
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৩ বছর বন্ধ থাকার পর আবারও চালু হতে যাচ্ছে সরাসরি ফ্লাইট। সবকিছু ঠিক থাকলে ডিসেম্বরেই প্রাথমিকভাবে ঢাকা-করাচি রুটে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট চলবে। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং বাণিজ্যিক আদান-প্রদানের ওপর এই
দীর্ঘদিনের নীরবতা ভেঙে আবারও আলোচনার টেবিলে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক। ২৪-এর আগস্ট-পরবর্তী সময় থেকে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিকের পথে। সম্প্রতি পাকিস্তানের শীর্ষ মন্ত্রীদের সফর দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে যোগ করেছে নতুন মাত্রা।
স্বাক্ষরিত হয়েছে কূটনীতি, বাণিজ্য ও সংস্কৃতি বিনিময় জোরদারের লক্ষ্যে একাধিক সমঝোতা স্মারক। এরই ধারাবাহিকতায় প্রায় ১৩ বছর বন্ধ থাকার পর খুলতে যাচ্ছে ঢাকা-করাচির আকাশপথ। দুই দেশের মধ্যে ফ্লাইট চলাচলের জন্য বাংলাদেশ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স; অন্যদিকে পাকিস্তানের দুটি বেসরকারি বিমান সংস্থা ফ্লাইট জিন্নাহ ও এয়ার সিয়াল সম্প্রতি বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, এই রাজনৈতিক সদিচ্ছা অর্থনৈতিক লাভের দিকে যাবে কিনা, সেটি দেখতে হবে। কারণ দুই দেশের জনগণ ও ব্যবসায়ীরা যদি এর মধ্যে অর্থনৈতিক কোনো লাভ না খুঁজে পান, তাহলে এই উদ্যোগে খুব বেশি উৎসাহী হবেন না।
এই ফ্লাইট দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং সংযোগ শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এটিকে দক্ষিণ এশীয় অর্থনীতির বৃহৎ প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করতে হবে। কারণ দক্ষিণ এশিয়ায় এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। তাই নতুন করে দুই দেশের মধ্যে এই যোগাযোগ শুরু হলে ব্যবসা-বাণিজ্যে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশে বাণিজ্য করতে পাকিস্তানের অনেক কোম্পানিই এখন আগ্রহী বলেও জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, পাকিস্তানের অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আবারও ব্যবসা করতে আসতে চাচ্ছে।
উল্লেখ্য, নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ দেখিয়ে ২০১২ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার বন্ধ করে দিয়েছিল এই আকাশপথ।
বাংলাদেশ সময়: ১২:৩৫:৩০ ২৩ বার পঠিত