আজ (শনিবার) ২৬ জানুয়ারি’২০১৯
অনুকুল চন্দ্র ঠাকুরের মৃত্যু
হিন্দু ধর্মের সৎসঙ্গ নামক সম্প্রদায়ের প্রবর্তক শ্রী অনুকুল চন্দ্র ঠাকুরের মৃত্যুদিন আজ। ১৯৬৯ সালের এ দিনে তিনি দেওঘরে ইহলোক ত্যাগ করেন। বাল্যকাল থেকেই ভক্তিপ্রবণ ও সেবাধমপরায়ণ ছিলেন তিনি। কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল স্কুল থেকে ডাক্তারি উত্তীর্ণ হয়ে পাবনার হেমায়েতপুরে নিজগ্রামে রুগ্ন মানবতার সেবায় আত্মনিয়োগ করেন। কিছুদিন পর মায়ের কাছ থেকে দীক্ষা গ্রহণ করে মনোনিবেশ করেন সাধন চর্চায়। ধীরে ধীরে গঠন করেন একটি কীর্তন দল। এ দলকে নিয়ে প্রচার শুরু করেন সত্যভাষণ ও সৎকর্মের আদর্শ। কেউ কারো ওপর নির্ভরশীল হবে না, কারো কাছে কেউ কিছুর প্রত্যাশী হবে না-সংক্ষেপে এই হলো অনুকূল ঠাকুরের সৎসঙ্গ আশ্রমের মূল আদর্শ। ভক্তবৃন্দের সহায়তায় তিনি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন তপোবন বিদ্যালয়, মাতৃ বিদ্যালয়, দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্র, ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ, মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি। ১৯৪৬ সালে বিহারের দেওঘরে গিয়ে সেখানেও আশ্রম, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। শ^াশতী নামে আশ্রমের একটি মুখপত্র প্রকাশিত হয় তাদের নিজস্ব ছাপাখানা থেকে। প্রায় ৫০টির মতো পুস্তক রচনা করেছেন তিনি। ধর্ম, সমাজ, উপদেশ সমন্বিত এই পুস্তকগুলোর মধ্যে পুণ্যপুথি, অনুশ্রুতি (৬ খ-), চলার সাথী, বিবাহ বিধায়না, সমাজ সন্দীপন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
ভারতের সংবিধান কার্যকর
১৯৫০ সালের এ দিনে ভারতের সংবিধান কার্যকর হয় এবং ভারতকে প্রজাতন্ত্র হিসাবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট ভারত বৃটেনের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। তার আগের দিন পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করেছিলো। স্বাধীনতার এক বছরের কম সময়ের মধ্যে ভারতের জাতির পিতা হিসেবে পরিচিত মোহনদাস করম চাঁদ গান্ধী এক উগ্র হিন্দুবাদীর গুলিতে নিহত হন। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহারলাল গান্ধী সে সময় মন্তব্য করেছিলেন, আমাদের জীবন থেকে আলো নিভে গেছে এবং সর্বত্র অন্ধকার বিরাজ করছে। তবে এ অবস্থার মধ্যেও নেহেরু ভারতের পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন। ১৯৪৯ সালের শেষের দিকে ভারতের সংবিধান গ্রহণ করা হয় এবং ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারী ভারত প্রজাতন্ত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ভারতের প্রথম প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন, রাজেন্দ্র প্রাসাদ।
গুটি বসন্তের টিকা আবিষ্কারক
১৮২৩ সালের এ দিনে ইংরেজ চিকিৎসক এবং গুটি বসন্তের টিকার আবিষ্কারক এডওয়ার্ড জেনার পরলোকগমন করেন। তিনি ১৭৪৯ সালে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। যে যাই হোক, সে সময় ইংল্যান্ডে গুটি বসন্তকে ভয়াবহ প্রাণঘাতী রোগ হিসেবে মনে করা হতো। সে সময় এ রোগে আক্রান্ত প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন প্রাণ হারাতো। আর যে সব রোগী গুটি বসন্তের পরও প্রাণে রক্ষা পেতেন তাদের চেহারা বিকৃত হয়ে যেতো। ১৭৮৮ সালে ইংল্যান্ডের গ্রামাঞ্চলে