নিউজটুনারায়ণগঞ্জঃ সনবিরোধী আন্দোলনের পথিকৃৎ, সংস্কারক, ধর্মীয় চিন্তাবিদ তিতুমীরের ইংরেজ শাসন বিরোধী আন্দোলনের প্রথিকৃৎ ধর্মীয় চিন্তাবিদ তিতুমীরের আজ শাহাদাত দিবস। ১৮৩১ সালের এই দিনে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্রে তিনি শহীদ হন।
দেশপ্রেমিক-স্বাধীনচেতা ক্ষণজন্মা পুরুষ তিতুমীরের জন্ম ১৭৮২ সালে চব্বিশ পরগনায় এক কৃষক পরিবারে। তার আসল নাম আসল নাম মীর নিসাস আলী। কিন্তু প্রসিদ্ধি পেয়েছেন তিতুমীর নামে। অপ্রতিদ্বন্দি পাহলেওয়ান ছিলেন তিনি। বাংলা, আরবি, ফার্সি ভাষায় ছিলো ব্যাপক দখল। ১৮২২ সালে হজে¦র জন্যে মক্কায় গিয়ে ওহাবী আন্দোলনের নেতা সৈয়দ আহম্মদ বেরেলভীর কাছে ওহাবী মতবাদ গ্রহণ করেন। দেশে ফেরেন ১৮২৭ সালে। দেশে ফিরে ওহাবী মতবাদ করে বেশ সাড়া জাগিয়ে তোলেন। জমিদারদের স্বার্থে আঘাত লাগায় তারা তিতুমীরকে জব্দ করার চেষ্টা করেন। ফকির মিসকিন শাহর সহযোগিতায় তিতুমীরের শক্তি বৃদ্ধি পায় ।
জমিদারদের সঙ্গে বেশ ক’বার সংঘাত-সংঘর্ষ, যুদ্ধ হয়। ইংরেজরা জমিদারদের পক্ষ নেয়। তিতুমীর যুদ্ধ ঘোষণা করেন ইংরেজদের বিরুদ্ধে। নিজেকে ঘোষণা করেন বাদশা বলে। ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই পরিচালনার জন্য ১৮৩১ সালের ২৩ অক্টোবর নারিকেল বাড়িয়ায় বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করেন। প্রচুর ভক্ত জোটে তার। এদেরকে যুদ্ধবিদ্যা শেখান। গভর্নর জেনারেল লর্ড উইলিয়াম বেন্টিংক তিতুমীরকে শায়েস্তা করতে সৈন্য পাঠান। ইংরেজদের কামানের গোলায় তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা ধ্বসে পড়ে। তিনি হন শহীদ। বন্দী করা হয় তার ৩৫০ অনুসারীকে । ফাঁসিতে হত্যা করা হয় তিতুমীরের প্রধান সেনাপতি (সম্পর্কে তার ভাগ্নে) মাসুম খানকে।
১৮২৮ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে অষ্ট্রিয়ার খ্যাতনামা সঙ্গীতজ্ঞ ফ্রান্তেয সোবের্ট মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ১৭৯৭ সালে ভিয়েনার উপকণ্ঠে একটি দরিদ্র পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। অষ্ট্রিয়ার এই সঙ্গীত শিল্পী যুবক বয়স থেকেই সঙ্গীতের চর্চা শরু করেন এবং তিনি তার দীর্ঘ জীবনে ৬০০’র বেশী তারানা সৃষ্টি করেন। যন্ত্রসঙ্গীতে তিনি বিরাট অবদান রাখলেও বিশেষ করে এ শিল্পে নতুন নতুন ধারা সৃষ্টি করলেও এ ক্ষেত্রে অসামান্য যোগ্যতা তার দারিদ্র্য বিমোচনে কোন কাজে আসেনি। কারণ তিনি জীবিত থাকাকালে এ শিল্প জনপ্রিয়তা পায়নি। কিন্তু তিনি মারা যাওয়ার পর মানুষ তার প্রতিভা ও সৃজনশীলতার বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারে।
