মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের আপত্তি নেই এনসিপির : সারজিস

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের আপত্তি নেই এনসিপির : সারজিস
মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫



ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের আপত্তি নেই এনসিপির : সারজিস

নির্বাচনের সময় নিয়ে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন দিতে চায় সেখানে এনসিপির কোন আপত্তি থাকবে না। তবে আমরা একটা দৃশ্যমান বিচার দেখতে চাই। জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি চাই।
যেটার মধ্য দিয়ে মৌলিক সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন হবে।’

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলার বিভিন্ন দুর্গাপূজার মণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, ‘আমাদের শাপলা প্রতীক পাওয়ার সাথে নির্বাচন এগিয়ে আনা আ পেছানোর কোন সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশন বাইরের চাপে পিষ্ট না হয়ে শাপলা দিবে এটা আমাদের প্রত্যাশা।
এর জন্য আইনগতভাবে কিংবা রাজপথে যেতে হলেও আমরা যাবো। যাদের নির্বাচন পেছানোর কালো উদ্দেশ্য আছে, যারা বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তারাই নিজেদের চক্রান্ত অন্যদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার জন্য নানা কথা বলছে।’

তিনি বলেন, ‘কেবল নিজেদের প্রয়োজনে আওয়ামী লীগ সনাতন ধর্মালম্বীদের কাছে যেত। তাদের সময়ে মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলেও দৃশ্যমান শাস্তি ও বিচার দেখতে পাইনি।
এ কারণে ওই টুলটাকে ষড়যন্ত্রকারীরা বার বার ব্যবহার করেছে এবং ধর্মীয় সম্প্রীতির জায়গায় ব্যাঘাত করার চেষ্টা করেছে। আমরা বর্তমান সরকারের কাছে দাবি রাখবো এমন ঘটনা ঘটলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির যেন ব্যবস্থা করা হয়। তবে গতকাল থেকে পঞ্চগড়ে যতগুলো মণ্ডপ পরিদর্শন করেছি কোথায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাইনি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ছিলো সন্তোষজনক।’

তিনি বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) টুল ব্যবহার করে প্রতিমার বিকৃতি এনে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে।
বাস্তবে গিয়ে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। ভারতীয় প্রোপাগান্ডা মিডিলা সেল রয়েছে। তাদের মাধ্যমে ভারতীয় কিছু মিডিয়া হাউজ থেকে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়। তারা দেখাতে চায় আমাদের মধ্যে সম্প্রীতি নেই। কিন্তু গ্রামে গিয়ে দেখবেন হিন্দু মুসলমান একসাথে বসে খায়। একজনের বাড়িতে অন্যজনকে দাওয়াত করে।’

সারজিস বলেন, ‘সনাতন ধর্মালম্বী তাদের প্রাপ্যটুকু দিতে হবে। আমরা তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছি। গণঅভ্যত্থানের পরে অনেক খাস জমি জাল দলিল করে দখল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যেখানে সনাতন ধর্মালম্বীদের শ্মশান, মন্দির, প্রতিমা বিসর্জনের স্থানসহ ধর্মীয় বিভিন্ন স্থাপনা ছিলো। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করবো কমিশন গঠন করে এসব ঘটনায় যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’

এ সময় এনসিপি ও জাতীয় যুবশক্তি পঞ্চগড়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তিনি প্রতি মণ্ডপের জন্য কিছু নগদ অর্থ তুলে দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:২৮:৪৩   ১৫৩ বার পঠিত