মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নতুন গ্যাসক্ষেত্রে ১০৬৯ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » নতুন গ্যাসক্ষেত্রে ১০৬৯ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা
মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩



নতুন গ্যাসক্ষেত্রে ১০৬৯ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা

মৌলভীবাজারে বাতচিয়া-১৩ ও হারারগজ-১৪ নম্বর ব্লকে নতুন করে গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের শতভাগ সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকারী চায়না ন্যাশনাল কোম্পানি বিজিপি ত্রিমাত্রিক জরিপ শুরু করেছে। এ দুটি ব্লকে ১ হাজার ৬৯ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র জানায়, মৌলভীবাজারে বাতচিয়া-১৩ ও হারারগজ-১৪ নম্বর ব্লকে এরই মধ্যে ৩০ শতাংশ ত্রিমাত্রিক জরিপ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ নির্দিষ্ট সময়েই শেষ হবে।
দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এ দুটি ব্লক থেকে একাধিক কূপ খননের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ গ্যাস এবং তার সঙ্গে কনডেনসেট পাওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এতে ভবিষ্যতে গ্যাস উত্তোলনের মাধ্যমে দেশে গ্যাসের ঘাটতি পূরণে ব্যাপক সহায়তা হবে।
সূত্রটি আরও জানান, সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ ও পেট্রোবাংলার সহযোগিতায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, বড়লেখা ও জুড়ী–এই চার উপজেলার বাতচিয়া- ১৩ ও হারারগজ-১৪ নম্বর ব্লকের ৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চায়না তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানি বিজিপি গেল বছরের ৩০ অক্টোবর থেকে এ ত্রিমাত্রিক জরিপ (অনুসন্ধান) কাজ শুরু করে।

বাংলাদেশ সরকারের বেঁধে দেয়া তিন বছর মেয়াদের এ কাজের শুরুতে (জুলাই ২০২১ থেকে জুন ২০২৪ পর্যন্ত কাজের মেয়াদ) বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতায় কিছুটা বিলম্ব হলেও এরই মধ্যে ১৩ ও ১৪ নম্বর ব্লকের সার্বিক ত্রিমাত্রিক জরিপের কাজ ৩০ শতাংশ শেষ হয়েছে।
চায়না তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকারী কোম্পানি জানিয়েছে, বাতচিয়া-১৩ নম্বর ব্লকের কমলগঞ্জ উপজেলার পাঁচ ইউনিয়ন ও কুলাউড়া উপজেলার দুটি ইউনিয়ন মিলিয়ে ১২০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় সার্ভে, ড্রিলিং ও তেল-গ্যাস মজুত বিষয়ে রেকর্ডিং কাজ শেষ করা গেছে।
একই প্রক্রিয়ায় তিনটি ধাপে কাজ শেষ হয়েছে হারারগঞ্জ-১৪ নম্ব ব্লকের কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ৩৮০ বর্গকিলোমিটার এলাকায়। এদিকে বাতচিয়া-১৩ নম্বর ব্লকের সার্বিক অনুসন্ধান কাজ এ বছরের বর্ষার আগেই শেষ হচ্ছে। এছাড়া ১৪ নম্বর ব্লকের মুরাইছড়া ইকোপার্ক এলাকাটির জরিপ কাজ আগামী বছরের শুষ্ক মৌসুমে শেষ হবে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ড সূত্রে জানা গেছে, ১৩ ও ১৪ নম্বর ব্লকে ত্রিমাত্রিক জরিপের আগে দুটি বিদেশি তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকারী কোম্পানি ও বাপেক্স আলাদা জরিপ চালায়। সে সময়েই এ দুটি ব্লকে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাব্যতার কথা জানা যায়। এবারে ত্রিমাত্রিক জরিপে গ্যাসের সম্ভাব্যতা শতভাগ বলছেন সিলেট গ্যাস ফিল্ড ও বিদেশি তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকারী প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা।

চায়না তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকারী কোম্পানি বিজিপির দলনেতা লি ফু খা সময় সংবাদকে জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই জরিপ শেষ হবে।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, সরকারের অনুমোদন নিয়েই চায়না গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানি জেলার কমলগঞ্জ, কুলাউড়া ও বড়লেখা উপজেলার এ দুটি স্থানে গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম চালিয়েছে। এটি সফল হলে একাধিক কূপের মাধ্যমে গ্যাস উত্তোলন করা হবে।
এদিকে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, মৌলভীবাজারের এ দুটি ব্লকে ১ হাজার ৬৯ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার শতভাগ সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া এখানে বিপুল পরিমাণ কনডেনসেটও পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০:৪৯:২৫   ১৫৪ বার পঠিত