
সাবেক ছিটমহল বাসিন্দাদের হাতে জমির খতিয়ান তুলে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার জেলার প্রশাসন এবং তার সাথেই প্রায় ১৪ হাজার মানুষ পেলেন ভারতের মূল ভুখণ্ডে তাদের নামে জমি।
বাংলাদেশ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদি ২০১৫ সালে ৩১ জুলাই ঐতিহাসিক ছিটমহল বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষর করেন যার ফল দুই দেশের ভুখণ্ডে ছিটমহলগুলো ওই দেশের সাথে সংযোজিত হয়ে যায়।
এই ছিটমহল লেনদেনের মাধ্যমে ৫১টি সাবেক ছিটমহলের আধিবাসীরা ভারতীয় নাগরিক হয়ে যান, তাদের দীর্ঘদিনের আক্ষেপ ছিল যে তারা জমির মালিকানা পাচ্ছেন না। গত ডিসেম্বর মাসে মমতা ব্যানার্জি কুচবিহার জেলায় এসে জানতে পারেন সাবেক ছিটমহল বাসিন্দাদের জমির মালিকানা প্রদানের কাজ সম্পন্ন হয়নি। এবং তখনই উনি নির্দেশনা দেন যে, যত দ্রুত সম্ভব এই প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সাবেক ছিটমহলবাসীদের মধ্যে জমির খতিয়ান বিলি করার কাজ শেষ। এখন তারা জমির মালিক’- বলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
কুচবিহার জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, ১৩৫৬০ ‘খতিয়ান্স’ গত বৃহস্পতিবার বিলি হয়েছে যার ফলে প্রায় ৭১১০ একর জমির মালিকানা পেলেন সাবেক ছিটমহলের অধিবাসীবৃন্দ।
যদিও বাংলাদেশের সাথে ছিটমহলগুলো সংযোজিত হয়েছে, সেখানে সরকারি অনুকূলে অনেক কাজ হয়েছে, ভারতের দিকের ছিটমহলে বসবাসকারী মানুষদের অনেক ক্ষোভ আছে কারণ এই জায়গাগুলোতে সকল সরকারি পরিষেবা এখনও পৌঁছায়নি।
তবে যেহেতু ভারতে লোকসভা নির্বাচন আসছে, সাবেক ছিটমহলবাসীদের মন জয় করার জন্য অনেক প্রকল্প নিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি সরকার।
এবং এগুলোর মধ্যে সব থেকে উল্লেখযোগ্য হলো, জমির মালিকানা প্রদান করা।
‘এই জমিতে আমাদের বাপ-দাদাদের বাসা। এই জমিতে আমরা চাষ করি অনেক বছর ধরে… কিন্তু, এই জমির মালিকানা ছিল না আমাদের কাছে। অবশেষে আমরা সেই মালিকানা পেলাম’- জানিয়েছেন সাবেক ছিটমহলবাসী মনসুর আলি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৪৪:৫১ ১৯২ বার পঠিত