শোবিজে পা ফেলার পর থেকেই নানা কারণে চর্চায় থাকেন বগুড়ার ছেলে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। এর মধ্যে তিনি সবচেয়ে বড় চমকটি দিয়েছিলেন ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসন থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে। যদিও হেরে গিয়েছিলেন বড় ব্যবধানে। সেই আসন থেকে আবারও নির্বাচন করতে চলেছে হিরো আলম।
সম্প্রতি বিএনপির সাত সংসদ সদস্য পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তার মধ্যে পাঁচজন সশরীরে স্পিকারের কাছে লিখিত আবেদন করেন। তাদের পদত্যাগপত্র গৃহিত হয়েছে। সেই পাঁচ আসনে উপনির্বাচন আগামী ১ ফেব্রুয়ারি। পাঁচ আসনের একটি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম)। এই আসন থেকে ফের একবার নির্বাচন করতে চলেছেন হিরো আলম।
রবিবার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিরো আলম স্বয়ং। ফেসবুক ও ইউটিউবের ভাইরাল এই তারকা জানিয়েছেন, বগুড়া-৪ আসন থেকে জাতীয় পার্টির ব্যানারে লাঙল প্রতীকে নির্বাচন করতে চান তিনি।
হিরো আলম বলেন, ‘তফসিল ঘোষণা হয়েছে। আমি আবার নির্বাচন করতে যাচ্ছি। যদি আমাকে লাঙল প্রতীক দেওয়া হয় তাহলে লাঙল প্রতীকে নির্বাচন করব। আর যদি না দেওয়া হয় তাহলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নেব।’
হিরো আলম জাতীয় পার্টির সহযোগী সংগঠন জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।
বগুড়া-৪ আসনের আসন্ন উপনির্বাচনে হিরো আলম ছাড়াও লাঙল প্রতীকের দাবিদার জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বগুড়া জেলা জাপার যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ফারুক আহমেদ, নন্দীগ্রাম উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্যসচিব সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দয়া, রওশন এরশাদপন্থী হিসেবে পরিচিত সাংবাদিক আব্দুস সালাম বাবু।
এর আগে ২০১৮ সালের নির্বাচনেও জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন হিরো আলম। মনোনয়নপত্রও কিনেছিলেন। কিন্তু পাননি। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন হিরো আলম। তবে হেরে যান। ওই আসন থেকে সংসদ সদস্য হন বিএনপির প্রার্থী মো. মোশারফ হোসেন। সম্প্রতি তিনি পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৮:৩২ ১৯৮ বার পঠিত