জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, সকলের প্রতিরোধের মুখে ফ্যাসিবাদী সরকার ক্রমাগত পশ্চাদপসরণ হতে বাধ্য হয়েছিল। চব্বিশের জুলাইয়ে ছাত্রদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সূচনা হয়েছিল, ১৪ জুলাইয়ে সে ঘটনা প্রবাহ নতুন মোড় নেয়। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশগ্রহণকারীদের প্রতি অবমাননাকর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীরা মধ্যরাতেই রাজপথে নেমে এসেছিল। নারীদের বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর সেই অপমানের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে বেগবান করেছিল।
ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে আজ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৩তম দিনের আলোচনায় অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন। এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণকে মর্যাদা দিয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে ১৪ জুলাইকে ‘জুলাই নারী দিবস’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে উল্লেখ করে কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, রাষ্ট্র বিনির্মাণে নারীদের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। এই প্রাতিষ্ঠানিক রূপের মাধ্যমেই রাজনীতিতে, রাষ্ট্র গঠনে এবং আইন প্রণয়নে নারীদের মর্যাদার সাথে অংশগ্রহণের পথ তৈরি হবে। তিনি এ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় নারী প্রতিনিধিত্ব এবং দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:২৯:৩৪ ১৭ বার পঠিত