ইরাকের কুর্দিস্তানে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে রবিবার। গণভোটের এক বছর পর অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চলটিতে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এক বছর আগে স্বাধীনতার প্রশ্নে অনুষ্ঠিত ওই গণভোট অঞ্চলটির জন্য নেতিবাচক ফলাফল বয়ে এনেছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
গত সেপ্টেম্বরের বিতর্কিত নির্বাচনের পর থেকে অঞ্চলটিতে কলহ-বিবাদ লেগেই আছে। সেখানে চলমান এই অসন্তোষ ও মতানৈক্য সত্ত্বেও রবিবারের এই নির্বাচন রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ওই অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী সুলেইমানিয়ায় বসবাস করা ওমর করিম বলেন, ‘কুর্দিরা ওই গণভোটের কারণে অনেক কিছু হারিয়েছে’।
তিনি আরো বলেন, ‘গণভোটের ফলে আমরা যা হারিয়েছি এই নির্বাচন তা ফিরিয়ে দিতে পারবে না। কুর্দি নেতারা তাদের ভুল থেকে শিক্ষা নিচ্ছেন না’।
গত বছরের গণভোটে ৯২ শতাংশ কুর্দি স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দেয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার ভোটটিকে ‘অবৈধ’ আখ্যায়িত করে বাতিল করে দেয়।
বাগদাদ কুর্দি বাহিনীকে তেলক্ষেত্রগুলো থেকে হটিয়ে দিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠায়। এই তেলক্ষেত্রগুলো স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চলটির অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আঞ্চলিক প্রেসিডেন্ট মাসুদ বারজানি নভেম্বরে পদত্যাগ করেছেন। ইরাকের সাবেক স্বৈরশাসক সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর থেকে তিনি ওই অঞ্চলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তিনি ওই গণভোট আয়োজনের প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছেন।
বারজানির কুর্দিস্থান ডেমেক্র্যাটিক পার্টি কেডিপি) রবিবারের নির্বাচনে প্যাট্রিওটিক ইউনিয়ন অব কুর্দিস্তান (পিইউকে) ও গোরান (পরিবর্তন) পার্টির এর সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। ২০১৮ সালে গঠিত নিউ জেনারেশন মুভমেন্ট নতুন দল হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪৩:০৪ ২২৭ বার পঠিত