শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫

বিমানবন্দরে বিপুল পরিমাণ স্পাই ডিভাইসসহ আটক ২

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » বিমানবন্দরে বিপুল পরিমাণ স্পাই ডিভাইসসহ আটক ২
শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫



বিমানবন্দরে বিপুল পরিমাণ স্পাই ডিভাইসসহ আটক ২

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বহিরাঙ্গন এলাকা থেকে এয়ারপোর্ট (১৩) আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন নিয়োগ পরীক্ষা ও ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইস ও অন্যান্য সামগ্রীসহ দুজনকে আটক করেছে।

আটকরা হলো শাহারুন আলী (৩৮) ও মো. ইকবাল হোসেন জীবন (৩৫)। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে তাদের আটক করা হয়।

আজ শুক্রবার এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ অফিসে নিয়ে আসা হলে তাদের কাছ থেকে ৭৬ পিস ডিজিটাল ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইস, ৫০টি ইয়ারপিস, ৩টি ল্যাপটপ ও ৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত দুজন জানায়, গ্রেপ্তারকৃত শাহারুন আলী (৩৮) সাধারণ যাত্রীবেশে চীন থেকে এই ডিভাইসগুলো এনে এবং পরবর্তীতে এয়ারপোর্টে অপেক্ষারত চক্রের আরেক সদস্য মো. ইকবাল হোসেন জীবনসহ (৩৫) একসঙ্গে এয়ারপোর্ট ত্যাগের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই স্পাই ডিভাইসগুলো বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষা ও ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত হয়। এতে থাকে ক্রেডিট কার্ডসদৃশ ডিভাইস, অদৃশ্য ইয়ারপিস এবং স্বচ্ছ এক্সট্রাকশন থ্রেড। মূল ডিভাইসটি দেখতে ক্রেডিট কার্ড সদৃশ হওয়ায় এগুলোকে সহজে শনাক্ত করা যায় না।
এই স্পাই ডিভাইসগুলো সিমের মাধ্যমে সংযুক্ত করে অসাধু পরীক্ষার্থীরা নিয়োগ পরীক্ষা ও ভর্তি পরীক্ষার হলে নিয়ে যায় এবং অপর প্রান্তে যুক্ত থাকে পরীক্ষা জালিয়াত চক্রের সদস্যরা। ক্রেডিট কার্ডসদৃশ ডিভাইসটি সিমের সঙ্গে সংযুক্ত করে শরীরের কাছে রাখলে বা ঝুলিয়ে রাখলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইনকামিং কল রিসিভ করে। অদৃশ্য ইয়ারপিস খুব ছোট হয় যা কানের গহ্বরে প্রবেশ করানো হয় এবং বাইরে থেকে বোঝা যায় না। এর মাধ্যমে পরীক্ষার হলের বাইরে থাকা অসাধু চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপিত হয়।
পরীক্ষা শেষে অসাধু পরীক্ষার্থীরা স্বচ্ছ এক্সট্রাকশন থ্রেডের মাধ্যমে ইয়ারপিসটি নিরাপদে বের করে আনে। উক্ত ঘটনায় আজ ১২ ডিসেম্বর শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার বিমানবন্দর থানায় তাদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন এর ২৫ বি এর ১ (বি)/২৫-ডি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এয়ারপোর্ট (১৩) আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অপারেশনাল কমান্ডার পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মাদ মোজাম্মেল হক জানান, ‘এই ডিভাইসগুলো আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য এবং ইতিপূর্বে জালিয়াতির কাজে অসাধু ব্যক্তিরা নিয়োগ পরীক্ষা ও ভর্তি পরীক্ষায় ব্যবহার করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। আমরা যেকোনো অসাধু কার্যক্রম ঠেকাতে নিয়মিত ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা করছি।’

বাংলাদেশ সময়: ১৬:৪১:৪৭   ৯ বার পঠিত