প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার প্রশাসন

প্রথম পাতা » আইন আদালত » প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার প্রশাসন
সোমবার, ২১ জানুয়ারী ২০১৯



---

সাম্প্রতিক আলোচনা-সমালোনায় কিছুটা নমনীয় হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বমিডিয়ায় প্রায় নিয়মিতই বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন তিনি। এ দল-ওই দল করে শেষ পর্যন্ত রিপাবলিকান পার্টির সদস্য হিসেবেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বিতর্কিত সব কাজকর্ম করে চলছেন তিনি। মুসলিম নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন বিষয়ে একের পর এক নির্বাহী আদেশ জারি করছেন। এসব আদেশ কখনো কখনো হোঁচট খাচ্ছে। প্রশাসন চালাতে তার গলদঘর্ম অবস্থা। ট্রাম্প প্রশাসনের বেশ কয়েক কর্মকর্তা প্রথম বছরই বিদায় নিয়েছেন।

অভ্যন্তরীণ নীতির মতো তার বৈশ্বিকনীতিও বড্ড গোলমেলে। এতে বিশ্বকে ট্রাম্পের ভার বইতে হচ্ছে। ট্রাম্প সব সময় আলোচনায় থাকতে ভালোবাসেন। নির্বাচনের সময় থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায় টপ ট্রেন্ডে থাকেন তিনি। সম্প্রতি তার প্রশাসনিক জটিলতা।

নিজের সরকারের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের ‘হরতালের’ ২০ দিন : প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যতদিন মেক্সিকোর সঙ্গে দেয়াল নির্মাণের জন্য ৫৭০ কোটি ডলার না পাচ্ছেন, ততদিন তিনি কোনো বাজেট প্রস্তাবে স্বাক্ষর করবেন না। ফলে নিজের সরকারের বিরুদ্ধে তিনি এক অভিনব ‘হরতাল’ ডেকে বসেন। ‘ফেডারেল গভর্নমেন্ট শাটডাউন’ বা কেন্দ্রীয় সরকার অচলাবস্থার কারণে ফেডারেল সরকারের এক-চতুর্থাংশ মুখ থুবড়ে পড়ে। এই ‘বন্ধের’ ফলে অর্থনীতিতে ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রতিদিন ১২০ কোটি ডলার।

দেশ ছাড়তে চায় ১৬ শতাংশ : অনুপ্রবেশ আটকাতে সীমান্তে দেয়াল তুলতে চাইছেন ট্রাম্প। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের মধ্যেই প্রায় ১৬ শতাংশ পাকাপাকিভাবে দেশ ছাড়তে আগ্রহী বলে একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে। জর্জ বুশের (জুনিয়র) আমলে ওই অঙ্কটি ছিল ১১ শতাংশ। বারাক ওবামার আমলে ১০ শতাংশ। ডোনাল্ড ট্রাম্পের জমানায় সেটি ১৬-তে পৌঁছে রেকর্ড গড়েছে। দেশ ছাড়তে চাওয়া নাগরিকদের মধ্যে মহিলাই বেশি। সেটিও লক্ষণীয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বুশ বা ওবামা জমানায় দেশ ছাড়তে ইচ্ছুকদের মধ্যে নারী-পুরুষভেদ প্রকট ছিল না। এবার ১৩ শতাংশ পুরুষের পাশে ২০ শতাংশ নারী দেশ ছাড়তে চান বলে জানান। তাদের মধ্যে আবার ৪০ শতাংশের বয়স ৩০ বছরের কম। একইভাবে সার্বিক অঙ্কেও কম বয়সীদের মধ্যে পাল্লা ভারী। ১৫-২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে ৩০ শতাংশই ইচ্ছুক বলে খবর।

পর্নোতারকার কাছে মামলার খরচ চাওয়া : গত বছরের শুরুতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পর্নোতারকা স্টোর্মি ড্যানিয়েলসের করা মানহানি মামলা আদালতে খারিজ হয়ে যায়। এ কারণে ওই মামলা লড়ার খরচ বাবদ স্টোর্মির কাছ থেকে ৩ লাখ ৩৪ হাজার আমেরিকান ডলার দাবি করেন ট্রাম্পের আইনজীবীরা। আর এ নিয়েই নতুন করে বিতর্কে জড়ান ট্রাম্প।

