
১৮০২ সালের এ দিনে বিখ্যাত ফরাসী লেখক ও সাহিত্যিক ভিক্টর হুগো জন্ম গ্রহণ করেন। মুক্তিকামী এ লেখক দরিদ্র ও বঞ্চিতদের জন্য সামাজিক সংস্কারের পক্ষপাতি ছিলেন। তিনি ২৫ বছর বয়সে ফরাসী একাডেমীর সদস্য হয়েছিলেন এবং একই সময়ে ফরাসী সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হয়েছিলেন। তৃতীয় নেপোলিয়নের স্বৈরশাসনের প্রতিবাদ করায় তাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয় এবং নির্বাসনে কাটাতে হয় জীবনের ২০ টি মূল্যবান বছর। অবশ্য নির্বাসিত জীবনে ভিক্টর হুগো রচনা করেন মূল্যবান সাহিত্য-সম্ভার। তাকে সাহিত্যে রোমান্টিসিজমের অগ্রপথিক মনে করা হয়। ভিক্টর হুগোর উপন্যাসের মধ্যে লেস মিজারেবলস বা দরিদ্র, গুজকস্ট নটরডেম বা নটরডেমের গুজো পিঠ, দ্যা টয়েলার্স অব দ্যা সি বা সাগরের শ্রমিক, দ্যা ম্যান হু লাফ বা হাসতো যে লোকটি শীর্ষক উপন্যাসগুলো উল্লেখযোগ্য। তিনি ১৮৮৫ সালে মারা যান।
১৯২১ সালের এ দিনে ইরান ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে একটি মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। রুশ বিপ্লবের চার বছর পর এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এ চুক্তি অনুযায়ী মস্কো ইরানের ব্যাপারে সাবেক জার রাজাদের নীতি অনুসরণ করবে না বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়। এ ছাড়াও এ চুক্তির ভিত্তিতে ইরানের সাথে রাশিয়ার স্বাক্ষরিত যেসব চুক্তি ইরানের জন্য ক্ষতিকর ছিল সেসব চুক্তি বাতিল হয়ে যায়। এমনকি ইরান বিরোধী সরকারগুলোর সাথে স্বাক্ষরিত রাশিয়ার জার সরকারের চুক্তিগুলো বাতিল ঘোষণা করা হয়। অবশ্য সোভিয়েত ইউনিয়ন ইরানের কাছে ককেশাস ও তুর্কিস্তানকে ফেরত দেয় নি। এসব অঞ্চল ছিল উত্তর-পশ্চিম ইরানের ও পূর্ব ইরানের অংশ। অন্যদিকে এ চুক্তি অনুযায়ী ইরানও তার ভূখন্ডে কাউকে সোভিয়েত বিরোধী তৎপরতা চালানোর সুযোগ দেবে না বলে প্রতিজ্ঞা করে। সে যুগে পাশ্চাত্যের দেশগুলো সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতিদ্বন্দ্বি ছিল।
দীর্ঘকাল রোগভোগের পর ২৩ বছর আগে ১৯৮৬ সালের এ দিনে ইরানের বিশিষ্ট সঙ্গীতজ্ঞ ও সঙ্গীত শিল্পী গোলাম মোহসিন বানান ইন্তেকাল করেন। তিনি একাধারে আধুনিক এবং ঐতিহ্যবাহী ও ক্লাসিকেল মিউজিকে দক্ষ ছিলেন। ইরানের বেতারে গোলাম মোহসিন বানানের প্রায় ৪৫০ টি গান তার স্মৃতিকে অমর করে রেখেছে।
২০৩ হিজরীর সফর মাসের শেষ দিনে শাহাদত বরণ করেন নবী বংশের উজ্জ্বল নক্ষত্র এবং বিশ্বনবী (সাঃ) আহলে বাইতের অন্যতম সদস্য হযরত আলী বিন মূসা রেজা (আঃ) শাহাদত বরণ করেন। হিজরী ১৪৮ সনে মদীনায় তাঁর জন্ম হয়েছিল। পিতা হযরত ইমাম মূসা কাযেম (আঃ)’র শাহাদতের পর তিনি মুসলিম উম্মাহকে সুপথ দেখানোর দায়িত্বপ্রাপ্ত ইমাম হন। আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর কাছে যা কিছু আসতো তাতে তিনি সন্তুষ্ট থাকতেন বলে তিনি রেজা উপাধি লাভ করেন। খলিফা মামুন তাঁকে তৎকালীন রাজধানী বা আজকের যুগের তুর্কমেনিস্তানের মার্ভ শহরে আসার আমন্ত্রণ জানান। মামুন ইমাম রেজা (আঃ)-কে পরবর্তী খলিফা হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নিজের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছিল। কিন্তু ইমাম রেজা (আঃ)’র ব্যাপক আধ্যাত্মিক প্রভাব ও ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে খলিফা মামুন তাঁকে বিষ প্রয়োগে শহীদ করে। হযরত ইমাম রেজা (আঃ)’র শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সবাইকে জানাচ্ছি শোক ও সমবেদনা। এই মহান ইমামের একটি বাণী শুনিয়ে শেষ করবো ইতিহাসে প্রতিদিনের আজকের আসর। ইমাম রেজা (আঃ) বলেছেন, আল্লাহর সেরা বান্দা বা দাস হল তারা যারা ভালো কাজ করলে খুশী হয় এবং ভুল বা মন্দ কাজ করে ফেললে ক্ষমা চায়। তাদেরকে অনুগ্রহ করা হলে বা নেয়ামত দেয়া হলে তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং দুঃখ-বিপদ আসলে ধৈর্য ধরে ও ক্রোধান্বিত হলে ক্রোধকে এড়িয়ে বা দমিয়ে চলে।
লিসবনে ভূমিকম্পে ২০ হাজার লোক নিহত (১৫৩১)
ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সর্বপ্রথম এক পাউন্ডের নোট ইসু (১৭৯৭)
দ্বিতীয় ফরাসি প্রজাতন্ত্র স্থাপিত (১৮৪৮)
ফ্রান্স-জার্মানির মধ্যে ভার্সাই চুক্তি স্বাক্ষর (১৮৭১)
ব্রিটেনের পারমাণবিক বোমা তৈরির কথা ঘোষণা (১৯৫২)
রাওয়ালপিন্ডিতে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে গোল টেবিল বৈঠক (১৯৬৯)
ইসরাইল ও মিশরের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন (১৯৮০)
জাতীয় সংসদে বাংলা ভাষা প্রচলন বিল পাস (১৯৮৭)
উপসাগরীয় যুদ্ধের অবসান (১৯৯১)
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৩০:১২ ২৪৯ বার পঠিত