প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমলাতন্ত্র নিয়ে খুশি বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমলাতন্ত্র নিয়ে প্রধানমন্ত্রী খুশি। সবাই ভালো কাজ করছেন। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি কমানো ও প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোর জন্যও তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বিভিন্ন প্রকল্পে গাছ লাগানোসহ দেশের হাসপাতালগুলোতে লোকবল সংকট নিয়েও প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। লোকবলা সংকট দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছেন সরকারপ্রধান, বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, অহেতুক ব্যয় কমানোর বিষয়ে ফের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক্ষেত্রে তিনি বলেছেন, অহেতুক, বাড়াবাড়ি, অপচয় কমাতে হবে। যে প্রকল্পগুলো ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কাজ হয়েছে সেগুলোকে উচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে শেষ করতে হবে হবে। ঋণের প্রয়োজনে নতুন জানালা খুলেছে বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। এক্ষেত্রে নিউ ডেভলপমেন্ট ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া যাবে। তাহলে এখন আমরা দর দাম করে ঋণ নিতে পারবো। এখন আমাদের এডিবি, বিশ্বব্যাংক, এআইআইবি এবং নিউ ডেভলপমেন্ট ব্যাংক; যেখান থেকে সহজ শর্তে ঋণ পাবো সেখান থেকে আমরা ঋণ নেবো।
তিনি বলেন, নালা বা পুকুরের নিচে পাকা না করার নির্দেশনাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ এতে পানি নিচে যেতে পারে না। এছাড়া স্লুইস গেট করার ক্ষেত্রে সতর্ক করেছেন। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, স্লুইস গেট যারা করে তারা চলে যায়। আর যারা দায়িত্বে থাকেন তাদেরও খুঁজে পাওয়া যায় না। এছাড়া প্রকল্পে গুরুত্ব দিয়ে সবুজ বেষ্টনী করতে বলেছেন। ক্লাইমেট ফান্ড থেকে অর্থ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। হাসপাতাল উন্নয়ন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, শুধু বিল্ডিং করলে হবে না। এর সঙ্গে যন্ত্রপাতি ও জনবল নিশ্চিত করতে হবে। প্রায়ই শুনি হাসপাতাল আছে যন্ত্রপাতি নেই, জনবল নেই। এটা ঠিক না।
এম এ মান্নান বলেন, সভার শুরুতে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছি। কারণ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে সর্বজনীন পেনশন সুবিধা চালু হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ব্রিকসে যোগদান করায়ও তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি। ব্রিকসের নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে আমরা যোগদান করেছি। এর ফলে আমরা ব্রিকসের সদস্য পদ পেতে আরও একধাপ এগিয়ে গেছি। এসব বিষয়গুলো নিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানিয়েছি।
এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, মালামাল সংগ্রহ করতে না পারায় নওগাঁ সড়ক বিভাগাধীন একটি আঞ্চলিক ও দুটি জেলা মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প থেকে ঠিকাদার পালিয়েছে। ফলে নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ করায় প্রকল্প বাস্তবায়ন দেরি হয়েছে।
একনেক সভায় ২০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি নতুন, ৭টি প্রকল্প সংশোধন করা হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১৪ হাজার ৭৭ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪২:২৮ ৯৯ বার পঠিত