আজ (বৃহস্পতিবার) ২১ মার্চ’২০১৯
আন্তর্জাতিক বর্ণবৈষম্য দূরীকরণ দিবস
সকল প্রকার বর্ণবৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ২১ মার্চ এ দিবসটি পালিত হয়। ১৯৬০ সালের এ দিনে বর্ণ প্রথার বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার শার্পভিলে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শনকালে পুলিশের গুলিতে ৬৯ জন নিহত হয়। এ দিবসটির স্মরণে প্রতি বছর আন্তর্জাতিক বর্ণবৈষম্য দূরীকরণ দিবস পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশ ১৯৭৯ সালের ১১ জুন বর্ণবৈষম্য দূরীকরণ সনদে স্বাক্ষর করে। দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৯৬০ সালের ঘটনার প্রেক্ষিতে ২৯টি আফ্রিকান ও এশীয় দেশের অনুরোধে জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদ এক বৈঠকে বসে ও অভিমত ব্যক্ত করে যে, দক্ষিণ আফ্রিকার পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে বিপন্ন করবে। নিরাপত্তা পরিষদ এই অভিমত ব্যক্ত করে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের প্রতি তার বর্ণবাদী নীতিসমূহ পরিত্যাগের আহ্বান জানায়। সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদের পুনঃ পুনঃ আহবান ও অনুরোধে সাড়া না দেয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সাধারণ পরিষদ ১৯৬২ সালে এক প্রস্তাব গ্রহণ করে। এতে সকল সদস্য রাষ্ট্রের প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা, দক্ষিণ আফ্রিকার পণ্য বর্জন এবং সমরাস্ত্রসহ সকল প্রকার রপ্তানি থেকে বিরত থাকার আহবান জানানো হয়। নিরাপত্তা পরিষদ ১৯৬৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আরোপ করে স্বেচ্ছামূলক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা, সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদ উভয়ই বর্ণবাদ বিরোধিতার দায়ে কারাদ- সকল ব্যক্তির নিঃশর্ত মুক্তির জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের প্রতি দাবি জানায়। ১৯৬৫ সালে সাধারণ পরিষদ দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য জাতিসংঘ ট্রাস্ট তহবিল গঠন করে। স্বেচ্ছামূলক চাদার ভিত্তিতে গঠিত এই তহবিল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার নিপীড়ন ও বৈষম্যমূলক আইনের শিকার ব্যক্তিদের আইনগত সহায়তা দানের উদ্দেশ্যে নির্যাতিত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারবর্গ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার কারাবন্দীদের সাহায্য দেয়া হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্য নীতির বিরুদ্ধে জাতিসংঘের এ সকল পদক্ষেপের ধারাবাহিকতা ১৯৬৬ সালে সাধারণ পরিষদ ১৯৬০ সালে শার্পভিল ঘটনার স্মরণে ২১ মার্চ দিনটিকে আন্তর্জাতিক বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে প্রতিবছর দিনটি পালনের আহবান এবং বর্ণবৈষম্য বিলোপের আন্দোলন দ্বিগুণ তীব্র করার জন্য বিশ্ব সমাজকে অনুরোধ জানায়। সেই থেকে জাতিসংঘ সদস্যভুক্ত সকল দেশে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। জাতিসংঘ সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ সকল সময় বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলো এবং প্রতিবছর আন্তর্জাতিক বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবস পালন করে আসছে।
১৯৬৮ সালের এ দিনে প্যালেষ্টাইন লিবারেশন অরগানাইজেশন বা পিএলওর সাথে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সবচেয়ে বড় লড়াই হয়েছিলো। ১৯৬৫ সালে পিএলও গঠিত হয় এবং এরপর থেকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে নানা অভিযান চালানো হয়। ১৯৬৮ সালের এ দিনে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সেনারা জর্দানে অবস্থিত একটি ফিলিস্তিনী শরণার্থী শিবিরে প্রবেশ করলে এই প্রচন্ড লড়াইয়ের সূচনা হয়। লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত ১২৩০জন ইসরাইলি সৈন্য নিহত হয়। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি ইসরাইলি ট্যাংক ধ্বংস করা হয় কিছু ট্যাঙ্ক ফিলিস্তিনীদের দখলে আসে। তবে ১৯৯১ সালে পিএলও সংগ্রামে পথ থেকে সরে আসে এবং ইসরাইলের সাথে তথাকথিত শান্তি আলোচনার নামে আতাঁত করে ।
