আজ (রোববার) ১২ মে’২০১৯
আন্তর্জাতিক নার্স দিবস
বিশ্ব নার্স বা ধাত্রী দিবস ১২ মে। বিশ্বের নার্সদের শ্রদ্ধাজন লেডি উইথ দ্য ল্যাম্প খ্যাত ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের জন্ম ১৮২০ সালের ১২ মে তারিখে। নার্স পেশার অন্ধকার যুগে সাধারণ মানুষের জন্য দাতব্য চিকিৎসালয়ই ছিলো একমাত্র অবলম্বন। হাসপাতালে কর্মচারীদের দক্ষতা, প্রশিক্ষণ বলতে তখন তেমন কিছুই ছিলো না। ১৮৫০ সালে ইংরেজ নার্স ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের মাধ্যমে আধুনিক নার্স পেশার গোড়াপত্তন। রোগী সেবার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে তিনি সূচনা করেন আধুনিক নার্স পেশার। ধাত্রী পেশার গোড়া পত্তনকারী ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের উদ্দেশ্যে বিশ্বের নার্সরা প্রতি বছর ১২ মে গুরুত্বের সঙ্গে এ দিবসটি পালন করে ।
(কফিল উদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যু)
রাজনীতিবিদ, আইনজীবী কফিল উদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭২ সালের এই দিনে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। উদার, অসাম্প্রদায়িক, গণতন্ত্রমনা ব্যক্তি ছিলেন তিনি। সাবেক রাষ্ট্রপতি বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী তার ছেলে। কফিলউদ্দিন চৌধুরীর জন্ম ১৮৯৯ সালে বিক্রমপুরের দয়াহাটায়।
১৯২৩ সালে কলকাতা রিপন কলেজ থেকে বিএ এবং ১৯২৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএল ডিগ্রি লাভের পর তিনি আইন ব্যবসা এবং মুন্সীগঞ্জে মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ১৯৩২-এ ঢাকা বোর্ডের সদস্য হন। ১৯৩৯ সালে খাজা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং মুসলিম লীগ ত্যাগ। ওই বছরই ঢাকা জেলা বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৯৪২, ৪৬ এবং ৫০ এর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধে তার ছিলো বলিষ্ঠ ভূমিকা। ৫৩ তে শেরে বাংলার সঙ্গে মিলে গঠন করেন কৃষক-শ্রমিক পার্টি। ‘৫৪ তে যুক্তফ্রন্ট থেকে জাতীয় পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে শেরে বাংলার নেতৃত্বাধীন পূর্ববঙ্গ সরকারের বিচার মন্ত্রী নিযুক্ত হন। ৫৬ তে কৃষক-শ্রমিক পার্টি ত্যাগের পর নিযুক্ত হন আতাউর রহমান খানের নেতৃত্বাধীন প্রাদেশিক কোয়ালিশন সরকারের গণপূর্ত সেচ ও বন মন্ত্রী। ৫৮ তে সামরিক সরকার কর্তৃক কারাভোগ। সামরিক সরকার তাকে ১৯৬৬’র ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে। ’৬৯-এ তিনি জড়িত হন আওয়ামী লীগের সঙ্গে ৭০’র নির্বাচনে ঢাকা-১৫ থেকে জাতীয় পরিষদ সদস্য নির্বাচিত । ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুজিবনগরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন।
ইতিহাসের এ দিনে ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম ব্যক্তিত্ব রাসবিহারী বসু বৃটিশের শ্যেন চক্ষু ফাঁকি দিয়ে জাপানি একটি স্টীমারে করে ভারত ত্যাগ করেন। দিল্লীতে তৎকালীন গভর্ণর জেনারেল এবং ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জকে বোমা হামলা চালিয়ে ব্যর্থ হত্যা প্রচেষ্টার সাথে তিনি যুক্ত ছিলেন। এই বোমা হামলা চালিয়ে রাতের ট্রেন যোগে তিনি নিজের কর্মস্থল দেরাদুনে চলে আসেন। কোথাও কিছু ঘটেনি এমন এক ভান করে পরদিন নিয়মিত অফিস করেন। এ ছাড়া গদর ষড়যন্ত্রের সাথে তিনি যুক্তছিলেন। ভারতের সেনাবাহিনীতে বিপ্লবীদের অনুপ্রবেশ করিয়ে ১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে সমগ্র ভারতব্যাপী একটি বিদ্রোহ করার পরিকল্পনা তারা করেছিলেন। কিন্তু তাদের সে পরিকল্পনা সফল হতে পারেনি। পরবর্তীতে তিনি জাপান থেকে আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তৎপরতা চালিয়েছিলেন।
ফার্সি ৪১৪ সালে খ্যাতনামা গণিতবিদ আবু সাঈদ মোহাম্মদ বিন আবদুল জলিল সিস্তানি ইন্তেকাল করেন। তিনি একাধারে গণিত শাস্ত্র, জ্যোর্তিবিদ্যা এবং জ্যামিতিতে অসাধারণ পান্ডিত্যের অধিকারী ছিলেন। তিনি নিজের অধীত এবং অর্জিত জ্ঞান বিতরণে উৎসর্গপ্রাণ ছিলেন। গণিত এবং জ্যোর্তিবিদ্যা বিষযক বেশ কয়েকটি পুস্তক রচনা করে তিনি তার খ্যাতির পরিমন্ডল আরো বাড়িয়ে তুলেছিলেন।