স্টোর্মি ড্যানিয়েলসের দাবি, ট্রাম্পের সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক ছিল। ২০১১ সালে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে তাকে হুমকিও দেওয়া হয়। ওই সময় হুমকিদাতার একটি স্কেচ আঁকান তিনি। আর ওই ছবি টুইটারে শেয়ার করে ট্রাম্প লেখেন, ‘স্কেচের এই ব্যক্তি স্টোর্মির সাবেক জীবনসঙ্গী।’ এরপর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেন স্টোর্মি ড্যানিয়েলস। তিনি দাবি করেন, ট্রাম্প গত বছরের এপ্রিলে তাকে নিয়ে যে টুইট করেছেন, তাতে তার অবমাননা হয়েছে। কিন্তু আদালত রায় প্রদান করেন, ট্রাম্পের এ টুইট মানহানিকর নয়। তাই আদালত স্টোর্মি ড্যানিয়েলসের করা মামলা খারিজ করে দেন। এর পর ট্রাম্পের আইনজীবীরা মামলার পেছনে খরচ হওয়া তাদের ডলার ফেরত চান।

অভিবাসীবিরোধী : ট্রাম্পের নির্বাচনী স্লোগান ছিল ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ (আমেরিকাকে আবার মহান করুন)। ওই স্লোগানের পক্ষে বক্তব্যে তিনি বলেন, আমেরিকা পিছিয়ে পড়েছে এবং নিচুমানের দেশ হয়ে গেছে। এর একটি প্রধান কারণ হচ্ছে প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো থেকে আসা অভিবাসীরা। আমি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ক্ষমতার প্রথম দিনই আমেরিকায় অবৈধ ইমিগ্র্যান্টদের দ্রুত বের করে দেওয়ার জন্য কাজ করব। মেক্সিকান ইমিগ্র্যান্টরা আমেরিকায় ড্রাগস চোরাচালান করে। তারা বিভিন্ন অপরাধ করে, ধর্ষণ করে। ভালো মানুষ মেক্সিকো থেকে আসে না। যারা আসে, তারা আনে হাজার সমস্যা। এই ঢালাও অভিযোগের পর ট্রাম্প বলেন, এটি বন্ধ করতেই হবে। এ জন্য একটি গ্রেট ওয়াল বানাব। আমার চাইতে ভালো ওয়াল কেউ বানাতে পারে না। বিশ্বাস করুন, আমি খুব সস্তায় এই ওয়াল বানাব।

মুসলিমবিরোধী : ইমিগ্রেশন বিতর্কটি যখন ট্রাম্প শুরু করেন, তখন তার মনে মুসলিম ইস্যুটি আসেনি। এটি আসে ২০১৫ সালের ২ ডিসেম্বর ক্যালিফোর্নিয়ায় সানবার্নারডিনো শহরে একটি উৎসবে মুসলিম দম্পতি সৈয়দ রিজওয়ান ফারুক ও তাশফিন মালিকের অতর্কিত বন্দুক হামলায় ১৪ জন নিহত ও ২২ জন আহত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনাটির পর। ফারুকের জন্ম হয়েছিল আমেরিকায় একটি পাকিস্তানি বংশে। তার স্ত্রী তাশফিনের জন্ম হয়েছিল পাকিস্তানে। তিনি ছিলেন আমেরিকান রেসিডেন্ট।

তাদের ছয় মাস বয়সী শিশুকন্যাকে ফারুকের মায়ের কাছে রেখে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলি চালায় এবং নিজেরাও পাল্টা গুলিতে নিহত হয়। ওই দুর্ঘটনার পর পরই ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় ইস্যুটি আমেরিকানদের সামনে তুলে ধরেন। একটি লিখিত ভাষণ তিনি টিভিতে পড়ে শোনান। এর প্রথমেই ছিল নিচের লাইনগুলো, ‘আমি ডোনাল্ড জন ট্রাম্প আহ্বান জানাচ্ছি আমেরিকায় মুসলিমদের প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করতে।’ তিনি বলেছেন, জন্মসূত্রে আমেরিকার নাগরিক হওয়ার বিধানটি তুলে দিতে হবে। ফলে আমেরিকায় কোনো মুসলিম ইমিগ্রান্ট বা মুসলিম ট্যুরিস্টের আমেরিকায় জন্ম হওয়া সন্তানের আমেরিকার নাগরিকত্ব আর নাও পেতে পারেন।

