ফিলিস্তিনের গাজায় নতুন করে একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে হামাস। সবশেষ এই প্রস্তাবটিতে ইসরাইল স্বাক্ষর করেছে বলেও জানা গেছে। হামাস আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাবটি নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ইসরাইলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধবিরতি নিয়ে সবশেষ যে প্রস্তাব দিয়েছে তা এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ হামাসের কাছে যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব দিয়েছেন ইসরাইল তাতে স্বাক্ষর করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিস লেভিট বলেন, ইসরাইল এরইমধ্যে এই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন। প্রেসিডেন্টের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত উইটকফ প্রস্তাবটি হামাসের কাছে পাঠিয়েছেন।
তিনি বলেন, আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। তবে আলোচনার ফলাফল সম্পর্কে আর কোনো বিস্তারিত তিনি বলেননি।
ইসরাইল সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন এই প্রস্তাব নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে জিম্মিদের পরিবারকে বলেছেন, তিনি সবশেষ প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন।
ইসরাইলের সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২ টিভি জানিয়েছে, নেতানিয়াহু বৈঠকে বলেছেন, ‘আজ রাতে আমাদের কাছে আসা উইটকফের সবশেষ প্রস্তাবটি মেনে নিতে রাজি আছি। আমরা বিশ্বাস করি না যে হামাস শেষ জিম্মিকে মুক্তি দেবে এবং সব জিম্মি আমাদের কাছে না আসা পর্যন্ত আমরা উপত্যকায় হামলা থামাব না।
যুক্তরাষ্ট্রের সবশেষ প্রস্তাবে হামাস এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য জানায়নি। তারা চুক্তিটি পর্যালোচনা করছে। তবে হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছেন, তারা গাজায় নতুন যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবশেষ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করবে।
হামাসের ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রস্তাবটি যুদ্ধ বন্ধসহ মূল দাবিগুলো পূরণ করেনি এবং যথাসময়ে তারা এ বিষয়ে সাড়া দেবেন।
কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং যথাসময়ে তাদের লিখিত প্রতিক্রিয়া জানাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫৬:৫৩ ৩৬ বার পঠিত
