
ঢাকা,২৯ এপ্রিল,২০১৯ নিউজটুনারায়ণগঞ্জঃ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, বৈষম্য, ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সংসদ সদস্যদরর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। পিছিয়ে পড়া,বঞ্চিত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল স্রোতের সাথে সম্পৃক্ত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার। কৃষি প্রধান বাংলাদেশের অর্থনৈতিকে সমৃদ্ধ করতে জলবায়ুর পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবকে যথাযথভাবে মোকাবেলা করতে হবে–এক্ষেত্রে সংসদ সদস্যগণ তাঁদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে যুক্ত হয়ে অবদান রাখলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ২০৩০ অর্জন সহজ হবে।
তিনি আজ ইন্টার কন্টিনেন্টাল ঢাকায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় ও জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা আয়োজিত “এনগেজিং উইথ বাংলাদেশ পার্লামেন্ট অন এগ্রিকালচার, ফুড এন্ড নিউট্রেশন সিকিউরিটি টু অ্যাচিভ এসডিজি আন্ডার দ্য চ্যালেঞ্জ অব ক্লাইমেট চেঞ্জ” শীর্ষক ওয়ার্কশপ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
স্পীকার বলেন, উৎপাদন ও ভোগ পরস্পর সংশ্লেষ যুক্ত। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হয়।ভূমি ও পানির সর্বোচ্চ ব্যবস্থাপনা জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে বাঁধাগ্রস্ত হয়। ফলশ্রুতিতে খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন FAO রিপ্রেজেন্টিভ অব বাংলাদেশ মি. রবার্ট ডি সিম্পসন, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন FAO পার্টনারশীপ এক্সপার্ট মি. জিন লিওনার্ড তোয়াদি।
স্পীকার বলেন, ক্ষুধা ও অপুষ্টি মুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ২০৩০ সালের মধ্যে ” কেউ পিছিয়ে থাকবে না” এবং ক্ষুধা মুক্ত বিশ্ব প্রতিষ্ঠিত হবে– এসকল লক্ষ্য নির্ধারণ হয়েছিল ২০১৫ সালে। সুতরাং এখনই সময় এসডিজি লক্ষ্য কতটুকু পূরণ হয়েছে এবং বাকিটা কিভাবে পূরণ করতে হবে সে সকল বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি দেওয়া। সকল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করা এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আজকের অঙ্গীকার হওয়া উচিৎ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে এখন মঙ্গা নেই– খাদ্যে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। এক দশকে অতি দরিদ্রের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২২ শতাংশে নেমে এসেছে। কৃষকের জন্য ঋণ সহায়তা, বীজ সারের ভর্তুকি প্রদানের জন্য ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুযোগ করে দিয়েছে বর্তমান সরকার।অন্তর্ভূক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি তথা অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সংসদ সদস্যগণকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি। তিনি বলেন, এ ধরনের ওয়ার্কশপ আয়োজন জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাব মোকাবেলা ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে এবং সংসদ সদস্যগণকে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনকে সহজতর করবে।
দিনব্যাপী ওয়ার্কশপে ২ টি সেশনে ৯০ জন সংসদ সদস্য অংশগ্রহণ করেন। দ্বিতীয় সেশনে সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৩২:৫৩ ১৯৮ বার পঠিত