আজ ০৪ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) ২০১৯
যোগেশচন্দ্র ঘোষের মৃত্যু
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, আয়ুর্বেদ শাস্ত্রবিশারদ, সাধনা ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা যোগেশচন্দ্র ঘোষের আজ মৃত্যুদিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকার গেন্ডারিয়ায় সাধনা ঔষধালয়ের অফিসে পাক সেনাদের গুলিতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। যোগেশচন্দ্র ঘোষের গবেষণা, সাধনা ও কর্মোদ্যমে এ অঞ্চলে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা ও প্রস্তুতপ্রণালী আধুনিক মানে উন্নীত হয়। রোগ-ব্যাধির কারণ ও লক্ষণ, আয়ুর্বেদ চিকিৎসার অন্তর্নিহিত তত্ত্ব, আয়ুর্বেদ ওষুধের ব্যবহার ইত্যাদি সম্পর্কে বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন তিনি। এগুলোর মধ্যে অগ্নিমান্দ্য ও কোষ্ঠবদ্ধতা, আরোগ্যের পথ, গৃহচিকিৎসা, আমরা কোন পথে, আয়ুর্বেদ ইতিহাস ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
যোগেশচন্দ্র ঘোষের জন্ম ১৮৮৭ সালে মাদারীপুরের গোসাইরহাটে। ১৯০২ সালে এন্ট্রান্স পাস করেন ঢাকা জুবিলী স্কুল থেকে। এরপর ১৯০৪ সালে জগন্নাথ কলেজ থেকে এফএ এবং ১৯০৬ সালে কুচবিহার কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে উচ্চশিক্ষা নেন ১৯০৮ সালে। এরপর অধ্যাপনা করেন প্রথমে ভাগলপুর কলেজে ৪ বছর এবং জগন্নাথ কলেজে একটানা ৩৬ বছর। শেষদিকে জগন্নাথ কলেজের প্রিন্সিপালও ছিলেন। ১৯১৪ তে ঢাকায় তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আয়ুর্বেদ ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সাধনা ঔষধালয়।
১৯৪৯ সালের এ দিনে ব্রাসেলস চুক্তি অনুসারে ন্যাটো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ন্যাটো চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো হচ্ছে – বেলজিয়াম, ফ্রান্স, বৃটেন, লুক্সেমবার্গ, হল্যান্ড, কানাডা, ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, ইতালী ,নরওয়ে, পর্তুগাল এবং আমেরিকা। পরবর্তীতে জার্মান,গ্রীস,স্পেন এবং তুর্কি ন্যাটোভুক্ত হয়। ন্যাটো চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো অভিন্ন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং অর্থনৈতিক ও সাস্কৃতিক সম্পর্ক বিস্তারের লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। আর এই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ন্যাটোভুক্ত কোনো একটি দেশে হামলা করা হলে তাদের সবার উপর হামলা করা হয়েছে বলা ধরে নেয়া হবে।
১৯৬০ সাল এবং পরবর্তী কালে ন্যাটোভুক্ত দেশ ফ্রান্সসহ আরো কয়েকটি দেশ ন্যাটো থেকে ধীরে ধীরে সরে আসতে থাকে। তারা ন্যাটো বাহিনী থেকে তাদের সেনা কমান্ড সরিয়ে নেয়।শীতল যুদ্ধের পরিণতিতে সোভিয়েত ইউনিয়নের সম্ভাব্য হুমকীর পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাটো জোট গঠিত হয়। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর সামরিক জোট হিসেবে ন্যাটোকে টিকিয়ে রাখার জন্যে তারা এর বিভিন্ন কারণ ও ব্যাখ্যা দাঁড় করানোর চেষ্টা করে। আর এটি এমন সময় করা হয়েছে যার বেশ কয়েক বছর আগে ন্যাটো প্রাচ্য অভিমুখে তাদের বিস্তৃতি ঘটিয়েছে। তবে ন্যাটো সদস্যভুক্ত ইউরোপীয় দেশগুলো ন্যাটোতে মার্কিন প্রভাব হ্রাস করার দাবী জানিয়ে আসছিল।
