
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) কর্তৃপক্ষের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছাত্রদের অন্যায়ভাবে বহিষ্কারের প্রতিবাদে এবার আন্দোলনে নামছেন শিক্ষার্থীরা। শিগগিরই রাজধানীর বাড্ডা-নতুনবাজার সড়ক অবরোধসহ আরো কর্মসূচি পালনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। শিক্ষার্থীরা বলছেন, ইউনিভার্সিটি রিফর্ম বাস্তবায়ন করতে হবে। ট্রাস্ট্রি বোর্ড ভেঙে দিয়ে নতুন করে গঠন করতে হবে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করতে হবে।
শুক্রবার শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিষয়টি নিয়ে অন্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তারাও ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দিতে পারেন। সবাইকে নিয়ে বাড্ডা-নতুনবাজার সড়ক অবরোধ করার পরিকল্পনা চলছে।
এর আগে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছাত্রদের অন্যায়ভাবে বহিষ্কারের প্রতিবাদ জানিয়েছিলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার বিচার ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার দাবি জানান তারা। এ দাবি না মানলে এবং ঈদের পর ২ কর্ম দিবসের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ইউআইইউসহ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলো তারা।
এ দাবিতে ইউজিসি চেয়ারম্যান বরাবর এক স্মারকলিপিও দেন শিক্ষার্থীরা। স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা দেশের বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই চিঠির মাধ্যমে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জানাতে চাই। ইউআইইউর শিক্ষার্থীরা গত প্রায় এক বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ প্রতিষ্ঠার জন্য শান্তিপূর্ণ ও যৌক্তিক আন্দোলন করে আসছেন। অথচ এসব ন্যায্য দাবির জবাবে ইউআইইউ প্রশাসন শিক্ষার্থীদের হয়রানি করে, হুমকি দেয় এবং সর্বশেষ ২ জুন মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করে। আমরা, দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, এই অন্যায় বহিষ্কার প্রক্রিয়াকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি ও নিন্দা জানাচ্ছি।
ইউজিসির দায়িত্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। অথচ, শিক্ষার্থীরা একাধিকবার ইউজিসিতে লিখিত ও মৌখিকভাবে অভিযোগ জানালেও, আজ পর্যন্ত কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এই বহিষ্কারের বিষয়ে কঠোরভাবে ব্যবস্থা না নেয়া শুধু ইউআইইউ নয়, বরং দেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যই গভীর উদ্বেগের বিষয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়ে বলেন, আমাদের সুস্পষ্ট অবস্থান হলো, বহিষ্কার আদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। ইউআইইউ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। ঈদের ছুটির পরবর্তী দুই কর্মদিবসের মধ্যেই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে, দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইউজিসি কার্যালয়ে ঘেরাও, অনশন কর্মসূচিসহ কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩২:৩৮ ১২ বার পঠিত