
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা দিচ্ছি, দেবো। আশা করি তারা সফল হবে, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে সম্মানের সঙ্গে বিদায় নেবেন তারা। না হলে, বিক্ষুব্ধ তরুণ সমাজের আন্দোলনে কিন্তু পালাতে পারবেন না।
বুধবার (২৮ মে) রাজধানী পল্টনে বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে তারুণ্যের সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মঈন খান বলেন, জুলাই আগস্টে আমাদের প্রথম বিজয় হয়েছে। আমাদের আন্দোলন কিন্তু থেমে যায়নি। আমরা বিজয়ের দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছি। বাংলাদেশকে গণতন্ত্রে রূপ দিতে হবে। অবিলম্বে দ্রুত নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দিতে হবে। জনগণ চায় গণতন্ত্র।
তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের তরুণরা জেগে উঠেছে দাবি করে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার আমাদের দেশকে ধ্বংস করেছিল। দেশের তরুণ ছাত্রসমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আজকে নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ তারুণ্যের সমুদ্রে পরিণত হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান এবং ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরের সঞ্চালনায় মহাসমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদসহ অনেকে।
এর আগে, সকাল থেকেই ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে দলে দলে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এ সময় কারও হাতে দলীয় পতাকা, কারও হাতে ব্যানার, আবার কারও হাতে ফেস্টুন দেখা যায়। কেউ কেউ আবার নেচে-গেয়ে স্লোগানে-স্লোগানে কর্মসূচিতে প্রাণচাঞ্চল্য যোগ করেন।
এর আগে, চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়ায় সেমিনার ও সমাবেশ হয়েছে। সবশেষ আজ রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:৫৭:৫০ ৪২ বার পঠিত