
ফার্সি ১২৮২ সালের ২৩শে অযার ইরানের বিশিষ্ট গবেষক ও চিকিৎসক ডক্টর মাহমুদ নাজম অবদি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রাথমিক পড়াশুনা শেষ করার পর চিকিৎসা বিষয়ক স্কুলে ভর্তি হন এবং সেখানকার সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেন। ডক্টর নাজম অবদি চিকিৎসা বিদ্যায় মনযোগী হওয়ার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার কাজও চালিয়ে যান। ইসলামী ও ইরানী চিকিৎসা বিজ্ঞানের ওপর তার প্রবল আকর্ষণ ছিল। তিনি মোহাম্মাদ বিন যাকারিয়া বা আল রাযিসহ বিশিষ্ট মুসলিম চিকিৎসক ও গবেষকদের জীবন ও কর্মের ওপর বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন। এছাড়া এসব মনীষির চিকিৎসা বিদ্যার ওপর রচিত কয়েকটি বইও তিনি অনুবাদ করেন। ড. নাজম অবদির ৪৫টিরও বেশী বই ও প্রবন্ধ রয়েছে। তার লিখিত বইয়ের মধ্যে “এক নজরে ইসলামী চিকিৎসা বিজ্ঞান”, “ইরানের চিকিৎসা বিদ্যার ইতিহাস” এবং “ইরানী চিকিৎসক, দার্শনিক ও রসায়নবিদ মোহাম্মাদ যাকারিয়া রাযি” উল্লেখযোগ্য।
২০০৩ সালের ১৩ই ডিসেম্বর ইরাকের সাবেক একনায়ক সাদ্দাম হোসেন সেদেশের উত্তরা লীয় শহর তিকরিতের কাছে একটি গোপন আস্তানা থেকে গ্রেফতার হন। ঐ বছরের মার্চ মাসে ইঙ্গোমার্কিন বাহিনী ইরাক আক্রমন করার পর তিনি আত্মগোপনে চলে গিয়েছিলেন। সাদ্দামের গ্রেফতারে ইরাকী জনগণের পাশাপাশি তার আগ্রাসনের শিকার ইরান ও কুয়েতের মানুষ আনন্দিত হয়। সাদ্দামের নেতৃত্বাধীন ইরাকী বাহিনী ১৯৮০ সালে ইরানে এবং ১৯৯০ সালে কুয়েতে আগ্রাসন চালিয়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল। এদিকে সাদ্দামের গ্রেফতারের পর বিশ্ববাসী যখন তার শাসনামলের নানা অপরাধযজ্ঞের গোপন কাহিনীগুলো প্রকাশ হয়ে পড়বে বলে আশা করেছিল, তখন মার্কিন সেনারা সাদ্দামকে কঠোর প্রহরাধীন কারাগারে বন্দী করে। সাদ্দামের দীর্ঘ তিন দশকের শাসনামলে মার্কিন সরকারের সাথে তার গোপন আঁতাতের খবর প্রকাশ হয়ে পড়ার ভয়ে মার্কিন সেনারা তাকে কঠোর বেষ্টনির মধ্যে রেখে দেয়।
১৯৬৮ সালে বাথ পার্টির এক অভ্যূত্থানের মাধ্যমে সাদ্দাম ইরাক সরকারে অনুপ্রবেশ করতে সক্ষম হন এবং এর ১১ বছর পর ১৯৭৯ সালে ইরাকের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন। ২৪ বছরের শাসনামলে তিনি তার বিরুদ্ধাচরণকারী ইরাকী জনগণকে দমন করার পাশাপাশি ইরান ও কুয়েতে আগ্রাসন চালিয়ে লাখ লাখ মানুষ হত্যা করেন। একটি হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার দায়ে ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে নির্দয় এই একনায়কের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।
১৪১৫ হিজরির ১৪ই জিলহাজ¦ মিশরের সর্ববৃহৎ ইসলামপন্থী সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা আহমাদ আল মালাত পবিত্র হজ¦ব্রত পালনের পর মক্কায় ইন্তেকাল করেন। তিনি ছাত্র জীবনে এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা হাসানুল বান্নার সাথে পরিচিত হন। কিছুদিন পর তিনি মুসলিম ব্রাদারহুড বা ইখওয়ানুল মুসলেমিনে যোগ দেন। ডক্টর আহমাদ আল মালাত ১৯৪৮ সালে ইহুদীবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে আরবদের প্রথম যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ইহুদীবাদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ ছাড়াও সুয়েয খালে বৃটিশ দখলদার সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সম্মুখ ফ্রন্টে লড়াই করেন। মুসলিম এই চিকিৎসক ও রাজনৈতিক নেতা আফগানিস্তানের ওপর রুশ দখলদারিত্বের সময় আফগান মুজাহিদদের সাথে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া আফগানিস্তানে রুশ পরোক্ষ শাসনের অবসান পর্যন্ত আফগান মুজাহিদদের সাথে তার সহযোগিতা অব্যাহত ছিল।
বিশ্ব ভ্রমণের উদ্দেশ্যে স্যার ফ্রান্সিস ড্রেকের প্লিমাউথ থেকে যাত্রা (১৫৭৭)
মুসলিম সমাজ সম্মিলনী সভা প্রতিষ্ঠিত (১৮৭৯)
ডাঃ লিডি ফরেস্ট কর্তৃক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সর্বপ্রথম সবাক চলচ্চিত্র প্রদর্শন (১৯২৩)
গ্রেফতার এড়াতে ইংরেজ শাসন বিরোধি বিপ্লবী বিনয় বসুর পটাশিয়াম সায়োনট খেয়ে আত্মহত্যা (১৯৩০)
প্রিন্স করিম আগা খানের জন্ম (১৯৩৬)
পোল্যান্ডে সামরিক শাসন জারি (১৯৮১)
৩০ বছর জাম্বিয়ায় নির্বাসিত জীন শেষে এএনসি রাষ্ট্রপতি অলিভার টাম্বোর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রত্যাবর্তন (১৯৯০)
ইত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার শান্তি ও অনাক্রমণ সংক্রান্ত ঐতিহাসি চুক্তি স্বাক্ষর (১৯৯১)
বাংলা সঙ্গীতের নক্ষত্র সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু (১৯৯২)
বাংলাদেশ সময়: ১১:৫৭:২৯ ২২৯ বার পঠিত