
রাজ্যে চিটফান্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে লড়াই করেছিল কংগ্রেসই। দূরত্ব বেড়েছিল সোনিয়া-মমতার। প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের করা মামলা থেকেই নজরে আসে সারদা কেলেঙ্কারি। তারপর জল গড়িয়েছে অনেক। মোদী বিরোধিতা করতে আবার কাছাকাছি আসছে কংগ্রেস ও তৃণমূল। তবে রাজনীতির সমীকরণ বদলালেও একসময়ের বিরোধী বয়ান তো আর বদলে যেতে পারে না। আপাতত সেই অস্ত্রেই কংগ্রেসকে অপদস্থ করতে চাইছে বিজেপি।
২০১৪, রাজ্যে চিটফান্ড কেলেঙ্কারি তখনও শিরোনামে। রাহুল গান্ধী মন্তব্য করেছিলেন, ‘চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে পশ্চিমবঙ্গের ২০ লক্ষ মানুষের টাকা খোয়া গিয়েছে।’ রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা তো বটেই, হাই কমান্ডও সেই সময় বেশ সরব ছিল মমতা সরকারের চিটফান্ড-কেলেঙ্কারি যোগ নিয়ে।
আজ এক মঞ্চে তৃণমূল-কংগ্রেসকে দেখা গেলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় রাহুল তথা কংগ্রেসের সেসব মন্তব্য জ্বলজ্বল করছে। তাই সেইসব মন্তব্যকেই হাতিয়ার করল বিজেপি। রবিবার সন্ধেয় রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই যাওয়ার পর যখন প্রতিবাদে ধর্নায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা, তখনই সমর্থন জানিয়ে ফোন করেন রাহুল। সেই চিটফান্ড কেলেঙ্কারি যোগ নিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে জেরা করতে চাইছে সিবিআই। আর সেই ইস্যুতে রাহুলের সমর্থন স্বাভাবিকভাবেই তাঁর একসময়ের বিরোধিতার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।
সোমবার বিজেপি তাদের অফিশিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডলে রাহুলের বা কংগ্রেসের সেসব পুরনো ট্যুইটের স্ক্রিনশট দিয়ে বলেছে, রাহুল মাল্টিপল পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডারে ভুগছে।
এই রোগে সাধারণত একজন মানুষ বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন ধরনের আচরণ করেন। তাই রাহুলের একই ইস্যুতে এই ভিন্নমতকে অসুখ বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
রবিবারই মমতাকে ফোন করে সমর্থনের কথা জানান রাহুল। এদিকে, প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী রবিবার রাতে বলেন, এই মুহূর্তে বাংলায় যা পরিস্থিতি তাতে ৩৫৬ ধারা জারি হওয়া প্রয়োজন৷
রবিবার সন্ধেয় কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিল সিবিআইয়ের টিম। প্রথমে তাঁদের ঢুকতে বাধা দেয় কলকাতা পুলিশ। পরে সিবিআইয়ের অফিসারদেরই টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় শেক্সপিয়ার সরণী থানায়। এরপরই রাজীব কুমারের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে বেরিয়েই মেট্রো চ্যানেলে ধর্না শুরু করেছেন তিনি। রাহুল গান্ধী ছাড়াও মমতাকে সমর্থন জানিয়েছেন, কেজরিওয়াল, দেবেগৌড়া, অখিলেশের মত নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫০:৩৩ ১৬৭ বার পঠিত