১৯৬০ সালের এ দিনে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সেনেগাল স্বাধীনতা লাভ করে। খৃষ্টীয় পনের শতাব্দীতে পর্তুগাল দেশটিতে উপনিবেশ স্থাপন করে। পরে ১৭ শতকে ফ্রান্সও সেনেগালের সম্পদ লুট শুরু করে এবং দেশটিতে আধিপত্য বিস্তার করে। তবে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর ফ্রান্স দূর্বল হয়ে পড়ায় ১৯৫৮ সালে তারা সেনেগালের স্বাধীনতা মেনে নিতে বাধ্য হয় এবং অবশেষে ১৯৬০ সালে দেশটি পূর্ণাঙ্গভাবে স্বাধীনতা লাভ করে। আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূলবর্তী দেশ সেনেগালের প্রতিবেশী দেশগুলো হচ্ছে- মৌরিতানিয়া, মলি, গিনি এবং গিনি বিসাও ক। দেশটির আয়তন ১৯৬ হাজার বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যার শতকার ৯৪ ভাগ মুসলিম।
১৯৬৮ সালের এ দিনে আমেরিকার সংগ্রামী কৃষ্ণাঙ্গ নেতা মার্টিন লুথার কিং আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। ১৯২৯ সালের ১৫ ই জানুয়ারি তিনি আটলান্টায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধ্যায়ন শেষ করার পর বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত হন। তার নেতৃত্বে আমেরিকায় সর্বাত্মক বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন গড়ে ওঠে। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে এবং কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে তার ভূমিকার জন্য ১৯৬৪ সালে তাকে শান্তিতে নোবেল পুরুষ্কার দেয়া হয় ।
১৯৭৮ সালের এ দিনে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টোকে মৃত্যু দন্ড দেয়া হয়। ১৯৬৭ সালে তিনি আইয়ুব খানের মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করে নিজে পাকিস্তান পিপলস পার্টি নামে দল গঠন করেন। ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে তার দল পশ্চিম পাকিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের আওয়ামী লীগ সার্বিক সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করা সত্ত্বেও তাদের উপর ক্ষমতা অর্পণে ভুট্টো আপত্তি তোলেন। এরপর ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর ভুট্টো ইয়াহিয়া খানের স্হলে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হন। ১৯৭৩ সালে দেশের সংবিধান পরিবর্তনের মাধ্যমে তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করেন। ১৯৭৭ সালে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই জেনারেল জিয়াউল হক দ্বারা সংঘটিত এক সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপর এক ব্যক্তিকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে পাকিস্তানের সামরিক আদালত তাকে এ মৃত্যুদন্ড দেয় ।
হিজরী ১৩৭৭ সালের এ দিনে প্রখ্যাত লেখক ও অনুবাদক অধ্যাপক অরম আহমদ ইন্তেকাল করেন। তিনি ১২৮৩ হিজরীতে তেহরানে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি তার ৯৪ বছরের জীবনকালে ১৪০ টি বই এবং ৬০টি গবেষণামূলক বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ লিখেছেন ও অনুবাদ করেছেন।
সুইডেনের বিরুদ্ধে ডেনমার্কের যুদ্ধ ঘোষণা (১৬১১)
খাসিয়া বিদ্রোহ শুরু (১৮২৯)
উত্তর ভারতে ভূমিকম্পে ২০ হাজার লোকের প্রাণহানি (১৯০৫)
সোভিয়েত ইউনিয়ন ও কমিউনিস্ট বিশ্বের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ধনতান্ত্রিক দেশগুলোর সামরিক জোট গঠন (১৯৪৯)
তথ্য পাচারের অভিযোগে কমিউনিষ্ট কর্মী রোজেনবার্গ দম্পতিকে মার্কিন সরকারের মৃত্যুদ- (১৯৫১)
আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গ মানবাধিকার নেতা মার্টিন লুথার কিং আততায়ীর গুলিতে নিহত (১৯৬৮)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ এবং চাঞ্চল্যকর হত্যাকা–সেভেন মার্ডার (১৯৭৪)
পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্টোর ফাঁসি কার্যকর (১৯৭৯)
প্রথম ভারতীয় নভোচারী রাকেশ শর্মার সোভিয়েত সহায়তায় মহাকাশ অভিযান (১৯৮৪)
বাংলাদেশ সময়: ১২:১৩:৪৩ ২৩২ বার পঠিত