১৬৭৬ খ্রিষ্টাব্দের এইদিনে ভারতের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত তখনকার দিনের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পন্ডিচেরি বন্দর ফরাশিরা দখল করে নেয়। বিখ্যাত এই বন্দরটি ভারত সাগরের অন্তর্গত বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত ছিল।এ কারণে ইউরোপীয় উপনিবেশবাদী দেশগুলো এই বন্দরটি দখল করার জন্যে নিজেদের মাঝে দ্বন্দ্ব-সংঘাতে লিপ্ত ছিল।এভাবে পন্ডিচেরি ফরাশি এবং হল্যান্ডিদের মাধ্যমে বেশ কয়েকবার দখল হবার পর অবশেষে ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে অর্থাৎ ভারত স্বাধীন হবারও ৯ বছর পরে ঐ এলাকার স্বাধীনতাকামী সংগ্রামী লোকজন পন্ডিচেরি বন্দরকে উপনিবেশবাদীদের দখল থেকে মুক্ত করে।

১৯১২ সালের ২৮ নভেম্বরে আলবানিয়া স্বাধীনতা লাভ করে। খ্রিষ্টপূর্ব বহু বছর এই দেশটি স্বাধীন ছিল। কিন্তু রোমান সা¤্রাজ্য গঠিত হবার পর আলবানিয়া এই সা¤্রাজ্যের অধীনে চলে যায়। কিন্তু রোমান সা¤্রাজ্য যখন অবক্ষয়ের দিকে যেতে থাকে তখন ওসমানী সা¤্রাজ্য দেশটির ওপর তাদের আধিপত্য বিস্তার করে।বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে ওসমানী সা¤্রাজ্যও দুর্বল হয়ে পড়ে এবং বলকান দেশগুলো তাদের হাতছাড়া হতে থাকে। সে সময় আলবানিয়ার জনগণ নিজেদের স্বাধীনতার জন্যে আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনের এক পর্যায়ে প্রথমে তারা স্বায়ত্ত্বশাসন লাভ করে এবং ১৯১২ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দেশটি আবার কমিউনিস্ট শাসিত সোভিয়েত ইউনিয়নের দখলে চলে যায়। পরে ১৯৯২ সালে পূর্ব ইউরোপের অপরাপর দেশের মতো এ দেশেও কমিউনিজমের পতন ঘটে। আলবানিয়া দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপ এবং বলকান উপদ্বীপাঞ্চলীয় মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ একটি দেশ। গ্রিস,যুগোশ্লাভিয়া,ম্যাসিডোনিয়া প্রভৃতি দেশ আলবানিয়ার প্রতিবেশি। দেশটির আয়তন হলো ২৯ হাজার বর্গকিলোমিটার।

১৯৬০ এইদিনে মৌরিতানিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করে।এই দেশটি খ্রিষ্টিয় ১৫ শতক থেকে পর্তুগিজ উপনিবেশবাদীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। পরে হল্যান্ড এবং বৃটেন এই দেশটির ওপর দখলদারিত্ব কায়েম করে। আবার ১৯০৩ সালে মৌরিতানিয়া ফরাশিদের উপনিবেশে পরিনত হয়। বিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে মৌরিতানিয়ার জনগণ একটি গণভোটের মাধ্যমে স্বায়ত্ত্বশাসিত সরকার প্রতিষ্ঠার পক্ষে রায় দেয়।অবশেষে ১৯৬০ সালে ফরাশি সরকারের সাথে এক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে মৌরিতানিয়া পরিপূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে। মৌরিতানিয়ার আয়তন ১০ লক্ষ ৩০ হাজার ৭ শ বর্গ কিলোমিটার। মৌরিতানিয়া দেশটি আফ্রিকা মহাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত।এই দেশের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে আলজেরিয়া,মালি এবং সেনেগাল।

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ শে নভেম্বর ইরানের তিনটি দ্বীপ আবু মুসা,তাম্বে বোযোর্গ,তাম্বে কুচাক থেকে বৃটিশ দখলদার সেনারা চলে যাবার পর ইরান ঐ তিনটি দ্বীপের ওপর নিজেদের শাসন প্রতিষ্ঠা করে।পারস্য উপসাগরে অবস্থিত ইরানের ঐ তিনটি দ্বীপ থেকে বৃটিশ বাহিনীর চলে যাওয়ার ঘটনাটি বৃটেনের নেতিবাচক অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অবস্থার কারণে ঘটেছিল।বৃটেনের অর্থনৈতিক অবস্থা এমন এক পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল যে,তারা ভূমধ্যসাগর এবং পারস্য উপসাগলীয় অঞ্চল থেকে তাদের দখলদারিত্ব গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছিল।১৮৮৭ খ্রিষ্টাব্দে বৃটেন ইরানের এই তিনটি দ্বীপ দখল করেছিল যাতে পারস্য উপসাগর এবং ভারত সাগরের মাধ্যমে তারা নিরাপদভাবে বাণিজ্য করতে পারে।উল্লেখ্য যে, এই তিনটি দ্বীপ ঐতিহাসিক হরমুয প্রণালীর প্রবেশ পথে অবস্থানের কারণে কৌশলগত দিক থেকে এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সিরিয়ায় খ্রিস্টানদের হাতে ৭০ হাজার মুসলমান নিহত (১০৯৮)
ইংল্যান্ডে রয়াল সোসাইটি গঠিত (১৬৬০)
বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের অন্যতম ফ্রিডরিক এঙ্গেলসের জন্ম (১৮২০)
আলবেনিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা (১৯১২)
মৌরিতানিয়ার স্বাধীনতা লাভ (১৯৬০)
জর্দানের বাদশা ওয়াসফি তাল নিহত (১৯৭১)
বাংলাদেশের প্রথম এটর্নি জেনারেল ফকির শাহাবুদ্দীনের মৃত্যু (১৯৮৯)
জাতীয় অধ্যাপক জ্ঞানতাপস আবদুর রাজ্জাকের মৃত্যু (১৯৯৯)

বাংলাদেশ সময়: ১২:২৯:৪২   ২২৫ বার পঠিত