গাজায় হামলা আরও জোরালো করেছে ইসরাইলি বাহিনী। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) গাজা উপত্যকা জুড়ে ইসরাইলি হামলা ও গুলিবর্ষণে কমপক্ষে ৭৯ জন নিহত হয়েছেন, যার বেশিরভাগই গাজা সিটিতে। এ নিয়ে ইসরাইলের হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৬৫ হাজার ছাড়াল বলে জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধে হতাহতের সর্বশেষ দৈনিক পরিসংখ্যানগত আপডেট প্রকাশ করেছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরাইলি হামলায় নিহত কমপক্ষে ৭৯ জন ফিলিস্তিনির মৃতদেহ অবরুদ্ধ অঞ্চল জুড়ে হাসপাতালে আনা হয়েছে। যেখানে ২২৮ জন আহত হয়েছেন।
এই পরিসংখ্যানে নিহত ও আহতের মোট সংখ্যা বলা হয়েছে, যথাক্রমে ৬৫,১৪১ এবং ১,৬৫,৯২৫ জন।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রকৃত সংখ্যা সম্ভবত আরও বেশি কারণ ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেক দেহাবশেষ আটকা পড়েছে।
এদিকে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা শহর ছেড়ে যেতে ৪৮ ঘন্টার জন্য একটি অতিরিক্ত পথ খুলে দিচ্ছে যা ফিলিস্তিনিরা ব্যবহার করতে পারবেন। বুধবার তারা শহরটিকে বেসামরিক লোকদের খালি করার এবং হাজার হাজার হামাস যোদ্ধার মুখোমুখি হওয়ার প্রচেষ্টা জোরদার করেছে।
এদিকে, রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লক্ষ লক্ষ মানুষ শহরে আশ্রয় নিচ্ছে এবং অনেকেই ইসরাইলের দক্ষিণে যাওয়ার নির্দেশ মানতে অনিচ্ছুক, কারণ পথে বিপদ, দক্ষিণাঞ্চলে খাদ্যের অভাব এবং স্থায়ীভাবে বাস্তুচ্যুতির আশঙ্কা রয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে ফিলিস্তিনের সংগঠন হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় চলমান অভিযান চালাচ্ছে নেতানিয়াহুর বাহিনী। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরাইলের প্রায় ১২০০ জন নিহত এবং প্রায় ২০০ জনকে বন্দি করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, ইসরাইলের অতি-ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ গাজাকে একটি সম্ভাব্য রিয়েল এস্টেট সম্পদ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং আরও বলেছেন যে, তিনি কীভাবে এটি ভাগ করা যায় তা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সক্রিয়ভাবে আলোচনা করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:২০:২৩ ৯ বার পঠিত