
আনন্দমুখর পরিবেশে রবিবার সুইডেনের স্টকহোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০১৯ উদযাপিত হয়েছে।
দিবসটি পালন উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে একটি বর্ণিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সুইডেনে বসবাসরত বিপুল সংখ্যক শিশু-কিশোর, প্রবাসী বাংলাদেশিসহ মিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী সপরিবারে অংশ নেন। দিবসের মূল অনুষ্ঠানসূচীতে ছিল পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ, সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত বাণী পাঠ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন, বঙ্গবন্ধুর শৈশব, সংগ্রামী রাজনৈতিক ও কর্মজীবনের উপর আলোচনা, শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে রচনা, চিত্রাঙ্কন, ছড়া-কবিতা ও গল্প বলা প্রতিযোগিতা, শিশুশিল্পীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী এবং মধ্যাহ্নভোজন।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে দূতাবাসের অভ্যর্থনা কক্ষে শিশু-কিশোরদের জন্য বয়সভিত্তিক এক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। শিশু-কিশোররা তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
দ্বিতীয় পর্বের শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ। এরপর দিবসটি নিয়ে আলোচনায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন দিক, বিশেষ করে শিশুদের প্রতি গভীর মমত্ববোধসহ তার শৈশব, পারিবারিক জীবন এবং স্কুল জীবনের বিভিন্ন ঘটনা ও দিক তুলে ধরেন।

রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলাম তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তার অবিস্মরণীয় অবদানের কথা উল্লেখ করেন। বঙ্গবন্ধুর অতুলনীয় দেশপ্রেম ও শিশুদের প্রতি গভীর মমত্ববোধের দৃষ্টান্ত অনুসরণের জন্য এবং তার সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য তিনি সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে সাংস্কৃতিক আয়োজনে শিশুদের কবিতা আবৃত্তি, গল্প বলা এবং গান পরিবেশন উপস্থিত সকলকে ভীষণভাবে মুগ্ধ করে। অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রদূত প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন স্থান অধিকারী শিশু-কিশোরদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১:১৯:৪১ ১৬৬ বার পঠিত