রাশিয়ার বিরুদ্ধে সম্ভাব্য নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিতের পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে। শুক্রবার সকালে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১৯ সেন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৬৮ দশমিক ৮৩ ডলারে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) অপরিশোধিত তেলের দাম ২৪ সেন্ট বেড়ে হয় ৬৬ দশমিক ৮১ ডলার।
সপ্তাহজুড়ে ব্রেন্টের মূল্য দশমিক ৮ শতাংশ বাড়লেও ডব্লিউটিআইয়ের দাম দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার তেলের দাম ২ শতাংশের বেশি কমে গিয়েছিল, কারণ বিনিয়োগকারীরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্কনীতি বদল এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন।
ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, সোমবার তিনি রাশিয়া সংক্রান্ত একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বিবৃতি দেবেন। ইউক্রেন যুদ্ধ ও রাশিয়ার সাম্প্রতিক হামলার প্রেক্ষাপটে এই ঘোষণাকে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার আভাস হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা। এ আশঙ্কাই তেলের বাজারে নতুন উত্তেজনা তৈরি করেছে।
এদিকে, ঋতুভিত্তিক চাহিদা বৃদ্ধি এবং রেড সি অঞ্চলে হুতি বিদ্রোহীদের নতুন করে জাহাজে হামলার ঘটনা বাজারে তেলের দামের ওপর প্রভাব ফেলছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আগস্টে সৌদি আরব চীনে প্রায় ৫১ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল রপ্তানির প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
তবে ওপেক ও তাদের মিত্রদের (ওপেক+) আগস্ট থেকে দৈনিক ৫ লাখ ৪৮ হাজার ব্যারেল উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত তেলের দাম বৃদ্ধির গতি কমিয়ে দিতে পারে। সেপ্টেম্বরে উৎপাদন আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, চলতি বছরের শেষ ভাগে এই অতিরিক্ত সরবরাহ বিশ্ববাজারে চাপ তৈরি করতে পারে, যার ফলে দাম কমে যেতে পারে।
এ ছাড়া ওপেক তাদের ২০২৬-২০২৯ সালের বৈশ্বিক তেলের চাহিদার পূর্বাভাস কমিয়ে এনেছে। চীনে তেলের চাহিদা কমতে পারে এমন আশঙ্কায় ২০২৬ সালের গড় দৈনিক চাহিদা ১০৬ দশমিক ৩ মিলিয়ন ব্যারেল হবে বলে জানানো হয়েছে, যা পূর্বাভাসের তুলনায় কম।
তথ্যসূত্র : রয়টার্স
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৩৫:২৩ ১৬ বার পঠিত