১৯৭৭ সালের এই দিনে মিশরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত অধিকৃত বায়তুল মোকাদ্দাস সফর করেন। তিনিই ছিলেন প্রথম একটি আরব দেশের রাষ্ট্র প্রধান যিনি অধিকৃত ফিলিস্তিন সফর করেন। তার এ সফরের ফলে ইসরাইলের সাথে মিশরের সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হয় এবং তেলআবিবের সাথে কায়রোর তথাকথিত শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আনোয়ার সাদাতের এ পদক্ষেপে আরব মুসলমানরা বিশেষ করে ফিলিস্তিনীরা প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। কিন্তু তারপরও আনোয়ার সাদাত পরের বছর অর্থাৎ ১৯৭৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় বায়তুল মোকাদ্দাস দখলদার ইসরাইলের সাথে বিতর্কিত ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি স্বাক্ষর করে। অধিকাংশ আরব দেশসহ অনেক মুসলিম রাষ্ট্র আনোয়ার সাদাতের এ পদক্ষেপের প্রতিবাদে মিশরের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে। মিশরের জনগণও প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। কারণ ইসরাইলের সাথে এ আপোষ চুক্তি ছিল মুসলমানদের সাথে চরম বিশ্বাসঘাতকতা। অবশেষে আনোয়ার সাদাত ১৯৮১ সালে এক সামরিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে খালেদ ইস্তাম্বুলি নামে এক বিপ্লবী সেনা অফিসারের গুলিতে নিহত হন।
১৯৯০ সালের এই দিনে ওয়ারশ’ ও ন্যাটো জোটের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর নেতারা প্যারিসে এক চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে পূর্ব ও প্রাচ্যের দুই ব্লকের মধ্যকার শীতল যুদ্ধের অবসান ঘটান। উভয় জোটের নেতারা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বা বিদ্বেষ ছড়ানো এবং গণবিধ্বংসি অস্ত্র হ্রাসের ব্যাপারে একমত হন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন পরমাণু শক্তিধর হয়ে ওঠায় এবং দুই দেশই পরাশক্তি হিসাবে আবির্ভুত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা পুঁজিবাদি ব্লক ও সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক ব্লকের মধ্যে বিশ্ব বিভক্ত হয়ে পড়ে। সোভিয়েত ইউনিয়ন কিউবায় পরমাণুবাহি ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করায় বিশ্ব পরমাণু যুদ্ধের দ্বার প্রান্তে পৌছে যায়।
অবশেষে এ যুদ্ধ প্রতিহত করার জন্য ওয়াশিংটন ও মস্কো একটি সমঝোতায় আসতে বাধ্য হয়। কিন্তু যুদ্ধের আশংকা দূর হলেও পশ্চিমা ও প্রাচ্য ব্লকের মধ্যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তারের জন্য তীব্র প্রতিযোগিতা অব্যাহত থাকার পাশাপাশি একে অপরের বিরুদ্ধে প্রচারনা ও গুপ্তচর বৃত্তি অব্যাহত থাকে যাকে শিতল যুদ্ধ বলে অভিহিত করা হত। ১৯৮০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ফলে শীতল যুদ্ধ অবসানের ক্ষেত্র তৈরী হয়।
