বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় জামিন চাইতে মঙ্গলবার বকশিবাজারের আদালতে যাবেন।
সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া আদালতের যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে পুরান ঢাকার বকশিবাজারস্থ আলিয়া মাদ্রাসার মাঠের অস্থায়ী আদালতে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে পৌঁছাবেন।
‘ওইদিন আমরা উভয় মামলায় ম্যাডামের জন্য জামিন চাইব এবং চ্যারিটেবল মামলা সাফাই সাক্ষ্য থেকে এবং অরফানেজ মামলা যুক্তিতর্ক থেকে উত্তোলনপূর্বক অবশিষ্ট আত্মপক্ষ শুনানি গ্রহণের আবেদন করব।’
এর আগে উভয় মামলায় গত বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। একই সঙ্গে উভয় মামলা আত্মপক্ষ শুনানি থেকে অরফানেজ মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানির এবং চ্যারিটেবল মামলায় সাফাই জন্য ৫, ৬ ও ৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করে আদালত।
এরও আগে গত ১৯ ও ২৬ অক্টোবর এবং ২, ৯, ১৬ ও ২২ নভেম্বর অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় মামলায় এবং চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থনে আদালতে বক্তব্য দেন।
এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়।
২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।
অন্যদিকে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। এ মামলায় ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়।
মামলাটিতে বিএনপি নেতা সচিব হারিছ চৌধুরী এবং তার তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ এর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান আসামি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:২১:১১ ৪৪৪ বার পঠিত