![]()
রাশিয়া সেভমাশ জাহাজঘাটিতে নতুন ভারী পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ক্রুজার-শ্রেণির সাবমেরিন খাবারোভস্ক আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোসোভ ও নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আলেকজান্ডার মোইসেয়েভ।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, সাবমেরিনটি পানির নিচের অত্যাধুনিক অস্ত্র ও রোবোটিক সিস্টেম বহনে সক্ষম করা হয়েছে এবং এটি ভবিষ্যতে পোসাইডন নামের পারমাণবিক-চালিত অটোনোমাস আন্ডারওয়াটার ড্রোন বহন করবে।
রুশ মিডিয়া ও বিশ্লেষকরা বলছেন, খাবারোভস্ক-শ্রেণির সাবমেরিনগুলোকে পোসাইডন ড্রোন বহনের প্রধান প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ধরা হচ্ছে এবং মস্কো এসব সাবমেরিনের সংখ্যা বাড়িয়ে নিতে আগ্রহী কিছু প্রতিবেদন অনুসারে ভবিষ্যতে এ ধরনের সাবমেরিন কমপক্ষে কয়েকটি ডজন পর্যন্ত চাইতে পারে। সাবমেরিনটি বর্তমানে সমুদ্র-পরীক্ষা চালাবে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
অন্যদিকে রুশ সরকার সম্প্রতি জানিয়েছে যে তারা সফলভাবে একটি পোসাইডন ড্রোনের পরীক্ষাও সম্পন্ন করেছে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন পরীক্ষায় ড্রোনটি প্রকৃতপক্ষে কার্যকর হয়েছে এবং এতে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত রিঅ্যাক্টরটি প্রচলিত সাবমেরিন রিঅ্যাক্টারের তুলনায় ছোট। রুশ কর্তাদের বিবৃতি অনুসারে পোসাইডনকে দক্ষ অপারেশন ও দীর্ঘ দূরত্বের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
তবে আন্তর্জাতিক সামরিক বিশ্লেষক ও কিছু পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম পোসাইডনের বাস্তব-ক্ষমতা, পরিসর ও পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন রাশিয়ার কিছু দাবি পরীক্ষা-নির্ভর প্রমাণ ছাড়া অতিরঞ্জিত দেখাতে পারে এবং সম্ভাব্য কার্যকর পরিসর, নির্দেশনা ও নির্ভরযোগ্যতার বিষয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। এছাড়া এই ধরনের পারমাণবিক-চালিত উপকরণ বহনের পরিবেশগত ঝুঁকি ও শান্তিকালীন সমুদ্রজাগোয়া প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে।
মস্কো এই প্রযুক্তিকে তাদের কৌশলগত সমুদ্রক্ষমতা ও পারমাণবিক ন্যায়সঙ্গততা বাড়ানোর হিসেবে উপস্থাপন করছে। তবে পশ্চিমা নীতিনির্ধারক ও নিরাপত্তা পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এমন অস্ত্রের বাস্তবপ্রয়োগ ও নিয়মনীতি নিয়ে গলদ এবং আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া নতুন নিরাপত্তা-চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। রাশিয়ার ঘোষণা ও পরীক্ষার খবর সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক বৈশ্বিক নিরাপত্তা আলোচনা ও নিষ্প্রভায়ন-চর্চায় নতুন বিষয় যোগ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৫৮:৩৭ ৫৬ বার পঠিত