ চ্যানেল, নর্থ সী এবং আন্টলান্টিক সাগরের উপর হল্যান্ডের নৌ বাহিনীর প্রভাব হ্রাস করা। তবে এই হামলার পরে ঔপনিবেশিক দুই শক্তির মধ্যে বিরাজমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা ইংরেজদের স্বার্থের অনুকুলে যায়।
১৬৩৯ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারি অলিভার ক্রোমওয়েলের নেতৃত্বে ইংল্যান্ড প্রজাতন্ত্রের শাসনের শুরু হয়। ১৫৯৯ সালের ২৫শে এপ্রিল মাসে এক সাধারণ পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। জীবনের প্রথম ৪০ বছর তিনি অত্যন্ত সাদামাটা জীবন যাপন করেছেন। উত্তরাধিকার সূত্রে বিপুল বিত্তের মালিক হওয়ার পর তার জীবন ধারা পাল্টে যায়। তিনি রাউন্ডহেড নামে পরিচিত তৎকালের ইংল্যান্ডের সংসদপন্থীদের পক্ষ নিয়ে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। পরে তিনি তৎকালীন ইংল্যান্ডের সেনা বাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
১৯১০ সালের এ দিনে জাপানের বিখ্যাত চলচিত্র পরিচালক আকিরা কুরোশোওয়া জন্মগ্রহণ করেন। কুরোশোওয়া নির্মিত চলচিত্রের কাহিনী শক্তিশালী হওয়ায় তা বিশ্বের দর্শকদের টানতে পেরেছে। এ ছাড়া তার চলচিত্র দৃশ্য সৌন্দর্য অনবদ্য ভাবে ফুটে উঠেছে। কুরোশোওয়ার জন্ম হয়েছিলো টোকিওতে। তিনি বাণিজ্যিক চিত্র শিল্পী হওয়ার বাসনা নিয়ে টোকিও একাডেমী অব ফাইন আর্টে অধ্যায়ন করেন। পরে তিনি তার দৃষ্টিভংগি বদলে ফেলেন এবং চলচিত্রে দিকে ঝুকেন। ১৯৩৬ সালে তিনি সহ পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৪৩ সালে তিনি প্রথম পূর্ণ দৈঘ্য কাহিনী চিত্র জুডো সাগা বা সানশিরো সুগাতা পরিচালনা করেন। ১৯৫০ সালে নির্মিত রাশমনো চলচিত্রের মধ্য দিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করেন। ১৯৯৮ সালে বিখ্যাত এই চলচিত্র পরিচালক পরলোকগমন করেন।
ফার্সি ১৩৮৪ সালের ৩রা ফারভারদিন ইরানের বিশিষ্ট দার্শনিক ও জ্ঞান তাপস সাইয়্যেদ জালাল উদ্দিন আশতানি দীর্ঘ দিন রোগ ভোগের পরলোক গমন করেন। তিনি মধ্য ইরানের আশতান গ্রামের এক ধার্মিক এবং জ্ঞান চর্চায় নিয়োজিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা এ খানে সম্পন্ন করেছেন। এরপর তিনি উচ্চতর জ্ঞান অর্জনের জন্য ইরানের পবিত্র নগরী কোমের ধর্মীয় শিক্ষা কেন্দ্র ফায়জিয়ায় গমন করেন। এখানেই তিনি ইসলামী ইরানের প্রতিষ্ঠাতা হজরত ইমাম খোমেনী(রহ), আয়াতুল্লাহ বুরোজার্দি, আল্লামা তাবাতায়ীর মতো খ্যাতিমান জ্ঞান তাপস এবং শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের সাহচর্যে আসেন। এরপর তিনি ইরানের পবিত্র নগরী মাশহাদে গমন করেন। জীবনের শেষ পর্যন্ত তিনি জ্ঞান চর্চা এবং জ্ঞান বিতরণের জন্য এ শহরে অবস্থান করেছেন।
১৯৫৬ সালের এ দিনে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান গ্রহণ করা হয়। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করার পর প্রথম নয় মাস দেশটি ১৯৩৫ সালে বৃটিশ কর্তৃক প্রণীত গর্ভমেন্ট অব ইন্ডিয়া এ্যাক্ট অনুযায়ী শাসিত হয়েছে। ১৯৫৬ সালের সংবিধান অনুযায়ী পাকিস্তানকে প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পাকিস্তানের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। প্রেসিডেন্ট দেশটির রাষ্ট্র প্রধান এবং সেনা প্রধান। পাকিস্তানের দ্বি কক্ষ বিশিষ্ট সংসদে উচ্চ পরিষদ সিনেটের আসন সংখ্যা ১০০ এবং নিম্ন পরিষদ বা জাতীয় পরিষদের আসন সংখ্যা ৩৪২। প্রথম সংবিধা গ্রহণের এ দিনটি পাকিস্তান প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে উদযাপন করে। বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত পাকিস্তানই একমাত্র পরমাণু অস্ত্রধারী দেশ।
১৯১৮ সালের এ দিনে জামার্ন বাহিনী তাদের নব নির্মিত কামানের সাহায্যে প্যারিসের উপর গোলাবর্ষণ করে। এ সব কামানের কোনো কোনোটি প্যারিস থেকে ৭৪ মাইল দূরে বসানো ছিলো। ২১০ মিলিমিটার এ সব কামানের ব্যারেল ১১৮ফুট দীর্ঘ ছিলো। প্যারিসক্যানন বা প্যারিস কামান নামের এ সব কামানের হামলায় প্যারিসবাসীরা হতচকিত হয়ে গিয়েছিলো। প্যারিসের প্রতিরক্ষা সার্ভিস প্রথমে মনে করেছিলো তাদের উপর বোমা বর্ষণ করা হচ্ছে কিন্তু তাদের সে ভুল ভাংতে দেরি হলো না। এবং তারা বুঝতে পারল তাদের উপর কামান দেগে হামলা করা হচ্ছে। সে যুগে যা ছিলো অকল্পনীয়। সারা দিনের এ হামলায় ১৬ জন নিহত এবং ২৯ জন আহত হয়েছিলো।
ফিরোজ শাহ তুঘলকের দিল্লীর সিংহাসনে আরোহন (১৩৫১)
রবার্ট ক্লাইভের চন্দননগর দখল (১৭৫৭)
রাশিয়ার জার প্রথম পল নিহত (১৮০১)
জার্মানির একনায়ক হিসেবে এডলফ হিটলারের আবির্ভাব (১৯৩৩)
বাংলার গভর্নর লর্ড ব্রাবোনের মৃত্যু (১৯৩৯)
ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন (১৯৪০)
ভাইসরয় লর্ড চেমস ফোর্ড কর্তৃক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা (১৯১৭)
গভর্নর জেনারেল কর্তৃক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুমোদন (১৯২০)
ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব (১৯৪০)
নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত (মানবাধিকার) আন্তর্জাতিক চুক্তি কার্যকর (১৯৭৬)
রুশ প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন কর্তৃক আকস্মিকভাবে তার মন্ত্রিসভা বরখাস্ত (১৯৯৮)
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪৭:২৫ ৩১৪ বার পঠিত