১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে এডলফ হিটলার ইরাকের স্বাধীনতা সংগ্রামী রশীদ আলি গিলানির জন্য দুইটি বোমারু বিমান প্রেরণ করেছিলেন। রশীদ আলি গিলানি দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের অবকাশে জার্মানদের সহায়তায় বৃটিশ সা¤্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের সূচনা করেন। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শুরু হওয়া মাত্র ইরাকের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নূরী আস সাইদ জার্মানির সাথে সম্পর্ক ছেদ করেন এবং বৃটিশদের সাথে সহযোগিতা চুক্তি করেন। কিন্তু রশীদ আলি গিলানি সাইদ সরকারকে উৎখাত করেন। অবশ্য শেষ পর্যন্ত জার্মানি কর্তৃক প্রতিশ্রুত পর্যাপ্ত সাহায্য না পৌছানোর কারণে বৃটিশ সা¤্রাজ্যবাদ স্বাধীনতাকামী ইরাকিদের পরাস্ত করে। ইরাক আরেকবার বৃটিশ নাগপাশে আবদ্ধ হয়ে পড়ে এবং পরাজয়ের পর রশীদ আলী ইরাক থেকে পালিয়ে যান।
১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দের এ দিনটিতে অর্থাৎ ১২ মে পশ্চিম বার্লিনের বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন আরোপিত অবরোধের অবসান ঘটে। ১১ মাস ব্যাপী এই অবরোধকে শীতল যুদ্ধের সময়কার প্রথম দিকের এক গুরুত্বপূর্ণ সংকট হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর জার্মানিকে চারভাবে বিভক্ত করা হয় এবং বিশ্ব যুদ্ধের প্রধান চার মিত্র, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন এবং ফ্রান্স এই চার অংশের প্রশাসন পরিচালনার ভার গ্রহণ করে। জার্মানির রাজধানী বার্লিনকেও একইভাবে চার অংশে বিভক্ত করা হয়। পরে পাশ্চাত্যের চার শক্তি, যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন এবং ফ্রান্স তাদের অধিকৃত জার্মানিকে একটি মাত্র অর্থনৈতিক অঞ্চলে পরিণত করে। পরে তারা স্বাধীন পশ্চিম জার্মানি গঠনের ব্যাপারে মত ঐক্যে পৌছায়। ফলে সোভিয়েত ইউনিয়ন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ শে জুন পশ্চিম জার্মানির বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করে।
* ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দের এ দিনে আজারাইজান প্রজাতন্ত্র এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে যুদ্ধ বিরতি হয়। সোভিয়েত ইউনিয়তের পতনের মাধ্যমে সদ্য স্বাধীন দেশ দুইটির মধ্যে নগরনো কারাবাক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যুদ্ধ শুরু হয়েছিলো। ৪৪০০ বর্গ কিলোমিটার এই অঞ্চলের খানিকটা আজারবাইজানের ভূ-খন্ডের অংশ ছিলো এবং আর্মেনিয়ার সীমান্তের কাছে অবস্থিত ছিলো। ১৯৯১ সালে কারাবাক নিজেদেরকে আজারবাইজান থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। আর্মেনিয়ার সৈন্যরা ১৯৯২ সালে কারাবাকের সৈন্যদের সাহায্য করার জন্য আজারবাইজানে হামলা করে। তারা কারাবাকের প্রায় ২০ শতাংশ দখল করে নিতেও সক্ষম হয়। এর দুই বছর পর দুই দেশের মধ্যে য্দ্ধু বিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
ব্রিটেন ও স্কটল্যান্ডের মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর (১৫৩৫)
উপমহাদেশের প্রথম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ন্যাশনাল মোহামেডান প্রতিষ্ঠিত (১৮৭৮)
পোল্যান্ডে জোসেফ পিলসুদস্কির নেতৃত্বে অভ্যুত্থান (১৯২৬)
বাংলাদেশের সিলেটের হরিপুরে প্রাকৃতিক গ্যাস আবিষ্কার (১৯৫৫)
প্রবল জলোচ্ছাস ও ঘূর্ণিঝড়ে বাংলাদেশের উপকূলে ২০ হাজার লোকের প্রাণহানি (১৯৬৫)
নেপালে ৩২ বছর পর প্রথম বহুদলীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত (১৯৯১)
মালদ্বীপে ৯ম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত (১৯৯৭)
ভারত ও পাকিস্তানের নেতৃবৃন্দ ৪ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো মালদ্বীপে বৈঠকে বসতে সম্মত (১৯৯৭)
আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কাটারের কিউবা সফর । প্রেসিডেন্ট ক্যাস্ট্রো ৪৩ বছর পূর্বে কিউবার রাষ্ট্রক্ষমতায় বসার পর এই প্রথম আমেরিকার কোনো শীর্ষ নেতার কিউবা সফর (২০০২)
বাংলাদেশ সময়: ১২:৪০:০৫ ২০৭ বার পঠিত