রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫

২৪৬৭ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে স্বাস্থ্যবীমার আওতায় আনলো ডিএনসিসি

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ২৪৬৭ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে স্বাস্থ্যবীমার আওতায় আনলো ডিএনসিসি
রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫



২৪৬৭ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে স্বাস্থ্যবীমার আওতায় আনলো ডিএনসিসি

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) প্রথমবারের মতো পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা সুবিধা চালু করেছে। প্রথম দফায় ২,৪৬৭ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে স্বাস্থ্যবীমার আওতায় আনা হয়েছে।

আজ গুলশানের নগরভবনে স্বাস্থ্যবীমা কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এবিএম শামসুল আলম।

এসময় প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, “আমি মনে করি সকল সরকারি-বেসরকারি অফিসে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা সুবিধা থাকা উচিত। সরকারি দপ্তর হিসেবে আমাদের কর্মীদের স্বাস্থ্যবীমার আওতায় আনতে পেরে আমরা গর্বিত।”

প্রশাসক আরও বলেন, “ঢাকার আয়তন ও জনসংখ্যা বাড়লেও সে তুলনায় আমাদের কর্মী সংখ্যা খুবই কম। আমরা জনবল নিয়োগের পাশাপাশি বিদ্যমান কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছি। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কর্মীরা ঝুঁকিপূর্ণ ও অনিরাপদ পরিবেশে কাজ করেন। তাই তাদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।”

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও জানান, ডিএনসিসির নিয়মিত কর্মীদের পাশাপাশি আউটসোর্সিংয়ের আরও ৫,০০০ কর্মী এবং মশকনিধন কর্মীদেরও পর্যায়ক্রমে এই স্বাস্থ্যবীমার আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

সভাপতির বক্তব্যে কমডোর এ বি এম সামসুল আলম বলেন, গত এক বছরে ডিএনসিসির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন উদ্যোগগুলোর একটি হলো এই স্বাস্থ্যবীমা কার্যক্রম। প্রশাসকের নির্দেশনায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আনতে ডিএনসিসি ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে।

স্বাস্থ্যবীমা কার্যক্রমের আওতায় উপকারভোগীরা রাজধানীর ৪০০টির বেশি বেসরকারি ক্লিনিকে অর্ধেক খরচে (৫০% ডিসকাউন্টে) চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন। এছাড়া অসুস্থ হলে বিশেষ স্বাস্থ্য সুরক্ষা পাবেন। কোনো স্বাস্থ্যকর্মী মৃত্যুবরণ করলে এককালীন ৩০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।

স্বাস্থ্যবীমার বার্ষিক প্রিমিয়াম নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ২০০ টাকা। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে ১,০০০ জনের বীমা প্রিমিয়াম বহন করছে সাজেদা ফাউন্ডেশন ও রেকিট বাংলাদেশ (হারপিক), আর ১,৪৬৭ জনের বীমা ব্যয় দিচ্ছে ডিএনসিসি। চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সহযোগিতায় বীমা সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠান শেষে উপকারভোগী পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের হাতে স্বাস্থ্যবীমা কার্ড তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, উপপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদা ফাউন্ডেশন মোহাম্মদ ফজলুল হক, হেড অফ মার্কেটিং, রেকিট বাংলাদেশ সাবরিন মারুফ তিন্নি সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:১৪:৩৬   ২৬ বার পঠিত