নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, টেনিস যেকোনো খেলার সম্মানের দিক থেকে অনেক উপরে। বিশ্বের অনেক লিজেন্ডরা গ্যালারিতে বসে টেনিস খেলা দেখেন। আগে অভিজাত পরিবারের সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা টেনিস খেলতো। এখন আর সেরকম জৌলুস নেই। একজন টেনিস খেলোয়াড় ১০০ জনকে পথ দেখাবে। ফুটবল খেলোয়াড়রা একসময় উন্মাদনা তৈরি করেছিল।
সেই উন্মাদনা আমাদেরকে মাঠে নিয়ে যেত। আমরা বয়সভিত্তিক টেনিস খেলাকে গুরুত্ব দিয়েছি । সাধারণকে টেনিস মাঠে নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করছি । উপজেলা পর্যায়ে টেনিস খেলা চলে গেছে। টেনিসের প্রতি মানুষের আগ্রহ আছে। প্রচারণার সেই জায়গাটায় নিয়ে যেতে চাই। টেনিসের প্রতি যাদের প্রেম, ভালবাসা আছে তাদেরকে আগামীতে নির্বাচিত করবেন। ফেডারেশন ও কাউন্সিলররা মিলে খেলোয়াড় তৈরি করবেন। এমন একজন টেনিস খেলোয়াড় তৈরি করব, যার জন্য দেশবাসী গর্ববোধ করবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বিজয়নগরস্থ হোটেল ৭১-এ বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ মোহাম্মদ হায়দার এবং কোষাধ্যক্ষ খালেদ আহমেদ সালাহউদ্দিন নিজ নিজ রিপোর্ট পেশ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া ক্ষেত্র থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি। মানব কাঠামো তৈরি হচ্ছে না। এগিয়ে যাওয়ার জন্য ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সংস্কৃতি ও ক্রীড়াকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করছেন। ক্রিকেটে ওডিআই ও টেস্ট স্ট্যাটাস তার সময় এসেছে। ক্রিকেট এখন সমীহ জাগানো বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমরা কৃতজ্ঞ। তিনি শেখ জামাল জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্স আধুনিক করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, টেনিস ফেডারেশনকে জবাবদিহিতার জায়গায় রাখতে চাই। সীমাবদ্ধতা আছে। সেগুলো দূর করে টেনিসকে এগিয়ে নিতে চাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৪৫:৩৮ ৭০ বার পঠিত