ভুলে ভরা কথা রোজ ১৫টি : সমীক্ষকদের দাবি, ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প তার আক্রমণের তিন প্রিয় ‘নিশানা’ নিয়ে মিথ্যা মন্তব্য করেছিলেন। তিন নিশানা অর্থাৎ ইরান, হিলারি ক্লিনটন ও আমেরিকান দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস! আরেকটি আমেরিকান দৈনিকের দাবি, ২০১৮ সালের শুরুতে ১ হাজার ৯৮৯টি মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট। আর বছর শেষে এসে তার মিথ্যার ঝুলিতে জমা হয়েছে ৭ হাজার ৬০০ মন্তব্য। তা গড় হিসাব করলে দাঁড়ায় ২০১৮ সালে রোজ ১৫টি করে ভুলে ভরা মন্তব্য শোনা গেছে তার মুখ থেকে। ২০১৭ সালের তুলনায় এটি প্রায় তিনগুণ। আর ওই ভুলের বহরে জাতিসংঘর মতো মঞ্চেও হাসির রোল উঠেছে।

একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ট্রাম্পের এমন ভুলের জেরে আমেরিকার ১০ নাগরিকের মধ্যে মাত্র ৩ জন তার কথা বিশ্বাস করেন। সদ্য শেষ হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের ঠিক আগের দিন তিনি প্রচারসভা আর টুইটার মিলিয়ে ১৩৯টি মিথ্যা অথবা বিভ্রান্তিকর তথ্য জানান বলে দেখা যাচ্ছে। হিলারির সঙ্গে রাশিয়ার যোগ, এফবিআইয়ের সাবেক অধিকর্তা জেমস কোমি গোপন তথ্য ফাঁস করেছেন, ডেমোক্র্যাটরা শরণার্থীদের ঢুকিয়ে দিচ্ছেন আমেরিকায়Ñ এমন সব দাবি ছড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। তালিকার শেষ নেই।

ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, তাদের রেকর্ড অনুযায়ী নির্বাচিত হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৭৬ হাজারবার মিথ্যা বা বিভ্রান্তিমূলক কথা বলেছেন!

বিতর্কিত ব্যবসায়ী! : ডোনাল্ড ট্রাম্প সব সময়ই নিজেকে স্ব-প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, যিনি পরিবারের কাছ থেকে খুব সামান্যই সাহায্য নিয়েছেন হিসেবে দাবি করে এসেছেন। ব্যবসায়িকভাবে ট্রাম্প সফল হলেও তিনি খুবই বিতর্কিত ব্যক্তি, এমনকি ব্যবসায়ে তার সফলতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। তাদের মতে, ট্রাম্প নিজে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত করেননি, উত্তরাধিকার সূত্রে মালিক হয়েছেন।

তার বিরুদ্ধে ট্যাক্স ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে। আছে বিভিন্ন ক্রাইম সিন্ডিকেটের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ। তবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সমালোচকদের সবচেয়ে বড় অভিযোগ বৈধ উপায়ে তার ওই বিপুল সম্পদের মালিক হওয়া নিয়েই। তার বহু কোম্পানি ফেল করে অথবা দেউলিয়া হয়ে যায়। সমালোচকদের মতে, বিভিন্ন কোম্পানির নামে টাকা তুলে তিনি পরে স্বেচ্ছায় এসব কোম্পানি দেউলিয়া ঘোষণা করে ব্যক্তিগত খাতে টাকা সরিয়ে নেন। আর এভাবেই তিনি সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। এতে ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানকে পথে বসানোর পাশাপাশি শ্রমিকদের অন্ন কেড়ে নিয়েছেন।

এ কারণে তাকে অনেকেই বিতর্কিত ব্যবসায়ী বলেও সম্বোধন করেন। অবশ্য এসবের একটি উত্তর দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমি দেশের প্রচলিত আইনের সুযোগ নিয়েছি। এটি ব্যবসা। অন্য ব্যবসায়ীরাও এটি করে থাকেন। মামলায় অন্য যে কোনো ব্যবসায়ীকে ছাড়িয়ে গেছেন ট্রাম্প। বিভিন্ন ব্যবসায়ে দেউলিয়াত্বের কারণে এবং আইনের মারপ্যাঁচে তার বিরুদ্ধে লোক ঠকানোর অভিযোগে আছে। এ জন্য তার বিরুদ্ধে পুঁজি বিনিয়োগকারীরা শত শত মামলা ঠুকেছেন। সেসব মামলা এখনো চলছে। বড় বড় ব্যবসায়ীকে সাধারণত জনসেবায় এগিতে আসতে দেখা যায়। কিন্তু এক্ষেত্রেও ট্রাম্প ভিন্ন। অভিযোগ আছে, বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক বনে যাওয়া ট্রাম্প জনসেবায় মোটেই সময় ব্যয় করেননি। অথচ সেই ট্রাম্পই কি না রিপাবলিকান দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তালিকায় শীর্ষে আছেন।

