
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে শীতলক্ষ্যা নদীর ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে শান্তিনগর কবরস্থান। মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুর ৩টায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিনগর এলাকায় কবরস্থানটি পরিদর্শন করেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
সম্প্রতি কবরস্থান ভাঙনের খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্থানীয় সংবাদপত্রে প্রকাশ হলে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নেন ইউএনও। পরিদর্শনকালে গ্রামবাসীরা তাকে জানান, ভরা বর্ষার সময়ে শীতলক্ষ্যার প্রবল স্রোতে প্রতিনিয়ত কবরস্থান সংলগ্ন এলাকা নদীতে ভেঙে পড়ছে। ইতোমধ্যে কবরস্থানটির একাংশ বিলীন হয়ে গেছে। এলাকাবাসী নিজেদের উদ্যোগে বাঁশ ও কঞ্চি দিয়ে অস্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা চালালেও তা ঝুঁকিমুক্ত নয়।
এ সময় গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, পূর্ববর্তী সরকারের সময় একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় একটি গোষ্ঠী অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে শীতলক্ষ্যার পাড় ঘেঁষে বালু উত্তোলন ও ভূমি কাটার কার্যক্রম চালিয়েছে। এর ফলে শুধু কবরস্থান নয়, শান্তিনগরের বিস্তীর্ণ ফসলি জমিও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
পরিদর্শন শেষে ইউএনও মো. মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছি এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেছি। আপাতত জিও ব্যাগ ব্যবহার করে কবরস্থানের ধার রক্ষা করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে বিষয়টি ইঞ্জিনিয়ারদের জানানো হয়েছে। তারা এলেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আমি নিজেও সংবাদ দেখে ও সাংবাদিক তরিক হোসেন বাপ্পির মাধ্যমে লিখিতভাবে জানতে পেরে দ্রুত পরিদর্শনে এসেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যতটা সম্ভব সহযোগিতা করা হবে। ধর্মীয় অনুভূতির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে কবরস্থান রক্ষায় স্থায়ী ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।”
এলাকাবাসী আরও অভিযোগ করেন, খাতায়-কলমে তারা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের অধীনে থাকলেও দুর্যোগের সময় সিটি করপোরেশনকে পাশে পান না। তারা বলেন, “সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী ইশতেহারে শান্তিনগর কবরস্থানের জন্য একটি পাকা রাস্তা ও নদীতীরবর্তী সিঁড়িঘাটলার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। রাস্তার কাজ শুরু হলেও তা মাঝপথে থেমে গেছে। আমরা চাই সিটি করপোরেশন বিষয়টি পুনর্বিবেচনায় নিয়ে বাকি কাজ দ্রুত সম্পন্ন করুক এবং কবরস্থান রক্ষায় স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।”
বাংলাদেশ সময়: ২৩:২২:০৭ ৩৪ বার পঠিত