
স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: বিজেপি পরাস্ত করতে ফেডারেল ফ্রন্ট নিয়ে তোড়জোড়ের আবহ বিরোধী শিবিরে৷ এর মধ্যেই তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করতে শহরে আসছেন তেলেঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। আজ, সোমবার নবান্নে মমতার সঙ্গে তাঁর বৈঠক হবে। দুপুর সওয়া তিনটে থেকে দু’ঘণ্টা বৈঠকের জন্য নির্ধারিত রয়েছে। কালীঘাট মন্দিরেও যাওয়ার কথা রয়েছে চন্দ্রশেখর রাওয়ের।
সদ্য তেলেঙ্গানার নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে ফের ক্ষমতায় ফিরেছেন চন্দ্রশেখর রাও। টিডিপি-কংগ্রেস জোটকে হারিয়ে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি পেয়েছে ৮৮টি আসন। ভোটের হার ৪৬.৯ শতাংশ। এবার তাঁর নজর দিল্লির দিকে৷ বস্তুত দীর্ঘদিন ধরেই দিল্লির মসনদের দিকে তাকিয়ে কেসিআর। অবিজেপি ও অকংগ্রেসি জোট গঠনের চেষ্টা করছেন। তেলেঙ্গানায় বিপুল সাফল্য পাওয়ার পর কেসিআরের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। তাঁকে জয়ের শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগে বিজেপি-বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে জোট বাঁধতে উদ্যোগী হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী৷ তাই যাঁরাই অ-কংগ্রেসি, অ-বিজেপি ফেডারেল ফ্রন্ট গঠনের পরিকল্পনা করছেন তাঁরাই যোগাযোগ রাখছেন মমতার সঙ্গে৷ যেমন, গত শুক্রবার তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা৷
আজকেই প্রথম নয়, এর আগেও তিনি নবান্নে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছিলেন কেসিআর। তবে এদিনের বৈঠক আরও গুরুত্বপূর্ন৷ মনে করা হচ্ছে, পাঁচ রাজ্যের ফলাফলের ওপর বৈঠক হবে দুই মুখ্যমন্ত্রীর৷
কারণ এই পাঁচ রাজ্যের মধ্যে তিনটি রাজ্যে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। তাই কংগ্রেসের সঙ্গে কতটা এগোনো যাবে, আর কতটা নিজেদের সরিয়ে রাখা হবে তা নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে কে চন্দ্রশেখর রাওকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
মমতার সঙ্গে দেখা করার আগে ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে ভুবনেশ্বরে দেখা করেছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী। এরপর বহুজন সমাজ পার্টির সুপ্রিমো মায়াবতী ও ও সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদবের সঙ্গে তাঁর দেখা করার কথা৷ উল্লেখ্য, নবীন ও মায়াবতী কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে নেই। মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসকে সমর্থন দিলেও এখনও পর্যন্ত মহাজোটে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেননি বহেনজি।
নবীন পট্টনায়েক আবার দুদিক সামলে রয়েছেন। তাঁর অবস্থান এখনও অস্পষ্ট।মমতাও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে নারাজ৷ রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০১৯ সালের আগে বিরোধী শিবির এখনও জমাট বাঁধতে পারেননি। সব দলের নেতা নেত্রীই এখনও জল মাপছেন। আর সেই জল মাপতেই কলকাতায় আসছেন কেসিআর।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫৩:০০ ১৯৩ বার পঠিত