জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে উত্তাল ফ্রান্স। কয়েকদিন ধরে চলা বিক্ষোভে প্রায় অচলাবস্থা জারি হয়েছে প্যারিসে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এমন ঘটনাকে লজ্জাজনক আখ্যা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো। এক টুইটবার্তায় ম্যাক্রোঁ বলেন, অফিসারদের ওপর হামলার ঘটনা লজ্জাজনক। ফ্রান্সে সহিংসতার কোনো স্থান নেই।
জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ করছে তারা। শনিবারও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। তাদের প্রতিহত করতে টিয়ার গ্যাস এবং জলকামান ব্যবহার করেছে পুলিশ। শনিবার অন্তত ৩০ হাজার মানুষ প্যারিসের রাস্তায় বিক্ষোভ করে। এসময় অন্তত ১৮ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও বিক্ষোভকারীদের দাবি, তারা শান্তিপূর্ণ ভাবেই মিছিল করছিলেন।
এর এক সপ্তাহ আগে একই কারণে দেশজুড়ে অন্তত ৩ লাখ মানুষ রাস্তা অবরোধ করেছিলেন। মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই আন্দোলনের সূত্রপাত। আপাতভাবে কোনো নেতা নেই এই আন্দোলনের। এদিকে এই বিক্ষোভকে ম্যাক্রোঁ সরকারের মন্ত্রী-কর্তাদের একাংশ দায়ী করছে বিরোধী দলনেত্রী মারিঁ ল্য পেনকে। অভিযোগ, তার ন্যাশনাল র্যালি পার্টিই খেপিয়ে তুলেছে মানুষকে।
গত এক বছরে প্রায় ২৩ শতাংশ বেড়েছে বেড়েছে পেট্রল-ডিজেলের দাম। ২০০০ সালর পর ফ্রান্সে জ্বালানির দাম এতটা বাড়ার নজির নেই। এবিষয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম চড়েছে। তাই দাম বেড়েছে দেশে। ১ জানুয়ারি থেকে আরো বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১২:১৪:৪৩ ১৯৫ বার পঠিত