
নিউজটুনারায়ণগঞ্জঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের চিন্তা ধারার অন্যতম হল সেভ ড্রাইভ সেভ লাইফ। তারই ফসল কন্যাশ্রী আজ দেশ ছেড়ে দেশের বাইরেও আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কন্যাশ্রী প্রকল্প বিশ্ব বন্দীত হয়ে বিশ্বের দরবারে। রাজ্যের কন্যাশ্রী প্রকল্প শেষ্ঠ প্রকল্প হিসাবে ইতিমধ্যেই খ্যাতির শিরোপা লাভ করেছে। তেমনই সেভ ড্রাইভ সেভ লাইফও আজ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছেছে। সেভ ড্রাইভ সেভ লাইফ এর অন্যতম উদ্দেশ্য হল সব ধরনের মানুষকে সচেতন করা। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরণের গাড়ি চালকদের জীবন রক্ষার স্বার্থে রাজ্য জুড়ে শুরু হয় সেভ ড্রাইভ সেভ লাইফ এর কর্মসূচি। গত এক মাস ধরে নদীয়া পুলিশের উদ্যোগে শুরু হয়েছিল সেভ ড্রাইভ সেভ লাইফের কর্মসূচি। নদীয়ায় দীর্ঘ এক মাস ধরে চলা সেভ ড্রাইভ সেভ লাইফ এর প্রচার অভিযান শেষ হল ৪ মার্চ ২০১৯ সোমবার। সেই উপলক্ষে এদিন বেলা ১১ টায় কল্যাণীর সেন্ট্রাল পার্ক থেকে শুরু হয় বিভিন্ন ধরণের ট্যাবল সহকারে এক বর্ণাঢ্য পদযাত্রা।

পদযাত্রাটি শহর পরিক্রমা করে শেষ হয় কল্যাণী স্টেডিয়াম ময়দানে। এদিন সেভ ড্রাইভ সেভ লাইফ উপলক্ষে পদযাত্রায় অংশগ্রহন করেছিলেন, শহরের বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র ও ছাত্রী ছাড়াও স্থানীয় ক্লাব সহ সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা। এছাড়াও ছিলেন, নদীয়ার পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার ও তার বাহিনীর সদস্যরা। এদিন সমাপ্তি অনুষ্ঠানে দক্ষিণ বঙ্গের আই জি নীরজ কুমার সিংহ সেভ ড্রাইভ সেভ লাইভের পর্যালোচনা করতে গিয়ে বলেন, প্রচার অভিযানের ফলে সমগ্র দক্ষিণ বঙ্গে ১৫ থেকে ১৬ শতাংশ দুর্ঘটনা কমেছে। তিনি আরও বলেন, শুধু দুর্ঘটনাই কমেনি এর পাশাপাশি মানুষের মৃত্যু ও আহতের সংখ্যাও অনেকটাই কমেছে। এদিন এই অনুষ্ঠানে আইজি ছাড়াও ছিলেন, নদীয়ার পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার, নিরাপদ সড়ক চাই (বাংলাদেশ) চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক শফিক আহমেদ সাজীব, বাংলাদেশ জাতীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট-চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলীয় সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, এসডিপিও কল্যাণী সুব্রত কংশবণিক ও কল্যাণী থানার আই সি মুকুল মিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৩৩:১২ ২২০ বার পঠিত