হিজরী ৩৭০ সালের এই দিনে ইরানের বিশ্বখ্যাত দার্শনিক ও চিকিৎসক আবু আলী সিনা জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি তার অসাধারণ প্রতিভাগুনে খুব দ্রুত প্রাথমিক পড়ালেখা শেষ করেন এবং মাত্র দশ বছর বয়সে পুরো কোরআন শরীফ হেফজ করেন। ইবনে সিনা যুক্তিবিদ্যা, জ্যামিতি, দর্শন ও জ্যোতিশাস্ত্রে সে যুগের শ্রেষ্ঠ পন্ডিত হিসাবে আবির্ভুত হন। তিনি সামানি রাজবংশের বাদশাহ মনসুরের একটি কঠিন রোগের চিকিৎসা করতে সক্ষম হওয়ায় বাদশার লাইব্রেরীর বইপত্র পড়ার সুযোগ লাভ করেন এবং এ থেকে তিনি ব্যাপক উপকৃত হন। তিনি বেশ কিছুকাল আদালতের বিচারক হিসাবেও কাজ করেন। তবে যত কাজই থাকুক না কেন এসবের পাশাপাশি তিনি ব্যাপক অধ্যায়ন করতেন। ইবনে সিনা মাত্র একুশ বছর বয়স থেকে গ্রন্থ লেখা শুরু করেন এবং ৫৮ বছর বয়স পর্যন্ত চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এমন সব গ্রন্থ রচনা করে গেছেন যা আজও ব্যবহৃত হচ্ছে। ‘কানুন’ ও ‘শাফা’ তার অন্যতম বিখ্যাত গ্রন্থ। ইরানের খ্যাতনামা এই মুসলিম দার্শনিক ও মনীষী ৪২৮ হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন।
৯৭৩ বছর আগে হিজরী ৪৫৬ সালের এই দিনে মরক্কোর খ্যাতনামা কবি, সাহিত্যিক ও সমালোচক আবু আলী কেরাওয়ানী মৃত্যুবরণ করেন। তিনি হিজরী ৩৯০ সালে মরোক্কয় জন্ম গ্রহণ করেন। শৈশবকাল থেকেই তিনি কবিতা, সাহিত্যসহ তার যুগে প্রচলিত জ্ঞান বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় ব্যাপক পড়ালেখা শুরু করেন। তিনি তিউনিসিয়ায় অবস্থিত কেরাওয়ানীতে তৎকালীন শ্রেষ্ঠ মনীষীদের আসরে যোগ দেয়ার জন্য সে দেশ সফর করেন। সেযুগে ঐ শহরটি আন্দালুসিয়া অর্থাৎ বর্তমান স্পেন ও উত্তর আফ্রিকায় ইসলামী সভ্যতার প্রাণকেন্দ্র হিসাবে পরিচিত ছিল। জ্ঞান বিজ্ঞান ও সাহিত্য অঙ্গনের বহু খ্যাতনামা মুসলিম মনীষী এই শহরে সমবেত হতেন। আবু আলী কেরাওয়ানীও খ্যাতনামা মনীষীদের এ আসর থেকে ব্যাপকভাব উপকৃত হন এবং সাহিত্য অঙ্গনে তিনি অসাধারণ যোগ্যতার প্রমাণ দেন। তার সাহিত্যে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ছাড়াও সামাজিক জীবনের বিভিন্ন দিক ফুটে উঠেছে এবং এ ক্ষেত্রে তিনি নতুন ধারার প্রবর্তন করেন।
কলকাতায় সূর্য্যাস্তের পর মদের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ (১৭৯১)
ইংরেজদের সঙ্গে অসম যুদ্ধে দেশপ্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওঃ সৈয়দ নেছার আলী তিতুমীরের শাহাদাত (১৮৩১)
গেটিসবার্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিংকনের ঐতিহাসিক স্বাধীনতার ভাষণ (১৮৬৩)
চীনা বিপ্লবী, রাজনীতিবিদ ও সমাজতন্ত্রের তাত্ত্বিক মাও সেতুংয়ের জন্ম (১৮৯৩)
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জন্ম (১৯১৭)
স্তালিনগ্রাদে জার্মান বাহিনীর ওপর সোভিয়েত বাহিনীর পাল্টা আক্রমণ (১৯৪২)
প্যারিসে ইউনেস্কোর প্রথম সাধারণ সম্মেলন অনুষ্ঠিত (১৯৪৬)
কর্তব্যে অবহেলার দায়ে ঢাকা পৌরসভার ৪০ জন কর্মচারী বরখাস্ত ও ৩২ জন সাসপেন্ড (১৯৭৩)
মিশরের বিরুদ্ধে আরব ফ্রন্ট গঠিত (১৯৭৭)
বাংলাদেশের জাতীয় শহীদ মিনারের রূপকার, চিত্রশিল্পী হামিদুর রহমানের মৃত্যু (১৯৮৮)
ন্যাটো ও ওযারশ জোটভুক্ত ৩৪টি দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের ইউরোপের সর্ববৃহৎ নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে স্বাক্ষর (১৯৯০)
বাংলাদেশ সময়: ২:১৩:৩০ ৩১১ বার পঠিত