তথ্য অধিকার আইন জনগণের ক্ষমতায়ন ও সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত
করেছে। আগে গোপনীয়তা নষ্ট হবে কারণ দেখিয়ে মানুষকে তথ্য দেওয়া হতো
না, এখন তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে মানুষের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত
হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আজ ‘আন্তর্জাতিক
তথ্য অধিকার দিবস ২০১৮’ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে তথ্য
কমিশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা
বলেন। এতে মূলবক্তব্য পাঠ করেন প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ। এবছর
দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘মুক্ত সমাজের জন্য উন্মুক্ত আইন: টেকসই
উন্নয়নে তথ্যে অভিগমন’।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, দেশে ১১২০টি নিবন্ধিত সংবাদপত্র আছে।
৩০টি টেলিভিশন চ্যানেল আছে। অসংখ্য অনলাইন পত্রিকা আছে। এসব প্রমাণ
করে যে, সরকার মানুষের বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে।
প্রধান তথ্য কমিশনার বলেন, তথ্যের বিশাল চাহিদা থাকলেও তথ্যপ্রাপ্তির
জন্য অনেক কম আবেদন জমা পড়ে থাকে। নিরক্ষরতা, দারিদ্র্য, প্রশাসনিক পদ্ধতি
সম্পর্কে অনভিজ্ঞতা এর জন্য দায়ী বলে প্রধান তথ্য কমিশনার উল্লেখ করেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তথ্য অধিকার আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়
বলে জানান প্রধান তথ্য কমিশনার। তথ্য অধিকার আইনে অবাধ তথ্য পাওয়ার
অধিকার আছে। অন্য কোনো আইনের মাধ্যমে এই আইনের বিধান ক্ষুন্ন
হবে
না।
সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের
দায়িত্বে অতিরিক্ত সচিব মোঃ আবুয়াল হোসেন। তথ্য কমিশনের কমিশনারসহ
অন্যান্য কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৬:৩৪ ৩৫৫ বার পঠিত