বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, অতীতে অনেকে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখিয়ে দেশকে শ্মশানে পরিণত করেছে। সেই ভুল আর করতে দেওয়া যাবে না। মানুষের চাওয়া হলো সমাজের পরিবর্তন।
শনিবার ঈদের সন্ধ্যায় কুলাউড়া পৌরসভা হলরুমে উপজেলা জামায়াত আয়োজিত ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ডা. শফিকুর রহমান।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ এখনো দেশে টিকে আছে। আমরা তা মেনে নেব না। কেউ যদি আগামী নির্বাচনে ভোট ডাকাতির চেষ্টা করে, তার হাত অবশ করে দিতে হবে।’
দেশে সাম্য ও ন্যায়ের ভিত্তিতে বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সব ইসলামী শক্তিকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। তবে শয়তানের বিভেদ সৃষ্টির প্রচেষ্টা থেকেও সতর্ক থাকতে হবে।’
উপজেলা জামায়াতের আমীর সহকারী অধ্যাপক আব্দুল মুন্তাজিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট মহানগর আমীর ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মো. ফখরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সাবেক জেলা আমীর মো. আব্দুল মান্নান, জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি মো. ইয়ামির আলী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, কুলাউড়া প্রেসক্লাব সভাপতি এম শাকিল রশীদ চৌধুরী, শিক্ষাবিদ মো. মহিবুর রহমান, সাবেক উপজেলা আমীর খন্দকার আব্দুস সোবহান প্রমুখ।
আমীরে জামায়াত আরো বলেন, আলেম-উলামারাই জাতিকে সঠিক পথে পরিচালনার যোগ্য। আমি তাদের গভীর শ্রদ্ধা করি। যদি নেতৃত্ব তাদের হাতে আসে, তাহলে দেশ একটি সুন্দর ও কল্যাণময় রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
ধর্মীয় ও নৈতিক নেতৃত্ব ছাড়া কোনো সমাজের স্থায়ী উন্নয়ন সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি। ডা. শফিকুর বলেন, যিনি মিহরাবে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ান, তিনিই সমাজে নেতৃত্ব দেওয়ার উপযুক্ত ব্যক্তি। কারণ তিনিই সত্য ও ন্যায়ের পথ দেখাতে পারেন।
এ প্রসঙ্গে সাবেক আমীরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর নেতৃত্ব ও আদর্শের কথাও স্মরণ করেন। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, শহীদ মাওলানা নিজামীর হাতে যেসব খাতে দায়িত্ব ছিল, সেখানে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছিল। মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি ৩৭টি বন্ধ শিল্পপ্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু করে সফলভাবে পরিচালনা করেন।
দেশের ৪১টি মন্ত্রণালয় যোগ্য ও নীতিবান আলেমদের হাতে এলে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে বলেও মন্তব্য করেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:১৫:০০ ১২ বার পঠিত