পাবনায় জনরোষের শিকার হেলিকপ্টার হুজুর

প্রথম পাতা » আইন আদালত » পাবনায় জনরোষের শিকার হেলিকপ্টার হুজুর
শুক্রবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৮



---

নিউজটুনারায়ণগঞ্জঃ পাবনার চাটমোহর উপজেলার গুয়াখাড়া হাফিজিয়া মাদরাসায় বাৎসরিক ইসলামী জালসার প্রধান বক্তা মাওলানা হাফিজুর রহমানকে (কুয়াকাটা) নিয়ে পুরো উপজেলায় লঙ্কাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। হেলিকপ্টারে চড়ে জালসা করতে এসে চুক্তি অনুযায়ী ওয়াজ না করায় আয়োজক ও মুসল্লীদের জনরোষের শিকার হতে হয়েছে প্রধান বক্তাকে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌর শহরের বালুচর মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তাকে ছাড়াই হেলিকপ্টার ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে চলে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে হাফিজুর রহমান সিদ্দিককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

জালসা কমিটি ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের ছোট গুড়াখাড়া-চিরইল-সাড়োরা-ইঁচাখালী সম্মিলিত হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিম খানায় ইসলামী জালসার দিন ছিল বৃহস্পতিবার। জালসার প্রধান বক্তা মওলানা মো. হাফিজুর রহমান সিদ্দিক (কুয়াকাটা) কে প্রায় এক বছর আগে ৫০ হাজার টাকা বায়না দেন। চুক্তি ছিল জালসার দিন বাদ জোহর থেকে বাদ আসর পর্যন্ত ওয়াজ করবেন। সেই সাথে হেলিকপ্টারে যাওয়ার জন্য ভাড়া বাবদ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা দিতে হবে। চুক্তি অনুযায়ী জালসা কমিটি হেলিকপ্টারের ভাড়া পরিশোধ করেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে ঢাকা থেকে একটি হেলিকপ্টারে চড়ে পৌর শহরের বালুচর মাঠে নামেন প্রধান বক্তা হাফিজুর রহমান সিদ্দিক। এর আগে সকাল থেকেই এই হেলিকপ্টার হুজুর প্রধান বক্তার বক্তব্য শ্রবন করার জন্য দূর দূরান্ত থেকে জালসা স্থলে হাজির হতে থাকে। এরপর আড়াইটার সময় জালসা স্থলে গিয়ে ওয়াজ শুরু করেন। আধা ঘণ্টা মোনাজাতসহ ওয়াজ করে তড়িঘড়ি করে বালুচর মাঠে এসে হেলিকপ্টারে চড়ার সময় জালসা কমিটি ও মুসল্লীরা বাধা দিলে সেখানে উত্তেজনা শুরু হয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হাফিজুর রহমান সিদ্দিককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর সন্ধ্যায় রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনে তাকে তুলে দেয় থানা পুলিশ।

জালসা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রতি বছর চার গ্রামের মানুষ মিলে বড় জালসার আয়োজন করে থাকি। চুক্তি অনুযায়ী তিনি (হাফিজুর রহমান সিদ্দিক) ওয়াজ না করে দ্রুত সময়ে চলে যাওয়ার সময় স্থানীয় মুসল্লীরা বাধা দেয় এবং ক্ষিপ্ত হয়। তিনি (প্রধান বক্তা) আমাদের সাথে প্রতারণা করেছেন। কোনো বছরই কোনো বক্তা এমন করেনি। তিনি আমাদের অনেক ক্ষতি করেছেন।

প্রধানবক্তা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকের সাথে যোগাযোগের জন্য তার একান্ত সহকারী (রফিক) মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ সেখ মো. নাসীর উদ্দিন বলেন, ভুল বোঝাবুঝি থেকে জনরোষের সৃষ্টি হয়েছিল। পরে হাফিজুর রহমান সিদ্দিককে উদ্ধার করে চাটমোহর রেলস্টেশন থেকে ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনে টিকিট কেটে তুলে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ৪:০৩:৪১   ১১৩৪ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আইন আদালত’র আরও খবর


এমসি কলেজে দলবেঁধে ধর্ষণ: আদালত পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
পিকে হালদারের সহযোগী শঙ্খ ব্যাপারী কারাগারে
নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ফের রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি
আর্থিক বিচারে এখতিয়ার বাড়লো সিভিল কোর্টের
সাবেক বিচারক শাহবাগ থানায় মেয়ের বিরুদ্ধে জিডি করলেন
কারাগারে ফরিদপুরের দুই ইউপি চেয়ারম্যান
নারী সাক্ষীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করায় বিচারক প্রত্যাহার
রাজধানীতে মা-ছেলে হত্যা মামলায় স্বামীসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
বিকৃত যৌন আচরণের শিকার হচ্ছে নারী ও শিশুরা
মাদক মামলায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিচার শুরু

আর্কাইভ