হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট বিল পাস

প্রথম পাতা » আইন আদালত » হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট বিল পাস
সোমবার, ২২ অক্টোবর ২০১৮



ইমারতের জন্য নকশা তৈরি, নির্মাণ, মানববসতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যার ওপর কারিগরি ও বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান এবং গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি আইন করা হয়েছে। ‘হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট আইন-২০১৮’ এই বিলটি সংসদে পাস হয়েছে। ‘বর্তমানে হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট অর্ডিন্যান্স-১৯৭৭’ রহিত হরে এটি পাস হলো। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, সামরিক সরকারের অধ্যাদেশগুলো আইনে পরিণত ও বাংলা ভার্সনে প্রণয়নের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ৩০ বছর আগের এই অধ্যাদেশটিকে আইনে পরিণত করল।

সোমবার জাতীয় সংসদে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এ সময় সংসদের সভাপতিত্বে ছিলেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

প্রস্তাবিত এই আইনের তিন ধারায় অর্ডিন্যান্সের অধীনে থাকা হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ধারাবাহিকতা রাখা হয়েছে। ইনস্টিটিউটের পরিচালনা ও প্রশাসনের দায়িত্ব একটি পরিচালনা পর্ষদের উপর ন্যস্ত থাকবে।

ছয় নম্বর ধারা অনুযায়ী ‘ইনস্টিটিউটের কার্যাবলি ’ অংশে ইমারত নকশা প্রণয়ন ও নির্মাণ, নির্মাণ উপকরণ-শিল্প এবং মানববসতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যার ওপর কারিগরি ও বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান এবং গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সেইসঙ্গে দেশজ নির্মাণ উপকরণের প্রাপ্যতা, উন্নয়ন ও ব্যবহার এবং পরিবেশবান্ধব নির্মাণ উপকরণের উন্নয়নে গবেষণা পরিচালনা করবে ইনস্টিটিউট।

এছাড়া দুর্যোগ সহনীয়, আধুনিক কৌশল, টেকসই নতুন উপকরণ এসব বিষয়ে যৌথ সমীক্ষা পরিচালনা ও গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ করবে রিসার্চ ইনস্টিটিউট।

প্রস্তাবিত আইনের সাত ধারা অনুযায়ী, একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকবে। পর্ষদে ২১ জন সদস্য থাকবেন। এর মধ্যে গৃহায়ণমন্ত্রী পর্ষদের চেয়ারম্যান এবং সচিব পদাধিকার বলে ভাইস চেয়ারম্যান হবেন। তবে মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী থাকলে তিনিই ভাইস চেয়ারম্যান হবেন এবং সচিব সদস্য হিসেবে থাকবেন।

প্রস্তাবিত আইনের ১২ ধারায় হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের একজন মহাপরিচালকের পদ রয়েছে। গৃহায়ণ ও ইমারত নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্য থেকে নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে মহাপরিচালক নিয়োগ দেবে সরকার।

১৭ ধারায় ইনস্টিটিউটের তহবিলের বিষয়ে বলা হয়েছে, সরকার, ব্যক্তি, সংস্থা বা স্থানীয় কোনো কর্তৃপক্ষ তহবিলে অর্থ দিতে পারবেন। তবে, বিদেশি সংস্থার কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করলে সরকারের অনুমতি নিতে হবে।

আইনের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট আইন-২০১৮’ প্রণীত ও বাস্তবায়িত হলে পরিবেশবান্ধব, দুর্যোগ সহনীয়, ব্যয়সাশ্রয়ী ও ব্যাপক জনগোষ্ঠীর ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে সকলের জন্য আবাসন সহজলভ্য করার স্বার্থে সুপরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে।

মোশাররফ হোসেন বলেন, গবেষণা ও পরীক্ষার মাধ্যমে গৃহায়ণ ও নির্মাণ ক্ষেত্রে যুগোপযোগী জ্ঞান আহরণ, দেশীয় নির্মাণ উপকরণের সর্বোত্তম ব্যবহার এবং পরিবেশবান্ধব দুর্যোগ সহনীয় ও সাশ্রয়ী আবাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৩ জানুয়ারি ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন গণপূর্ত ও নগর উন্নয়ণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ সেন্টার প্রকল্প’ অনুমোদন করেন।

মন্ত্রী জানান, পরবর্তী সময়ে প্রকল্পের ব্যাপ্তি বিবেচনা করে ১৬ অক্টোবর ১৯৭৭ সালে ‘হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট অর্ডিন্যান্স, ১৯৭৭’ জারি করা হয়। সম্প্রতি মন্ত্রিসভা বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তর আলোকে অধ্যাদেশটি সংশোধন ও পরিমার্জন করে নতুন আইন আকারে বাংলা ভাষায় প্রণয়ন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৩:২৬   ২১৫ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আইন আদালত’র আরও খবর


এমসি কলেজে দলবেঁধে ধর্ষণ: আদালত পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
পিকে হালদারের সহযোগী শঙ্খ ব্যাপারী কারাগারে
নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ফের রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি
আর্থিক বিচারে এখতিয়ার বাড়লো সিভিল কোর্টের
সাবেক বিচারক শাহবাগ থানায় মেয়ের বিরুদ্ধে জিডি করলেন
কারাগারে ফরিদপুরের দুই ইউপি চেয়ারম্যান
নারী সাক্ষীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করায় বিচারক প্রত্যাহার
রাজধানীতে মা-ছেলে হত্যা মামলায় স্বামীসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
বিকৃত যৌন আচরণের শিকার হচ্ছে নারী ও শিশুরা
মাদক মামলায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিচার শুরু

আর্কাইভ