![]()
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত নেতা আবু জাফর আহমেদ বাবুল বলেছেন, “আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হলে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।” তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ আবারও নাশকতার ইঙ্গিত দিচ্ছে, তাই সংগঠনকে এক কাতারে দাঁড় করানো এখন সময়ের দাবি।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ঘোষিত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির বিরুদ্ধে মহানগর বিএনপির আয়োজনে মিশনপাড়ার হোসিয়ারি সমিতির সামনে র্যালির পূর্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
বাবুল বলেন, অতীতে অনেক বিচার হয়েছে, কিন্তু সেগুলো বিশ্বাসযোগ্য ছিল না। আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে গেলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার শাস্তি নির্ধারিত হবে।
মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম বলেন, গত ১৭ বছর শেখ হাসিনার শাসনমেয়াদ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায় সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, “আজ সারা দেশের মানুষ আশাবাদী—শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তির মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হোক।” তিনি আরও বলেন, বিএনপির বর্তমান ঐক্য ভবিষ্যতের রাজনৈতিক লড়াইয়ে বড় হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে।
সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, “ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার হাত রক্তে রঞ্জিত। গত ১৫ বছরে তিনি বিডিআরসহ অজস্র মানুষকে খুন, গুম ও হত্যা করেছেন। ৫ আগস্টের জুলাই বিপ্লবে ১৪ হাজার বিএনপি ও ছাত্রজনতাকে হত্যা করা হয়েছে—নারায়ণগঞ্জেই ৫৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে।” তিনি দাবি করেন, এসব হত্যাকাণ্ড শেখ হাসিনার নির্দেশেই হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা এবং বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য হত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন। এখন দেশের স্বাধীনতা, বিচার বিভাগ ও গণতন্ত্র নিয়ে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত চলছে এবং সেই চক্রান্তকে প্রশ্রয় দিতেই তিনি বিদেশে বসে বিভিন্ন বিভ্রান্তিমূলক কর্মসূচি দিচ্ছেন। তবে দেশের মানুষ তার সব কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান করেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সাখাওয়াত আরও বলেন, “এই দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষ শেখ হাসিনার বিচার ও শাস্তি চায়। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
র্যালি-পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন— মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশা, মনির হোসেন খান, ফতেহ রেজা রিপন, সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, অ্যাড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, বরকত উল্লাহ, ফারুক হোসেন, বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা, মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩১:৪২ ৮ বার পঠিত