যখন বসন্তের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় তখন এডওয়ার্ড জেনার লক্ষ্য করেন, যে সমস্ত রোগী গবাদি পশু নিয়ে কাজ করেছিল এবং গরু দেহে যে বসন্ত হয় তার সংস্পর্শে এসেছিল তাদের কারও গুটি বসন্ত হয়নি। আর এর ভিত্তিতে তিনি দেখতে পান যে, টিকাদানের মাধ্যমে গরুর বসন্ত রোগ প্রতিরোধ করা যায়। এই আবিষ্কারের পরই তিনি মানুষের মধ্যে এই কার্যক্রম শুরু করেন। প্রথমে তার কার্যক্রমকে ভালো ভাবে গ্রহণ করা হয় নি। কিন্তু পরবর্তীতে তার আবিস্কৃত টিকাদান বা ভ্যাকসিন সারা বিশ্বকে বদলে দেয়। বর্তমানের বিশ্ব থেকে গুটি বসন্ত নির্মূল হয়ে গেছে।
ইউক্রেনের স্বাধীনতা ঘোষণা
১৯১৮ সালের এ দিনে ইউক্রেন স্বাধীনতা ঘোষণা করে। ১৯১৭ সালের নভেম্বর মাসে বলশেভিকরা রাশিয়ার ক্ষমতা দখল করে নেয় এবং সে সময় বেশ গোলোযোগ চলতে থাকে। আর এই সুযোগে রাশিয়ার অন্যতম সমৃদ্ধ এবং উর্বর প্রদেশ ইউক্রেন পূর্ণ স্বাধীনতা ঘোষণা করে। ইউক্রেন শব্দটির অনুবাদ করলে অর্থ দাঁড়াবে সীমান্ত ভূমি বা সীমান্তে। ১৯১৭ সালে রাশিয়ায় জারকে উৎখাত করার সাথে সাথে ইউক্রেন একটি প্রাদেশিক সরকার গঠন করে এবং একই সাথে রুশ ফেডারেশনের আওতায় থেকে নিজেকে প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করে। ভøাদিমীর লেনিন নেতৃত্বে বলশেভিকরা ক্ষমতায় আসার পর ইউক্রেন এবং সাবেক রুশ প্রদেশ ফিনল্যান্ড স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
গুজরাট রাজ্যে ভূমিকম্পের তান্ডব
২০০১ সালের এ দিনে ৭.৯ রিখটার মাত্রার এক ভূকম্পনে ভারতের গুজরাট রাজ্যে অন্তত ২০ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। গুজরাট রাজ্যের আয়তন এক লক্ষ ৯৬ হাজার ২৪ কিলোমিটার। এই রাজ্যের প্রায় ৭০ শতাংশ হিন্দু এবং এ ছাড়া রাজ্যে ব্যাপক সংখ্যাক মুসলমান এবং জৈন ধর্মের মানুস বসবাস করে। ২০০১ সালের আদমশুমারিতে বলা হয়েছে, এ রাজ্যের ৬৯ শতাংশ অধিবাসী স্বাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন।
ভিসেন্ড পিনৎসনের ব্রাজিল আবিষ্কার (১৫০০)
তুরস্কের সঙ্গে অস্ট্রিয়া, রাশিয়া, পোল্যান্ড ও ডেনিসের কারলো উইজ শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর (১৬০৯)
প্রথম বাঙালি তথা ভারতীয় মির্জা ইহতিশামের বিলাত যাত্রা (১৭৬৪)
হংকংয়ের ওপর বৃটিশদের সার্বভৌমত্ব ঘোষণা (১৮৪১)
বৃটিশ দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ভারতে মাহাত্মা গান্ধীর লং মার্চ শুরু (১৯৩০)
সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য ভারতের কারাগার থেকে মাহাত্মা গান্ধীকে মুক্তি দেয়া হয় (১৯৩১)
জার্মানের সঙ্গে পোল্যান্ডের ১০ বছরের অনাক্রমণ চুক্তি স্বাক্ষর (১৯৩৪)
ডেনমার্কে বিমান দুর্ঘটনায় সুইডেনের যুবরাজ গুস্তাব এডলফ নিহত (১৯৪৭)
ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রজাতন্ত্র ঘোষণা (১৯৫০)
ভারতের সঙ্গে একত্রীকরণের জন্যে কাশ্মীর সংবিধান কার্যকর (১৯৫৭)
ডাকলাভ হাভেল নতুন চেক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত (১৯৯৩)
গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে অভিযুক্ত হবার পর পোলিশ প্রধানমন্ত্রী জোসেফ ওয়েলেস্কির পদত্যাগ (১৯৯৬)
ভারতের গুজরাটে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২০ হাজার প্রাণহানি। লাখ লাখ
গৃহহীন (২০০১)
বাংলাদেশ সময়: ৮:৫৪:২৮ ২৮৬ বার পঠিত