আগামীকাল সোমবার মিয়ানমারে সফরে যাচ্ছেন পোপ ফ্রান্সিস। তিনদিনের সফরে তিনি দেখা করবেন দেশটির নেত্রী অং সান সু চি এবং সেনাবাহিনী প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং এর সঙ্গে। খবর বিবিসির।
কিন্তু মিয়ানমারে সফরের সময় কোন বৈঠকে কিংবা ভাষণে রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার না করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে পোপকে। আর পরামর্শটি এসেছে মিয়ানমারের কার্ডিনাল আর্চবিশপ চার্লস মোং বো’র কাছ থেকে।
সাধারণত এ ধরনের পরামর্শে কখনো পোপের কান দেবার নজির নেই। কিন্তু এক সময় বার্মা নামে পরিচিত মিয়ানমারে প্রথমবারের মত কোন পোপের সফরে অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক এড়াতে চায় ভ্যাটিকান। সে কারণে এবার তিনি পরামর্শটি মেনে চলবেন বলেই ইঙ্গিত দিয়েছে ভ্যাটিকান।
পোপকে একই পরামর্শ দিয়েছিলেন সাবেক জাতিসংঘ মহাসচিব কফি আনানও।
‘কূটনৈতিক দিক থেকে এটা বেশ ইন্টারেস্টিং হতে যাচ্ছে’ - বলেন ভ্যাটিকান মুখপাত্র গ্রেগ বার্ক।
মিয়ানমার বা বার্মায় এটাই কোন পোপের প্রথম সফর। দেশটিতে ৬ লাখ ৬০ হাজার ক্যাথলিক খ্রিস্টান বাস করে। বুধবার ইয়াঙ্গুন শহরে এক উন্মুক্ত সমাবেশে পোপ উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া তিনি বৌদ্ধ নেতাদের সঙ্গেও দেখা করবেন।
ভ্যাটিকানের কর্মকর্তারা বলছেন, পোপ মিয়ানমার সফরের সময় মৈত্রী পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং সংকট সমাধানের জন্য সংলাপের ওপর জোর দেবেন।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে গত তিন মাসে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
এ সহিংসতাকে জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্র জাতিগত শুদ্ধি অভিযান বা ‘এথনিক ক্লেনজিং’ বলে অভিহিত করেছে।
মিয়ানমার থেকে পোপ বাংলাদেশে আসবেন।
ভ্যাটিকান থেকে জানানো হয়েছে, পোপের এই সফর মিয়ানমার থেকে জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভাষায় ‘জাতিগত নিধনের’ শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন, সংকট নিরসনে আলোচনা এবং আন্তর্জাতিক উদ্যোগ সমূহকে বেগবান করার কাজকে উৎসাহিত করবে।
বাংলাদেশে সফরের সময় শুক্রবার ঢাকায় রোহিঙ্গাদের একটি ছোট প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পোপের দেখা করবার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৫৫:০৬ ৩৩৮ বার পঠিত