আজ (বুধবার) ১৫ মে’২০১৯
আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস
১৫ মে জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত হয়েছে আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস। দিবসটি সারাবিশ্বে গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়। বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা এবং কর্মসূচির মধ্য দিয়ে প্রতিবছর এ দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটি ঘোষণার আগে ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ পরিবার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পারিবারিক সমস্যা সমাধানে ব্যাপক নীতি গ্রহণের মাধ্যমে জাতীয় ক্ষমতা অর্জনের উদ্দেশ্যে ১৯৯৪ সালকে আন্তর্জাতিক পরিবার বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করে। আর ১৯৯৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৫ মে কে ঘোষণা করা হয় আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস হিসেবে। জীবনের মানউন্নয়ন এবং সামাজিক অগ্রগতি লাভের জন্য সমাজের সর্বনিম্ন কাঠামো পরিবার গঠনের মাধ্যমে রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যেই পরিবার বর্ষ এবং প্রতি বছর পরিবার দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য। পরিবার একটি সার্বজনীন পদ্ধতি এবং সামাজিক জীবনে এটিই সম্ভবত মৌলিক ভিত্তি। কিন্তু পরিবার গঠন ও কর্মে বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। বিভিন্ন সমাজে বিভিন্ন সংস্কৃতির পরিবারের ভূমিকাও ভিন্ন ভিন্ন ভাবে পরিলক্ষিত হয়। পরিবারের কোনো একক রূপ নেই, নেই কোনো সার্বজনীন সংঘ। পরিবারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য যে বৈশিষ্ট্য সেটি হচ্ছে তার বৈচিত্র্য । ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের সঙ্গে পরিবারের গঠন ও অন্যান্য অবস্থারও পরিবর্তন হয়েছে। ঐতিহাসিকভাবেই সকল সমাজ ও সংস্কৃতিতেই পরিবার এবং সেই পুরুষের একাধিক স্ত্রী ও পরিচারিকা। প্রাচীন খ্রিষ্টিয় ধর্মশাস্ত্রে এরকম বহু উদাহরণ রয়েছে। এসব পরিবারে স্ত্রীর মর্যাদা স্বামীর চেয়ে অতি নিম্নে এবং এই পদ্ধতি ছিলো গ্রহণযোগ্য। প্রাচীন রোমে পুরুষতান্ত্রিক পরিবার ছিলো-কিন্তু সেখানে পরিবারে নেতা পুরুষের বহু বিবাহ চর্চা ছিলো না-স্ত্রীদের মোটামুটি মর্যাদা ছিলো। যদিও নিজের কোন বিষয়ের ওপরও তাদের কোন ক্ষমতা ছিলো না। পুরুষই ছিলো সর্বসর্বা, একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী। এমনকি পরিবারের পুরুষ নেতার তার নিজের সন্তানকেও হত্যা করার অধিকার ছিলো।
মধ্যযুগে ইউরোপে রোমান ক্যাথলিক চার্চ এবং সামন্ততন্ত্র দ্বারা পরিবার প্রভাবিত হতো। এক্ষেত্রেও ছিলো পুরুষ প্রাধান্য এবং পরিবারের ব্যাপকতা। একই সময় মুসলিম পরিবারের অবস্থা ছিলো তার উল্টো। এ সময় মুসলমান পরিবারে নিজস্ব সম্পদের প্রতি মহিলাদের কর্তৃত্ব ছিলো। শিল্প বিপ্লব পরিবারের গঠনে ব্যাপক পরিবর্তন আনে। শিল্পায়ন ও নগরায়ন ভেঙে দেয় জমিদারি রাজত্ব এবং পরিবর্তন আনে জীবন ও কর্ম ক্ষেত্রে। বহুলোক বিশেষ করে তরুণরা ক্ষেত-খামার ছেড়ে শহরে কারখানায় কাজ নেয়। তখন বিশাল পরিবারে শুরু হয় বিচ্ছিন্নতা। ক্রমশ পুরুষ প্রধান পরিবারে প্রবেশ করে মহিলাদের কর্তৃত্ব। সমতার সম অধিকারের হাওয়া বইতে শুরু করে পরিবারে পরিবারে। পরিবারে মহিলা পুরুষের স্টেরিওটাইপ ভূমিকার সমাপ্তি ঘটে । মহিলা শুধু ঘরের কাজ ও ছেলে মেয়েদের দেখবে আর পুরুষ শুধু আয় করবে-এই চর্চার অবসান নেমে আসে ধীরে ধীরে। অনেক স্ত্রী ঘরের বাইরে আসে, যোগ দেয় নানা কাজে, পক্ষান্তরে বহু স্বামী অংশগ্রহণ করে