১৯৯০ সালে এ দিনে নামিবিয়া স্বাধীনতা লাভ করে। এ দিনটিকে দেশটির জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। উনিশ শতক থেকে নামিবিয়ায় ঔপনিবেশিক শক্তিগুলোর পদচারণার শুরু হয়। দেশটির প্রাকৃতিক সম্পদ হাতিয়ে নেয়ার জন্য এখানে এসে ভিড় জমাতে থাকে জার্মানি, বৃটেন এবং পোর্তুগাল। দেশটির উপর কে প্রভাব বিস্তার করবে হবে তার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। তবে শেষপর্যন্ত এ প্রতিযোগিতায় জয়ী হয় জার্মানি। তবে প্রথম মহাযুদ্ধে জার্মানীর শোচনীয় পরাজয়ের পর নামিবিয়ার হাত বদল হয়। দেশটি বৃটেনের দখলে চলে যায়। পরবর্তীতে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী সরকার নামিবিয়ার উপর কর্তৃত্ব স্থাপন করেছিলো। এ্যাংগোলা থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা নিজ বাহিনীকে সরিয়ে নেয়ার পরই নামিবিয়া স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯১৮ সালের এ দিনে প্রথম মহাযুদ্ধ চলাকালে জার্মান বাহিনী ফ্রান্সের সোমে নদীর কাছে অবস্থিত পশ্চিম ফ্রন্টে বড় সামরিক অভিযান শুরু করে। এর আগের দুই বছরে এতো বড় সামরিক অভিযান আর চালানো হয় নি। হামলা প্রথম দিনে জার্মান বাহিনী চার মাইলের বেশি এগিয়ে যায় এবং ত্রিশ হাজার বৃটিশ সৈন্য হতাহত হয়। এরপর কয়েকদিন ধরে বৃটিশ সেনাবাহিনীতে এক আতংকের সৃষ্টি হয়েছিলো। এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে জার্মান বাহিনীর প্রথম পর্যায়ের হামলা বন্ধ করে দেয়া হয়।
১৯৮০ সালের এ দিনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার একদল মার্কিন ক্রীড়াবিদকে জানান, সে বছর মস্কোতে যে ওলিম্পিক হওয়ার কথা রয়েছে তা যুক্তরাষ্ট্র বর্জন করবে। আফগানিস্তানে সোভিয়েত ইউনিয়নের আগ্রাসনের প্রতিবাদে এই ক্রীড়া অনুষ্ঠান বর্জন করা হবে বলে তিনি জানান। তবে যুক্তরাষ্ট্র ওলিম্পিক ক্রীড়া বর্জনের ঘোষণা দেয়ার পরও সোভিয়েত ইউনিয়নের আফগানিস্তান নীতির কোনোই পরিবর্তন হয় নি।
১৯৬৮ সালের এ দিনে ফ্রান্সের গণিত এবং পদার্থবিদ জোসেফ ব্যারন ফোরিয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন পেশায় দর্জি এবং মাত্র নয় বছর বয়সে তিনি পিতাকে হারান। সে কালে ফরাসি সেনাবাহিনীর বৈজ্ঞানিক কোরে কেবল অভিজাত ঘরের সন্তানদের প্রবেশাধিকার ছিলো। কিন্তু এরপর তিনি সেখানে গণিতের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। ফরাসি বিপ্লবে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করার জন্য তাকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিলো। তিনিই ১৮২৮ সালে প্রথম গ্রীন হাউজ প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারটি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। ১৮৩০ সালে তিনি পরলোকগমন করেন।
১৯৬০ সালের এ দিনে ভোটাধিকার প্রদান এবং অশেতাঙ্গদের ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা বাতিলের দাবিতে অনুষ্ঠিত প্রায় ১৫ হাজার কৃষ্ণাঙ্গের মিছিলে নির্বিচারে গুলি করে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী সরকারের পুলিশ বাহিনী। এতে মর্মান্তিক ভাবে প্রাণ হারায় ৬৯ জন এবং ১৪০ আহত হয়। বর্ণবাদী সরকারে হাতে প্রায় দশ হাজারের বেশি মানুষ গ্রেফতার হয়। বর্বরোচিত এই হত্যাকান্ড এবং নির্যাতনের ঘটনায় অহিংস আন্দোলনের প্রতি বর্ণবাদী বিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডলার মোহভঙ্গ হয়। তিনি সশস্ত্র সংগ্রামের পথ বেছে নেন। তবে অল্প কয়েকটা অভিযান চালানোর পর ১৯৬৪ সালে তিনি গ্রেফতার হন। ২৭ বছর কারাভোগের পর তিনি ১৯৯৪ সালে তিনি মুক্তিলাভ করেন। জোহান্সবার্গের কাছে অবস্থিত শার্পারভিলের এ জঘন্য হত্যাকান্ডের দিনকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৯৬৬ সালে আন্তর্জাতিক বর্ণ বৈষম্য নির্মূল দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
স্পেনে ভূমিকম্পে ৬ হাজার লোক নিহত (১৮২৯)
কলকাতায় প্রথম গণগ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত (১৮৩৬)
ফ্রান্স ট্রেড ইউনিয়নকে বৈধতা প্রদান (১৮৮৪)
সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র ঘোষণা (১৯১৯)
সুদানে প্রথম নিজস্ব সরকার গঠন (১৯৫৩)
দঃ আফ্রিকায় আইন পাসের বিরুদ্ধে প্যান আফ্রিকান বিক্ষোভে গুলি বর্ষণের ফলে শফপেভিলে ৭৫ কৃষ্ণাঙ্গ নিহত এবং জরুরি অবস্থা জারি (১৯৬০)
ইথিওপিয়ায় সামরিক সরকার কর্তৃক রাজকীয় স¤্রাটের পদ বিলোপ (১৯৭৫)
পার্লামেন্ট নির্বাচনে নিজ আসনে পরাজিত হওয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর পদত্যাগ (১৯৭৭)
কুয়েতি তেলকূপের ধোয়ায় সৌদি বিমান বিধ্বস্ত ৷ ৯৮ জন নিহত (১৯৯১)
সংসদে বঙ্গবন্ধুর ছবি অপসারণ বিল পাস (২০০২)
বাংলাদেশ সময়: ১২:৫০:০৯ ২০৯ বার পঠিত