
মোদী-অমিত শাহ যোগসাজসে এবার আর ভোটে দাঁড়াতে পারছেন না লালকৃষ্ণ আদাবানী৷ আর তাঁর মতো নেতাকে এভাবে গুরুত্বহীন করে দেওয়ায় গত কয়েকদিন রাজনৈতিক মহলে রীতিমতো চর্চা হয়েছে ৷ বর্ষীয়ান এই নেতা অবশেষে বার্তা দিলেন৷ সেই বার্তায় জানিয়েছেন, দেশ আগে , দল পরে তারও পরে নিজে৷
এবার আদবানির গান্ধীনগর আসন থেকে এবার লড়ছেন বিজেপি সভাপতি অমিতশাহ ৷ আর বিজেপি প্রতিষ্ঠা দিবসের দুদিন আগে আদবানি বললেন, এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বিজেপিতে আমাদের কাছে – সামনে পিছনে এবং মাঝ বরাবর তাকিয়ে৷ বিজেপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আমি মনে করি এটা আমার কর্তব্য ভারতের জনগণের কাছে আমার মনোভাব জানানো৷ বিশেষত লক্ষ লক্ষ পার্টি কর্মীদের কাছে যাদের কাছে আমি ঋণী তাদের ভালবাসা এবং শ্রদ্ধায়৷ তাঁর ব্লগে আদবানি তাঁর গান্ধীনগরের ভোটারদের কৃতঞ্জতা জানিয়েছেন কারণ ১১৯১ থেকে ছয় বার তাঁকে ওই কেন্দ্র থেকে জয়ী করেছেন৷
এই বিজেপি নেতা মনে করান মাত্র ১৪ বছর বয়েসে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ৷ তাঁর কথায়,‘‘ গত তা দশক ধরে তাঁর রাজনৈতিক জীবনকে এই দলের থেকে আলাদা করা যায়না- প্রথমে ভারতীয় জনসঙ্ঘ এবং পরে ভারতীয় জনতা পার্টি৷ আমি দুটি দলেরই প্রর্তিষ্ঠাতা সদস্য৷ কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে- দীনদয়াল উপাধ্যায় অটলবিহারী বাজপেয়ী মতো ব্যক্তিত্ব আত্মত্যাগী নেতা৷’’
তিনি উল্লেখ করেন-দেশ আগে , দল পরে তারও পরে নিজে৷ এই নীতি মেনে জীবন চালিয়েছেন৷ আদবানি বলেছেন,ভারতের গণতন্ত্র বৈচিত্রকে এবং বাক স্বাধীনতাকে শ্রদ্ধা জানায়৷ বিজেপি প্রসঙ্গে তিনি জানান, দল কখনও যাদের সঙ্গে রাজনৈতিক দিক থেকে মতবিরোধ রয়েছে তাদের শত্রু বলে বিবেচনা করেনি শুধু প্রতিপক্ষ ভেবেছে৷ একই রকম ভাবে ভারতীয় জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে আমাদের ধারণা এমন নয় যে যারা রাজনৈতিক ভাবে আমাদের বিরোধিতা করছে তারা দেশবিরোধী৷
এদিকে আদবানির এই বার্তাকে স্বাগত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর মতে আদবানিজির এই মন্তব্য গণতান্ত্রিক দেশের জন্য তৎপর্যপূর্ণ৷ তিনিও আদবানির মতোই মনে করেন সব বিরোধী দল যারা আওয়াজ তুলছে তারা দেশবিরোধী নয়৷
বাংলাদেশ সময়: ২১:০৮:৫৮ ১৬৯ বার পঠিত