ঘরের কাজে । এভাবে পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় পরিবারের নতুন গঠন, জীবনযাত্রার মান এসেছে যাতে পরিবার আধুনিক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারে। একই সঙ্গে পরিবারের প্রত্যেকের অধিকার ও সামাজিক দায়িত্ব যাতে বজায় থাকে সেক্ষেত্রও চলছে সংগ্রাম । বিশ্ব সমাজে পরিবারের এরূপ পরিবর্তনের প্রতি জাতিসংঘ গভীর মনোযোগ অব্যাহত রাখছে। জাতিসংঘ চায় পরিবারে স্বামী স্ত্রীর ভূমিকা সমান হবে। সদস্যদের অধিকার হবে সমান, মর্যাদা হবে যথাযোগ্য। পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রের আয়না। বিদ্যমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য পরিবারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। মানবাধিকার, জনসংখ্যা এবং মহিলাদের অগ্রগতি পরিবার দ্বারা প্রভাবিত। রাষ্ট্রের সামাজিক উন্নয়নের জন্য পরিবারের ভূমিকা, দায়িত্ব এবং অধিকার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
১৭৫৬ খ্রিস্টাব্দের এ দিনে ইংল্যান্ড ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে এবং এই দুই দেশের মধ্যে বিশ্ব জুড়ে সাত বছরের যুদ্ধ শুরু হয়। তবে মজার ব্যাপার হলো, যুক্তরাষ্ট্রে এই যুদ্ধ ফ্রান্স এবং ইন্ডিয়ান যুদ্ধ নামে পরিচিত। উত্তর আমেরিকায় এই দেশ দুইটির মধ্যে বেশ কয়েক বছর ধরে যুদ্ধ চলেছে। ১৭৫০ খ্রিস্টাব্দের গোড়ার দিকে এক দশকব্যাপী ফ্রান্স বাহিনী ওহাইও নদীর উপত্যকায় বারবার নিজেদের সম্প্রসারণের চেষ্টা করেছে আর এর ফলে বৃটিশ উপনিবেশগুলোর সাথে তাদের সংঘর্ষ বেঁধেছে। সাত বছরের যুদ্ধ শুরুর প্রথম বছর অর্থাৎ ১৭৫৬ খ্রিস্টাব্দে বৃটিশ এবং স্থানীয় আমেরিকানদের নিয়ে গঠিত তাদের জোট ফ্রান্সের হাতে ধারাবাহিকভাবে কয়কটি যুদ্ধে পরাজিত হয়। তবে এর মাত্র এক বছর পরে যুদ্ধের মোড় ঘুরে যায়। ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে হুবার্টবার্গ এবং প্যারিসে চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সাত বছরের যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে। কানাডার উপর ফ্রান্সের সকল দাবির অবসান ঘটে। একই সাথে ঔপনিবেশিক শক্তি হিসেবে বৃটেনের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে এ ভাবে ঔপনিবেশিক শক্তিতে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে যাওয়ার ফলেই আমেরিকান বিপ্লবের সময় ফ্রান্স যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহায়তা করেছে এবং দেশপ্রেমিক শক্তির পক্ষাবলম্বন করেছে।
১৯৮৮ সালের এ দিনটিতে আফগানিস্তান থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনাবাহিনী প্রত্যাবর্তনের কাজ শুরু হয়। আফগানিস্তানের সোভিয়েতপন্থী সরকারকে সমর্থন দেয়ার জন্য আগ্রাসন ও দখল করার আট বছর পর সেখান থেকে সোভিয়েত বাহিনীর প্রত্যাবর্তনের পদক্ষেপ শুরু হয়। আভ্যন্তরীণ বিদ্রোহে প্রায় পর্যুদস্ত সোভিয়েতপন্থী কাবুল সরকারকে তথাকথিত সহায়তা দেয়ার জন্য ১৯৭৯ সালের ডিসেম্বর মাসে আফগানিস্তানে সোভিয়েত সৈন্যরা প্রথম প্রবেশ করে। তারপর অল্প সময়ের মধ্যে হাজার হাজার সোভিয়েত সৈন্য সমর সম্ভারে দেশটি ভরে যায়। আর এর মধ্য দিয়ে সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সূচনা হয়। তবে আট বছরের যুদ্ধে সোভিয়েত বাহিনী বা আফগান গেরিলাদের কেউই বিজয়ী হওয়ার মত অবস্থায় পৌঁছাতে পারেনি।
