জুলাই পদযাত্রায় অংশ নিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহবায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে আগামী শনিবার সাতক্ষীরায় আসছেন সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহসহ অন্যরা।
এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাতক্ষীরায় আগমনের প্রস্তুতি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার শহরের একটি রেস্টুরেন্টে দলটির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এনসিপির সাতক্ষীরা জেলা সমন্বয়কারী কামরুজ্জামান বুলু। এসময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সাতক্ষীরা জেলা যুগ্ম সমন্বয়কারী শেখ আহসান উল্লাহ, সদস্য খাদিজা আক্তার চায়না প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শনিবার সকাল ৯টায় এনসিপি নেতৃবৃন্দ খুলনা থেকে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা কুমিরা ফুটবল মাঠে পৌঁছাবেন। তারা সেখানে সংক্ষিপ্ত পথ সভায় অংশ নিয়ে বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা শহরের খুলনা রোড মোড়ের শহীদ আসিফ চত্বরের পথ সভায় মিলিত হবেন। এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করবেন।
পরে, তারা খুলনা রোড মোড় থেকে নিউ মার্কেট হয়ে হাটের মোড় পর্যন্ত পদযাত্রায় অংশ নেবেন। এর মাঝেই শহরের হোটেল আল বারাকার দ্বিতীয় তলায় এনসিপি’র সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে ২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে বিএনএম এর সাবেক জেলা সভাপতি ও এনসিপির সাতক্ষীরা জেলা সমন্বয়কারী কামরুজ্জামান বুলু বলেন, তখন চাপের মুখে পড়ে নির্বাচনে অংশ নিতে হয়েছিল। এজন্য আমাকে খুলনায় যাওয়ার পথে আটক করে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি দেয়া হয়। বাঁচার জন্য অপশন ছিল এক কোটি টাকা দিতে হবে বা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে হবে। উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ছিলাম। সে সময় নির্বাচন কমিশনে লিখিতভাবেও বিষয়টি জানিয়েছিলাম যে, আমি চাপে পড়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। মাত্র একদিনের ঘোষণায় আমাকে বিএনএম এর জেলা সভাপতি ঘোষণা করে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য করা হয়েছিল। আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে এনসিপি গঠিত হয়েছে। আমরা আগে সংস্কার ও বিচার চাই, পরে নির্বাচন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৬:১৩ ১৮ বার পঠিত