শ্রমশক্তি রপ্তানিতে দুর্বলতা

প্রথম পাতা » অন্যান্য » শ্রমশক্তি রপ্তানিতে দুর্বলতা
বুধবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৮



---

নিউজটুনারায়ণগঞ্জঃ কর্মসংস্থানের সুযোগ কম থাকায় বেকার তরুণদের একটি বড় অংশ বিদেশে পাড়ি জমাতে চায়। তাদের একটি প্রধান গন্তব্য হচ্ছে মালয়েশিয়া। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুই দেশেই গড়ে উঠেছে কিছু অসৎ ব্যক্তির সিন্ডিকেট। তারা সহজ-সরল তরুণদের সঙ্গে প্রতারণা করে তাদের সর্বস্ব কেড়ে নিচ্ছে কিংবা তাদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় নিকট অতীতে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার জঙ্গলে অনেক গণকবর আবিষ্কৃত হয়েছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দুই দেশের সরকার আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে কিছু নিয়ম-কানুন তৈরি করে এবং সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে শ্রমিক রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশ থেকে একজন শ্রমিক পাঠাতে ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৩৫ হাজার টাকা। কিন্তু এখানেও গড়ে ওঠে সিন্ডিকেট।

জানা যায়, সরকার যে ১০টি এজেন্সিকে রিক্রুটের দায়িত্ব দিয়েছে তারা নিয়ম মেনে কাজ করছে না। প্রত্যেক শ্রমিকের কাছ থেকে নির্ধারিত খরচের অতিরিক্ত তিন-চার লাখ টাকা আদায় করা হচ্ছে। তার পরও শ্রমিকদের ঠিকমতো পাঠানো হচ্ছে না। এসংক্রান্ত সর্বশেষ খবর হচ্ছে, সব টাকা-পয়সা নেয়ার পরও নির্ধারিত সময়ে অর্থাৎ ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ২৫ হাজার শ্রমিককে পাঠানো যায়নি। এখন এই ২৫ হাজার শ্রমিকের ভাগ্য পুরোপুরি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

মালয়েশিয়ায় আগেও শ্রমিক পাঠানো নিয়ে অনেক জটিলতা হয়েছে। মালয়েশিয়া শ্রমিক নেওয়া বন্ধও করে দিয়েছিল। অনেক আলাপ-আলোচনার পর রপ্তানি ফের চালু হলেও নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ থেকেই যাচ্ছে। জনশক্তি রপ্তানির মতো এত গুরুত্বপূর্ণ একটি ক্ষেত্রকে আমরা সঠিক পথে চালিত করতে পারছি না কেন? যতদূর জানা যায়, মালয়েশিয়ায়ই সাম্প্রতিক সময়ে বেকারত্বের হার বেড়েছে। তাই কত দিন তারা বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেবে বলা কঠিন। এরইমধ্যে আমরা যুদ্ধ, তেলের দরপতন, অর্থনৈতিক মন্দাসহ নানা কারণে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক বাজার হারিয়েছি। অনেক দেশে শ্রমিক নেয়ার সংখ্যা কমেছে। এসব ক্ষেত্রে যেখানে যেটুকু সুযোগ তৈরি হয়, তার সর্বোত্তম সদ্ব্যবহার করাটাই ছিল আমাদের কর্তব্য। কিন্তু বাস্তবে আমরা ভিন্ন চিত্রই দেখতে পাচ্ছি। কেন ২৫ হাজার শ্রমিক নির্ধারিত তারিখে মালয়েশিয়ায় যেতে পারেনি, তার কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। এতে যদি কারো গাফিলতির বা অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

আমরা মনে করি, দুই দেশের সরকারের মধ্যে যখন কোনো চুক্তি হয়, তখন দুটি দেশেরই উচিত সেই চুক্তির শর্তগুলো মেনে চলা। এই ২৫ হাজার শ্রমিক যেতে না পারার জন্য কোনো পক্ষে কতটুকু গাফিলতি ছিল তা খতিয়ে দেখে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০:২৪:৩৪   ২০৫ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অন্যান্য’র আরও খবর


আল কোরআন ও আল হাদিস
এমসি কলেজে দলবেঁধে ধর্ষণ: আদালত পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
আল কোরআন ও আল হাদিস
আল কোরআন ও আল হাদিস
আল কোরআন ও আল হাদিস
শিল্প-কারখানায় প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে কাজ করছে সরকার - শিল্পমন্ত্রী
পিকে হালদারের সহযোগী শঙ্খ ব্যাপারী কারাগারে
আল কোরআন ও আল হাদিস
সময়াবদ্ধ গৃহীত পরিকল্পনা মাফিক প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হবে - শিল্পমন্ত্রী
নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ফের রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি

আর্কাইভ