
যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সিঙ্গাপুর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৯৯-তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে। সিঙ্গাপুরে বসবাসরত প্রায় দুই শতাধিক প্রবাসী ও তাদের পরিবারবর্গের উপস্থিতি এবং শতাধিক শিশু কিশোরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ এর মাধ্যমে এই বিশেষ দিবসটির অনুষ্ঠান আনন্দ-মুখর উৎসবে পরিণত হয়।
দিবসটির অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, বঙ্গবন্ধুর শৈশব, বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও কর্মজীবনের উপর আলোচনা, শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে বয়ঃভিত্তিক কবিতা পাঠ, উপস্থিত বক্তৃতা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। সিঙ্গাপুর সফররত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর শৈশব, কৈশোর, রাজনৈতিক জীবন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালী জাতিসত্ত্বার আলোকবর্তিকা। বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ, তিতিক্ষা আর সংগ্রামের ফসল আজকের বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ার দর্শন বর্তমান প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।’

সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের হাই কমিশনার জনাব মো. মোস্তাফিজুর রহমান তার ভাষণে বঙ্গবন্ধুর শৈশব-কৈশোরের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শিশুদের সাহচর্য্য খুব পছন্দ করতেন এবং তাদের সাথে সহজে মিশে যেতে পারতেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবনদর্শন থেকে শিক্ষা নিয়ে শিশুদেরকে ভবিষ্যতের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে মান্যবর হাই কমিশনার এবং তাঁর সহধর্মিণী মিসেস তানজিনা বিনতে আলমগীর প্রতিযোগিতায় বিজয়ী এবং অংশগ্রহণকারী সবার মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। আমন্ত্রিত অতিথিদের বাংলাদেশি খাবার সহযোগে নৈশ ভোজে আপ্যায়িত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১:০২:৪৩ ১৫৪ বার পঠিত