১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে ইংল্যান্ডে মিত্রবাহিনীর জেট চালিত বিমানের প্রথম সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। এই বিমানের টার্বোজেট ইঞ্জিনটি তৈরি করেছিলেন ফ্র্যাংক হইটেল নামের ইংল্যান্ডের এক বৈমানিক ও পাইলট। সাধারণভাবে হুইটেলকে জেট বিমানের জনক হিসেবে গণ্য করা হয়। পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের সময় এই বিমান ২৫ হাজার ফুট উঁচু দিয়ে ঘন্টায় ৩৭০ মাইল বেগে চলতে সক্ষম হয়। সে সময় পাখাচালিত যেসব বিমান ছিলো তার চেয়ে অনেক দ্রুতগামী ছিলো এই বিমান।
১৭৭৬ খ্রিস্টাব্দের এ দিনে প্রথম বাষ্প চালিত জাহাজ বানানো হয়েছিলো। ফরাসি আবিষ্কারক ডেনিস প্যাপিনের বাষ্প শক্তি আবিষ্কারের সত্তর বছর পর আরেক ফরাসি আবিষ্কারক মার্কুয়েজ ক্লড ডি জুওফফ্রে এবং তার সহকর্মীরা ১৩ মিটার দীর্ঘ একটি বাষ্পীয় পোত তৈরি করেন। এই জাহাজ সফলভাবে জলপথ পাড়ি দিতে পেরেছিলো। আর এর মধ্যদিয়ে জাহাজ নির্মাণের ক্ষেত্রে বিশাল এক পরিবর্তনের সূচনা হয় ।
১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দের এ দিনে তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল পাশার বাহিনী গ্রীক দখল থেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক নগরী এজমিরকে মুক্ত করে। দীর্ঘ ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এজমির মুক্ত হয়েছিলো। এর ফলে তুরস্কে গ্রীকদের কর্তৃত্বের অবসান ঘটে।
১৮৬ হিজরীর এ দিনে মোহাম্মদ বিন জামাল উদ্দিন মক্কী আমেলী বা প্রথম শহীদ হিসেবে পরিচিত আলেম এবং ধর্মশাস্ত্রের অগাধ জ্ঞানের অধিকারী, এই জ্ঞান তাপস শাহাদতবরণ করেন। তার জন্ম হয়েছিলো লেবাননের জাবাল আমল অঞ্চলে। জ্ঞান অন্বেষী পরিবারের সন্তান হিসেবে তিনিও জ্ঞানের পথেই পা বাড়িয়েছিলেন সেই শৈশব হতেই। ধর্ম জ্ঞানের পাশাপাশি সাহিত্য ও কবিতায়ও তার বিশেষ দক্ষতা ছিলো। তার প্রতি উচ্চারিত প্রশ্নমালা জবাব তিনি কবিতায় দিয়েছেন। ৫২ বছর বয়সে এই আলেম উগ্রবাদীদের হাতে শাহাদতবরণ করেন।
১৩৪৬ হিজরীর এ দিনে ইরানের খ্যাতনামা আলেম এবং ধর্মবেত্তা আয়াতুল্লাহ উজমা সাইয়্যেদ আবু তোরাব খোনসারি ইন্তেকাল করেন। মধ্য ইরানের খোনসার শহরে তিনি ১২৭১ হিজরীতে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাথমিক জ্ঞান অর্জনের পর তিনি উচ্চতর ইসলামী জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে প্রথমে ইস্পাহানের ইসলামী কেন্দ্রে এবং পরে নাজাফে গমন করেন। সে যুগের খ্যাতনামা শিক্ষকদের কাছ থেকে তিনি জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। তার লিখিত গ্রন্থাবলী আজও জ্ঞান পিপাসুদের তৃষ্ণা মেটাতে সক্ষম।
বাংলা ভাষায় প্রথম সংবাদপত্র বেঙ্গল গেজেট প্রকাশিত (১৮১৮)
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বিলুপ্তির প্রস্তাব গৃহিত (১৮৭৩)
এভারেস্ট বিজয়ী তেনজিং নোরকের জন্ম (১৯১৪)
আমেরিকায় বিশ্বের প্রথম এয়ার মেইল চালু (১৯১৮)
ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা (১৯৪৮)
ব্রিটেন, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে ভিয়েনা চুক্তি স্বাক্ষর (১৯৫৫)
ব্রিটিশ বিজ্ঞানী কর্তৃক প্রথম হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষা (১৯৫৭)
কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের স্বাধীনতা ঘোষণা (১৯৬০)
বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে রাজাকার বাহিনী গঠন (১৯৭১)
আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত সেনা প্রত্যাহার শুরু (১৯৮৮)
দীর্ঘ ৩০ বছর পর চীন-সোভিয়েত শীর্ষ বৈঠক (১৯৮৯)
সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক আবদুল আহাদের মৃত্যু (১৯৯৪)
বাংলাদেশের সিলেট ওসমানী বিমান বন্দরে প্রথম আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের অবতরণ (১৯৯৯)
বাংলাদেশ সময়: ১২:৩৪:২৬ ১৪৩ বার পঠিত