ধর্মীয় দর্শন : ট্রাম্প হলেন প্রেসবিট্যারিয়ান। ২০১১ সালের এপ্রিল ৭০০ ক্লাবকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি প্রটেস্ট্যান্ট, প্রেসবিট্যারিয়ান এবং অনেক বছর ধরে গির্জার সঙ্গে আমার একটি ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আমি মনে করি, ধর্ম একটি বিস্ময়কর জিনিস, আমার ধর্ম অপরূপ।’ নির্বাচনী প্রচারকার্যের তার শ্রোতার উদ্দেশে বলেছিলেন, তার বই ‘দ্য আর্ট অব দ্য ডিল’ হলো তার দ্বিতীয় পছন্দের গ্রন্থ। তিনি বলেন, ‘তোমরা কী জানো, আমার প্রথম পছন্দের বই কোনটি? বাইবেল! কোনো কিছুই বাইবেলের সমতুল্য নয়।’

ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, হলি কমিউনিয়নে অংশগ্রহণ করার সময় ঈশ্বরের কাছে তার পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করিনি। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, যদি কোনো ভুল করি, তবে চেষ্টা করবো ওই ভুল শোধরানোর। আমার ভুল সংশোধনের জন্য কখনো ঈশ্বরের শরণাপন্ন হই না।’

ট্রাম্পের সঙ্গে টনি পারকিন্স ও রালফ রিডের মতো বহু ইভাঞ্জেলিক্যাল এবং খ্রিস্টান নেতার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। ২০১৬ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রচারের সময় তিনি গ্রিক অর্থোডোক্স পাদ্রি ইমানুয়েল লেমেলসনের কাছ থেকে আশীর্বাদ গ্রহণ করেন। কিন্তু পোপ ফ্রান্সিস দাবি করেছেন, অভিবাসন নিয়ে ট্রাম্পের মতাদর্শ খ্রিস্টীয় শিক্ষার পরিপন্থী, ‘কোনে ব্যক্তি যে সম্পর্কের সেতু নির্মাণের পরিবর্তে শুধু বিভেদের দেয়াল নির্মাণের কথা চিন্তা করে, সে কখনো সত্যিকারের খ্রিস্টান হতে পারে না। এটি গসপেল পরিপন্থী।’ তাকে নিয়ে পোপ ফ্রান্সিসের সমালোচনায় ট্রাম্প ‘মর্যাদাহানিকর’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, মেক্সিকো সরকার তাদের রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে পোপকে ব্যবহার করছেন। কারণ তারা (মেক্সিকো সরকার) যুক্তরাষ্ট্রকে শেষ করে দেওয়ার পন্থা অবিরত রাখতে চায়। যদি কখনো আইসিস ভ্যাটিকান আক্রমণ করে, তবে পোপ এই বলে তার অনুতাপ প্রকাশ করবেন, ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য প্রার্থনা করলে এই ধরনের ঘটনা কখনো হতো না।

ইহুদি-আমেরিকান সম্প্রদায়ের সঙ্গেও ট্রাম্পের সুসম্পর্ক রয়েছে। ২০১৫ সালে একটি ইহুদি দৈনিক পত্রিকা অ্যালজেমেইনার জার্নালের এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ‘অ্যালজেমেইনার লিবার্টি অ্যাওয়াড’ পুরস্কার গ্রহণকালে ট্রাম্প বলেন, ‘শুধু ইহুদি নাতি-নাতনিই নয়, আমার ইহুদি কন্যাও রয়েছে (ইভাঙ্কা তার স্বামী জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে বিয়ের আগে ইহুদি ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিল) এবং আমি খুবই গর্বিত এটি নিয়ে, তার (ইভাঙ্কার) ইহুদি হওয়ার কথা ছিল না। তবু আমি খুশি যে, সে ইহুদি হয়েছে।’

বাংলাদেশ সময়: ১১:২৫:৫০   ৩০৫ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আইন আদালত’র আরও খবর


এমসি কলেজে দলবেঁধে ধর্ষণ: আদালত পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
পিকে হালদারের সহযোগী শঙ্খ ব্যাপারী কারাগারে
নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ফের রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি
আর্থিক বিচারে এখতিয়ার বাড়লো সিভিল কোর্টের
সাবেক বিচারক শাহবাগ থানায় মেয়ের বিরুদ্ধে জিডি করলেন
কারাগারে ফরিদপুরের দুই ইউপি চেয়ারম্যান
নারী সাক্ষীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করায় বিচারক প্রত্যাহার
রাজধানীতে মা-ছেলে হত্যা মামলায় স্বামীসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
বিকৃত যৌন আচরণের শিকার হচ্ছে নারী ও শিশুরা
মাদক মামলায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিচার শুরু

আর্কাইভ