পথ দেখিয়েছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু৷ শুক্রবার অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শনিবার আরও একধাপ এগিয়ে সিবিআইকে দেওয়া রাজ্যের ‘জেনারেল কনসেন্ট’ প্রত্যাহার করে নিল নবান্ন৷ এর ফলে রাজ্যের অনুমতি ছাড়া সিবিআই বাংলায় ঢুকে আর কোনও মামলার তদন্ত, জিজ্ঞাসাবাদ বা গ্রেফতার করতে পারবে না৷
বিরোধীদের অভিযোগ কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি সিবিাইকে ভূল উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে৷ সিবিআই তার স্বাতন্ত্রতা হারিয়েছে৷ বকলমে কেন্দ্রীয় শাসক দল সিবিআই পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করছে৷ সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে সুর চড়ানোর ক্ষেত্রে তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীই ছিলেন প্রথম সারিতে৷ তারপর সেই পথের পথিক হতে দেখা যায়, চন্দ্রবাবু নাইডু, লালু প্রসাদ যাদব, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মায়াবতীদের৷
মনে করা হচ্ছে সিবিআইকে আটকে কার্যত মোদী সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে চন্দ্রবাবু ও তৃণমূল নেত্রীর এই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব গেরুয়া শিবির৷ তাদের দাবি, সিবিআই তদন্তে অনেক গোপন চথ্য সামনে চলে আসবে৷ ফলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের প্রধানরা ভয় পেয়েই আইনের মাধ্যমে সিবিআইকে আটকাতে চাইছে৷
আরও পড়ুন: মাঝেরহাট ব্রিজ বিপর্যয়, রাজ্যের কাছে ১০ কোটি ক্ষতিপূরণ দাবি রেলের
১৯৮৯ সালে বামফ্রন্ট সরকার সিবিআইকে রাজ্যে প্রবেশ করে তদন্তের জন্য ‘জেনারেল কনসেন্ট’ দেয়৷ এরপর সেই অনুমতি রাজ্যের তরফে বজায় ছিল৷ তবে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে সারদা থেকে নারদা, একাধিক মামলার তদন্ত শুর করে সিবিআই৷ শুরু হয় কেন্দ্র রাজ্য সংঘাত৷
শুক্রবার নেতাজী ইন্ডোরে দলের কোর কমিটির বৈঠকেই তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘চন্দ্রবাবু ঠিক করেছেন৷ এবার আমিও রাজ্যে সিবিআই কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে চিন্তাভাবনা করছি৷’’ এরপরই নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়, সিবিআইয়ের তরফে ‘লেটার ওফ কনসেন্ট’ প্রত্যাহার করা হল৷
এর ফলে ১৯শের ভোটে আগে কেন্দ্র রাজ্য সংঘাত নয়া মাত্রা নেবে বলে মনে করা হচ্ছে৷
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৯:৪৬ ২৬৩ বার পঠিত