![]()
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে এক বছর ধরে পুলিশের সহায়ক হিসেবে কাজ করছেন বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সরকারের পক্ষ থেকে আগামী জুন মাস পর্যন্ত বাজেট রয়েছে তাদের জন্য। তবে শিক্ষার্থীরা চাইছেন, অভিজ্ঞতার আলোকে দীর্ঘ মেয়াদে ট্রাফিক বিভাগে যুক্ত করা হোক।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভুত্থ্যানের পর কার্যত ভেঙে পড়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। সেই সময় টানা ৬ দিন সড়কের হাল ধরেন শিক্ষার্থীরা। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে রাখেন বড় ভূমিকা। এরই সুবাদে পুলিশের সহায়ক হিসেবে প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থীকে ট্রাফিক বিভাগে নিয়োগ দেয় সরকার। পর্যায়ক্রমে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় এক হাজারে।
প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালনের জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সম্মানী দেয়া হচ্ছে ৫০৪ টাকা। তারা বলছেন, এই সম্মানীতে একদিকে যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন, অন্যদিকে ক্যারিয়ারে যুক্ত হচ্ছে নতুন অভিজ্ঞতা। তাই তারা চাইছেন, ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাকা শহরে এই কর্মকাণ্ড চলমান থাকুক।
শিক্ষার্থীদের এই দায়িত্ব পালন নিয়ে নগরবাসীর মাঝেও রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকে বলছেন, শিক্ষার্থীরা কাজ করায় যানজট কম হচ্ছে। এটা শিক্ষার্থীদের জন্যও ভালো হচ্ছে। কেউ বলছেন, এ কাজ করে তারা দিনের টাকা দিনে পাচ্ছেন। এ কাজের ভবিষ্যৎ নেই। এটাকে তারা খণ্ডকালীন কাজ হিসেবে নিতে পারে। আর পুলিশ বলছে, একটা ক্রসিংয়ে দেখা গেল লোক দরকার ৫ জন। সেখানে ৪ জন দিয়ে কভার করতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা সাহায্য করছেন।
তবে শিক্ষার্থীদের খণ্ডকালীন এই কাজে সন্তুষ্ট ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এর মেয়াদ জুনের পরেও বাড়বে কি না সেই সিদ্ধান্ত সরকারের।
ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন,
আমরা এখন পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে ভালো সহায়তা পাচ্ছি। সুতরাং আমাদের তো আবেদন থাকবেই যে, এমন একটি গ্রুপ আমাদের সঙ্গে ভবিষ্যতে কাজ করুক। আমাদের যেহেতু জনবল সংকট রয়েছে, তাই তাদেরকে আমাদের সঙ্গে রাখা গেলে নগরবাসী উপকৃত হবে। এই বিষয়টি ভবিষ্যতে সরকারের ওপর নির্ভর করবে।
ডিএমপির ৮ বিভাগে বর্তমানে পুলিশের সহায়ক হিসেবে কাজ করছেন ৮৫৩ শিক্ষার্থী। প্রতিদিন দুই শিফটে দায়িত্ব পালন করছেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১১:২৫:৫৬ ৮ বার পঠিত