
কোটি কোটি টাকা খরচ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে রাহুল গান্ধীকেই এগিয়ে দিলেন৷ তৃণমূল কংগ্রেসের ব্রিগেডকে এভাবেই কটাক্ষ করে এই মন্তব্য করলেন বীরভূমের হাঁসন কেন্দ্রের বিধায়ক মিল্টন রশিদ৷
মিল্টন বলেন, “তৃণমূলনেত্রী ব্রিগেডে যেসব নেতাদের সারা দেশ থেকে ডেকে আনলেন তাঁর পক্ষে সওয়াল করার জন্য তাঁদের কেউ বললেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগামী দিনে দেশের একটা জায়গায় পৌঁছতে হবে কিংবা প্রধানমন্ত্রী হতে হবে৷ সবাই বললেন মোদীকে হটানোর পর কে প্রধানমন্ত্রী হবেন সেটা ভোটের পর ঠিক হবে৷ এতে আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর হতাশা আরও বাড়ল৷ তবে ব্রিগেডে উপস্থিত সমস্ত নেতার অবস্থান রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী করার অনুঘটকের কাজ করেছে৷ এরজন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি৷”
এদিকে তামিলনাড়ুতে ফিরেই রবিবার কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দাবি করেন৷ ব্রিগেডের মঞ্চে রাহুলের হয়ে সওয়াল না করলেও, তিনি সাফ জানালেন, কোনও ভুল বলেননি তিনি। স্ট্যালিনের সাফ কথা, “সেদিন তামিলনাড়ুর মানুষের মনের কথা বলেছিলাম। আর ব্রিগেডে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে কোনও মন্তব্যের অবকাশ ছিল না। থাকলেও ব্রিগেড সমাবেশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাউকে তুলে ধরার মঞ্চ ছিল না। মোদী বিরোধী মহাজোটের মহামঞ্চের সিদ্ধান্তই হল প্রধানমন্ত্রী স্থির হবে নির্বাচন জয়ের পর। কিন্তু তামিলনাড়ুবাসী চায় রাহুল গান্ধীকেই প্রধানমন্ত্রী দেখতে৷ এটা তাঁদের মনের কথা৷”
বিরোধী জোটে প্রধানমন্ত্রীর পদ নিয়ে যে টানাপোড়েন রয়েছে তা পরিষ্কার৷ তবে বিজেপিকে ওয়াশ আউট করাই এখন কংগ্রেসের প্রধান লক্ষ্য৷
বাংলাদেশ সময়: ১২:৩২:৪০ ২৩১ বার পঠিত